ছোট বেলায় অনেকটাই সুখে ছিলাম। কোনোদিন বুঝতে পারিনি কষ্ট কী? কিন্তুু যত বড় হচ্ছি তত কষ্ট আর হতাশা বেড়েই চলছে ক্রমাগত। কোথায় এই বয়সে লম্বা শ্বাস ফেলে নিজের মত জীবনটাকে উপভোগ করবো। তা না করে দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে আর হাঁপাতে হাঁপাতে জীবন শেষ! কেন অাজ নির্লজ্জের মত বেঁচে থাকতে হবে? কেন মুখবুঝে সহ্য করে নিতে হয় সমস্ত অপবাদ, অন্যায়, অবিচার?
আমাদের জীবনটা ফুটবলের মত! শুনতে অনেকটা হাসি পেলেও কথাটা সত্য। যে যেভাবে পারে সেভাবেই শট করে। আমরা শুধু ঘুরতে ঘুরতে মাঠের বাহিরে গিয়ে পড়ি। বলার সুযোগ নেই আমারো কষ্ট হয়! এসব হতাশা আর দুর্দশার জন্য আমি সমাজ কিংবা রাষ্ট্রকে দায়ী করিনা। কারণ, সমাজ পরিবর্তনশীল। সমাজ, রাষ্ট্র এসব সাধারণত সময়ের গতিতে চলে। কিন্তুু মানুষের জীবন কখন যে কোথায় গিয়ে থমকে দাঁড়ায় তা কেউ বুঝতেও পারেনা। আমি আমার ভাগ্য আর কষ্টের জন্য সৃষ্টিকর্তাকে একশোবার দায়ী করবো।।
অনেকেই বলবে ভাগ্য নিজেকেই গড়তে হয়। হ্যাঁ, ভাগ্য নিজেকেই গড়তে হয়। ধরুন আপনার বয়স ১০ থেকে ১২ বছর। তখন যদি অাপনাকে বলা হয় নিজের মত চলতে হবে। নিজে আয় করে খেতে হবে। নিজের জীবন নিজেকেই চালিয়ে নিতে হবে! তখন আপনি কী করবেন? আপনার উত্তরটা ঠিক কেমন হবে? শুধু তাই নয়। বর্তমান সময়ে ১০ থেকে ১২ বছর কী তারচে আরো কম বয়সের ছেলে-মেয়েদের সংসার চালানোর দায়িত্বটা কাঁধে তুলে নিতে হয়!!
আর যদি এসব কষ্ট বা দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে না পারে তখন কি বলবেন? ছেলেটা নিজের ভাগ্য নিজে গড়তে পারেনি। ভাগ্য গড়ার সময় কখন আসে জানেন? যখন আপনি অনেক কষ্ট করে একটা অবস্থান তৈরী করবেন। তারপর, থেকে আপনার ভাগ্য তৈরীর সময় অাসবে। তখন আপনার ইচ্ছ অনুযায়ী কাজ করবেন, অারাম করবেন, মজা করবেন ইত্যাদি -ইত্যাদি।
কিন্তুু ছোটবেলা থেকেই যদি একটা ছেলেকে তার ভাগ্য গড়ার জন্য পরিবার কিংবা সমাজ থেকে চাপ দেয়া হয় তখন ছেলেটাই বা কি করবে। আমি সৃষ্টিকর্তাকে এজন্যই দায়ী করি! কিছু মানুষকে এত কষ্ট না দিয়ে সোজা তোমার কাছে নিয়ে গেলেই পারো। সহ্য করা যায় না কিছু কিছু অাঘাত, অপমান, অহীনা। যখন চিৎকার করে কাঁন্না করার পরও মনে শান্তি লাগেনা তখন বেঁচে থাকাটা একদম অকেজো!
১৪টি মন্তব্য
রাফি আরাফাত
হতাশা কেমন হয় তা নিয়ে কখনো ভাবা হয়নি। তবে এখন মনে হচ্ছে যে, হতাশা হয়তো সত্যি বিবর্ণ ভাই।
ভালো লাগছে ভাই। ভালো থাকবেন।
মাছুম হাবিবী
জ্বী অনেক ধন্যবাদ ভাই
শিরিন হক
কিছু কস্ট মানুষকে আল্লাহ জন্ম থেকেই দিয়ে থাকেন এজন্য আপনি সমাজ পরিবার কেউ দায়ী নয়।তবে নিজের ভাগ্য কেউ নিজে বদলায় কেউ পারেনা।যে যা বলুক নিজের কাজে কর্মে সৎ থাকুন। সৃষ্টিকর্তার উপর বিশ্বাস রাখুন দেখবেন সেই পথ বাতলে দিবে।আপনার চেয়েও আরো মানুষ আরো কস্ট নিয়ে বেচে আছে।আর যারা বোঝেনি আপনাকে তাদের জন্য দোয়া করুন যেনো তারা সঠিক পথে আসে। নামাজ মনে অনেক সান্তি এনে দেয়।
হতাশ হয়ে মৃত্যু কামনা করাও পাপ।
মাছুম হাবিবী
জ্বী তাও ঠিক বলেছেন ধন্যবাদ
মনির হোসেন মমি
ছোট থেকেই অভাব অনটনের মাঝে বড় হয়েছি।কষ্ট করেই জীবন চালাচ্ছি তবে কখনো হতাশ হইনা কারন আমি জানি স্রষ্টা কাউকে কখনো ঠকান না।কর্মেগুণে যে যার পজিসনে থাকুক না কেন তাতেই সন্তুষ্ট থাকা বাঞ্জনীয়। তবে ভাগ্যকে আমি বিশ্বাস করি। সফলতার ধার প্রান্তে গিয়েও যখন শুন্য হাতে ফিরতে হয় তখন ভাগ্যই হয় এর জন্য দায়ী।এমন বহু ঘটনা আছে আমার জীবনে। চমৎকার লেখা।
মাছুম হাবিবী
জ্বী ভাই মাঝে মধ্যে বড্ড অাফসোস হয়। এত কষ্ট করে অর্জিত সাফল্যের কাছে গিয়ে যখর ধরতে না পাড়া যায় তখন সবকিছু অন্ধকার মনে হয়। সুন্দর কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ।
আরজু মুক্তা
ভাগ্য,কর্মগুণ সবটাই দরকার।স্রষ্টা হয়তো ঠকাননা। কিন্তু তবুও যাঁতাকলে পরতে হয়।
মাছুম হাবিবী
তা ঠিক আপু অনেক ধন্যবাদ
প্রদীপ চক্রবর্তী
হতাশা এক বিবর্ণ ছাউনি।
তবুও থাকে মেনে নিতে হয়।
তবুও আমাদের সকলকিছু উপেক্ষা করে সফলতার দ্বার প্রান্তে যেতে হয়।
ভালো লেখনী দাদা।
মাছুম হাবিবী
একদম রাইট ধন্যবাদ দাদা
জিসান শা ইকরাম
ছোট বেলার স্মৃতি সত্যি অমলিন, ভালো ছিলাম তখন।
১০-১২ বছরের কিশোরকে যখন আয় রোজগারের দিকে যেতে হয়, তখন তার জীবনটা থেমেই যায়।
ভাগ্য বলে কিছু আছে এটি বিশ্বাস না করলেও অনেক সময়ই তা বিশ্বাস করতে হয়। অধিকাংশ সন্তান ভুমিষ্ট হয় গরীরের ঘরে, আর সামান্য ধনীর ঘরে। কেন এই পার্থক্য?
ভালো লিখেছেন।
শুভ কামনা।
মাছুম হাবিবী
এই প্রার্থক্য সৃষ্টিকর্তা ভালো জানেন দাদা। অনেক ধন্যবাদ অাপনাকে। ভালো থাকবেন
শাহরিন
সুখ দুঃখ মিলিয়ে মানুষের জীবন। আঘাতে সবারই কষ্ট হয়। কিন্তু কষ্টকে জয় করে জীবন যাপন করতে হয়। হতাশা মানুষের বিশাল সুখ নষ্ট করার জন্য যথেষ্ট। ভালো থাকবেন।
মাছুম হাবিবী
জ্বী অনেক সুন্দর কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ