
একদা আকাশ থেকে ছিটকে আসা নক্ষত্রের আগমনে বিঘ্নিত হয়েছিল বর্ষীয়ান নাতিশীতোষ্ণ,
একদিকে বিলীন হয়েছিল ভ্রমের বাড়ি-ঘর;
অন্যদিকে জেগেছিল আগ্নেয়গিরির চর,
সেকি তান্ডব, ভাঙা গড়ার!
এখনো ভাবলে গা শিউরে ওঠে!
ফের ঘর বাহির হয়ে গেল সমুদ্দুর,
তারই তীরে বাঁধলাম ঘর , অক্ষরের খুঁটি, শব্দের প্রতিশ্রুতি!
ঘরখানা যা হয়েছিল না!
একেবারে কবিতার মত সুন্দর!
অমৃতসুধার বর্ষনে জন্মেছিল সুখের চারা গাছ ,
আনন্দে মেতেছিল ষড়ঋতুর দেশ!
শতবছরের আকাঙ্ক্ষা নিষিক্ত হল সংগোপনে,
সোনার কাঠির ছোঁয়ায় ঘুম ভাঙল রাজকন্যার,
জেনেছে অনামিকা সুললিত সম্বোধনে!
পৃথিবীর বৈচিত্র্যের মত প্রেমিকের নির্নিমেষ চোখ,
আজ যা সুন্দর শ্বাশত কাল তা বিকৃত!
সময় ঘনিয়ে আসছে ক্রমশঃ হয়ত,
আবহাওয়াটা ঠিক যেন চৈত্রের খাঁ খাঁ দুপুর,
কোথাও কেউ নেই শুনশান নীরবতা,
শব্দগুলো গৃহকর্ত্রীর সাথে ভাতঘুমে বিভোর,
ভাঁড়ার ঘরটা শূন্য, কুন্তল ঘেমে উঠে থেকে থেকে তার,
হয়ত সে অবচেতনে এলাচ, দারুচিনির স্তম্ভে দাঁড়ানো রসুইয়ের শোকে কাতর!
আমার ছিল শব্দের সাথে সংসার, পৃথিবীটা ছিল যেন সদ্য উন্মোচিত বই কবিতার!
স্বাধের সংসার হল বিরান ছারখার!
কলকল বয়ে চলা জল, শিথানের চিটচিটে বালিশ জানে, কতটা গভীর তার তল?
এখন শব্দের ঢেউ আর আসেনা এ কূলে, আছড়ে পড়েনা পথভুলে।
জানতাম, যাওয়ার জন্যই সকলে আসে,
ভুলে যাওয়ার জন্যই ভালোবাসে!
Thumbnails managed by ThumbPress
১১টি মন্তব্য
রোকসানা খন্দকার রুকু
কবিতা সবসময়ই সুন্দর হয়। ঠিক ভালোবাসার মতোই। সে ছেড়ে যাক কিংবা থাকুক!
শুভকামনা।
খাদিজাতুল কুবরা
অশেষ ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা জানবেন।
আলমগীর সরকার লিটন
অন্যরমক গন্ধ স্বাদ অনেক দূর ভেবে গেলো
সোনেলার জন্মদিনের শুভেচ্ছা রইল কবি আপু !
খাদিজাতুল কুবরা
অশেষ ধন্যবাদ লিটন দা। অনেক শুভেচ্ছা রইল
সঞ্জয় মালাকার
কবিতা পড়ে মুগ্ধ হলাম,,
ভালো থাকবেন শুভ কামনা //
খাদিজাতুল কুবরা
অনেক ধন্যবাদ দাদা। শুভেচ্ছা জানবেন
হালিম নজরুল
সুন্দর সুসজ্জিত কবিতার ঘরবাড়ি।
খাদিজাতুল কুবরা
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। শুভেচ্ছা জানবেন
সঞ্জয় মালাকার
কবিতা ভালো লাগলো খুব,
পাঠে মুগ্ধ হলাম আপু।
ভালো থাকবেন শুভ কামনা //
খাদিজাতুল কুবরা
অশেষ ধন্যবাদ দাদা। ভালো থাকবেন। শারদীয় শুভেচ্ছা জানবেন
হালিমা আক্তার
যাওয়ার জন্য সকলে আসে। ভুলেই যাবে বলেই ভালোবাসে। অনবদ্য রচনা। শুভ কামনা রইলো।