
হঠাৎ মাথা খারাপ হওয়া মানুষ যুগে যুগে সর্বকালে সব দেশেই ছিল। আমিও তার মাঝে একজন। কিছু সামাজিকতা আমার কাছে অসহ্য লাগে।
ভিতর ও বাহির এক রাখার চেষ্টা করি সব সময়, অন্তরে বিষ রেখে বাইরে ফুল দিতে আমি পারিনা
যাকে ভালো জানি সর্বাত্মক ভাবেই ভালো জানি, ভেজাল নেই তাতে কোন ।
” পশু আর পাখির যুদ্ধ
বাদুড়ের দ্বৈত কর্ম
মাসুদ আহমেদ মাসুদেরা
হঠাৎ মাথা খারাপ ”
১৯৭৭ সনে পড়া আমার অত্যন্ত প্রিয় একজন মানুষের লেখা কবিতার এই চারটি লাইন ৭৭ সন থেকেই আমাকে হঠাৎ মাথা খারাপের দলভুক্ত করেছে। বাদুড়ের সুবিধা, সে একসাথে পাখি এবং পশু । পাখির মত উড়তে পারে এবং একই সাথে স্তন্যপায়ী প্রাণী হিসেবে পশুও। আমার সীমাবদ্ধতা এখানে। আমি পারিনা এমন।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে থাকা সব সময় প্রগতিশীলতার বিরুদ্ধে থাকা – আমি এমন প্রগতিশীল হতে চাই না ।
(মুক্তিযুদ্ধ কে ) পুরানো দিনের কবে কোন কালে ঘি খেয়েছিলাম, তা নিয়ে এখনো আমরা সুখ লাভ করি – আমি পুরানো দিনের ঘি নামক মুক্তিযুদ্ধ খেয়েই বাঁচতে চাই এবং এতে অপরিসীম সুখ লাভ করি।
ছাগুরা আমাদের দেশেরই সন্তান । তাদের বাক স্বাধীনতা থাকা উচিৎ – আমি এমন ভাবি না। এরা ১৯৭১ এ পরাজিত হয়েছে । এদের চিন্তা ভাবনা, আদর্শ নিয়ে এরা বাঙ্গালীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে এবং পরাজিত হয়েছে । কোথাও পরাজিত শক্তির অধিকার স্বীকৃত আছে কিনা আমার জানা নেই। এ সমস্ত কথা বার্তা বলে পরাজিত শক্তিকে পুনর্বাসন করার মানসিকতার বাইরে আমি।
নিজের বিশ্বাসকে আঁকড়ে থাকি। এসব হয়ত আমার সীমাবদ্ধতা । তবে এই সীমাবদ্ধতা আমার অহংকার।
————-
স্মৃতির ডায়েরি থেকে
১৫ জানুয়ারী ২০১৩
১৭টি মন্তব্য
সুপায়ন বড়ুয়া
“নিজের বিশ্বাসকে আঁকড়ে থাকি। এসব হয়ত আমার সীমাবদ্ধতা । তবে এই সীমাবদ্ধতা আমার অহংকার।”
আপনার সীমাবদ্ধতাই হোক অলংকার
বিশ্বাসের সাথে আপোষ চলে না।
শুভ কামনা। ভাল থাকবেন সবসময়।
বন্যা লিপি
বিক্ষিপ্ত ভাবনার খেরোখাতায় পর্যায়ক্রমিক আপনাকে আপনি তুলে ধরছেন ক্রমশঃ। সাধু সাধু! যথাবিহিত কিছু সীমাবদ্ধতা প্রকৃত একজন মানুষের আদ্যোপান্ত ব্যাক্তিত্বের বৈশিষ্ট্য প্রতিফলিত করে বলে আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি। কেননা “আমি এমনই” ডায়ালগটা আমারো খুব প্রিয়।
তৌহিদ
কিছু সময় অট্টালিকায় গা ভাসাতে চাইলেও হয়না। নিজের অস্তিত্ব যখন সংকটে পড়ে তখন মুখ ফুটে বলতে হয় বৈকি!
অনেক মুক্তিযোদ্ধাই এখন তাদের নিজেদের আদর্শ থেকে সরে এসেছে সেখানে তরুন প্রজন্মের কথা নাই বা বললাম।
খেরোখাতার লেখাগুলি ভালো লাগছে ভাই।
রেহানা বীথি
“আমি এমনই”
এ অবস্থানটাই সঠিক ভাইয়া। নিজের বোধ, বিশ্বাস, আত্মসম্মান – আপোষ চলে না এদের সাথে।
অনন্য অর্ণব
গতানুগতিক চিন্তাধারা থেকে একটু বাইরে গিয়ে মন্তব্য করতে চাই। বিখ্যাত বিজ্ঞানী স্যার আইজ্যাক নিউটনের গতির তৃতীয় সূত্রে স্পষ্ট ভাষায় বলা আছে “প্রত্যেক ক্রিয়ারই সমান এবং বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে”- যা সর্বজনীন । আপনি যদি পরাজিত শক্তিকে চিরতরে মুছে ফেলতে চান তো বিজয়ের আনন্দ কোথায় প্রকাশ করবেন?
এছাড়াও যদি ধর্মের অনুসারী হন, তাহলে অবশ্যই সৃষ্টি কর্তায় বিশ্বাস করবেন যিনি সর্বশক্তিমান মহাপরাক্রমশালী। তিনি চাইলেই তো দুনিয়া থেকে তার অস্তিত্বে অবিশ্বাসীদের নিমিষেই নিশ্চিহ্ন করার ক্ষমতা রাখেন। অথচ তিনি সেটা করেন নি। বরং যারা তার অস্তিত্বে অস্বীকার করেছে তাদের পার্থিব জীবন আরো বেশি উপভোগ্য করে দিয়েছেন।
মুক্তিযুদ্ধের সূর্যসন্তানদের আমরা প্রাণান্তিক শ্রদ্ধায় স্মরণ করবো এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের চেতনাকে পুঁজি করে এক শ্রেণীর আজীবন শোষণের লাইসেন্স পেয়ে যাবে তা কি করে হয়? এটা আমি মানতে পারছি না দাদাভাই।
নিতাই বাবু
আপনার সীমাবদ্ধতা আপনার কাছে সত্যিই অহংকারের। তবে আপনার এমন অহংকার আমাদের সকলেরই গর্ব হওয়ার কথা! কিন্তু আমরা আ। আমরা অনেকেই আপনার মতো হতে পারিনি। দুঃখ শুধু এখানেই। অনেকেই মনে করে দেশ গোল্লায় যাক! বেঁচে আছি নিজের ধান্দায়, এটাই ভালো বুঝি।
ইকবাল কবীর
”কিছু সামাজিকতা আমার কাছে অসহ্য লাগে। ভিতর ও বাহির এক রাখার চেষ্টা করি সব সময় , অন্তরে বিষ রেখে বাইরে ফুল দিতে আমি পারিনা” আমার মনের কথা বলেছেন। আমাকে অনেকেই এই কারনে বেয়াদব বলে কারন বয়সের তুলনায় আমার চেয়ে অনেক বড় যারা তাদেরকেও সরাসরি অনেক অপ্রিয় সত্যি কথা সামনা সামনি বলে ফেলি। ভালো থাকুন সব সময়।
প্রদীপ চক্রবর্তী
নিজের বিশ্বাসকে আঁকড়ে থাকি। এসব হয়ত আমার সীমাবদ্ধতা । তবে এই সীমাবদ্ধতা আমার অহংকার।
একদম দাদা,
নিজের বিশ্বাসে সবসময় অনড় থাকা শ্রেয়।
সত্যিই কিছু সামাজিকতা আমারও কাছে বড্ড অসহ্য লাগে।
দারুণ ভাবনা দাদা।
মনির হোসেন মমি
পরাজীত শক্তি সর্বোত্র ঘৃণিত।এ দেশে রাজাকার বংশধররা যে সুখে আছে তা মনে হয় পৃথিবীর আর কোথাও নেই। সহমত জ্ঞাপন করছি।
ছাইরাছ হেলাল
চিহ্নিত-রা চিহ্নিত ও ঘৃণিত।
আমরা আমাদের চিনতে পারছি কী!
কামাল উদ্দিন
বাদুড়ের দ্বৈত কর্ম কিন্তু আরো আছে, ওদের পায়ু পথ না থাকায় খাবার খাওয়া আর ত্যাগ করার দুটো কাজই মুখ দিয়া করে থাকে 😀
মোঃ মজিবর রহমান
নিজের বিশ্বাসকে আঁকড়ে ধরে রাখা একটী কঠিন কাজ, এটা এখন কইজনই বা পারে??? এথেকে আপনি স্বার্থক।
আপনি আপনার নিজস্বতা বজায় রাখতে পেরেছেন।
পরাজিত শক্তিওকে আমাদের দেশের একশ্রেনীর শাসক উত্থান ঘটিয়েছেন এবং এখন করাচ্ছেন।
এই দুইয়ের মাঝে চলা খুব কষ্টের ও কঠিন।
এখনও মুক্তিযুদ্ধকে পুজি করে পরাজিতদের আশ্রয় দিচ্ছে!!! যা কষ্টের ও লজ্জার।
মোঃ মজিবর রহমান
যেমন আমি প্রতিবাদি হতে পারলাম্না। কাউকে সহজেই আঘাত করতে পারিনা, আবার কথায় ভাষা ও শব্দ প্রয়োগ ক্রুটি করে ফেলি। আবার সমস্যা আমিও ধরতে পারিনা।
ইসিয়াক
কিছু সামাজিকতা আমার কাছে অসহ্য লাগে।
ভিতর ও বাহির এক রাখার চেষ্টা করি সব সময়, অন্তরে বিষ রেখে বাইরে ফুল দিতে আমি পারিনা
যাকে ভালো জানি সর্বাত্মক ভাবেই ভালো জানি, ভেজাল নেই তাতে কোন ।
আমারো মনের কথা ভাইয়া । .শুভকামনা রইলো্।
সঞ্জয় মালাকার
নিজের বিশ্বাসকে আঁকড়ে থাকি। এসব হয়ত আমার সীমাবদ্ধতা । তবে এই সীমাবদ্ধতা আমার অহংকার।
————-সত্যি ভাইজান এই সীমাবদ্ধতা আমাদের অহংকার।
শুভকামনা 🌹🌹
সুপর্ণা ফাল্গুনী
দাদা ভাই আপনার অনুভূতি গুলো আর দশজন সাধারণ মানুষের মতো না। আপনি আপনার চেতনায়,বিশ্বাসে অটুট থাকুন এই কামনা করি । ভিতরে বাহিরে যারা ভিন্ন তারা আসলে দুমুখো সাপের বিষ বাষ্প ছড়িয়েই যাবে। শুভ কামনা রইলো
দেবজ্যোতি কাজল
ব্যক্তি স্বাধীনতা অবশ্যই থাকা দরকার