পিচ্চিরা যে মাঝে মাঝে কত বিব্রত করে , তা ভুক্তভোগী অনেকেরই অভিজ্ঞতা আছে। আমার ছোট ছেলের কিছু ঘটনা যা আমাদের অপ্রস্তুত করেছে এবং একই সাথে আনন্দ দিয়েছে তা কিছুটা শেয়ার করার ইচ্ছে হোল সবার সাথে ।

প্রিয় যখন বিচারকঃ
প্রিয়র বয়স যখন ৩ , আমি দুপুরে বিছানায় শুয়ে আছি। পেপার পড়ছি একটা। প্রিয় ঘুমে আমার পাশে। প্রিয়র আম্মু এসে আমার হাতের পেপারটা ফেলে দিল। হটাৎ প্রিয়র কথা.. আমরা ছিটকে দুজন দুদিকে ।
প্রিয় : আম্মু তুমি আব্বুর মুখে কামড় দিলে কেন ? আব্বু তো ব্যাথা পেয়েছে।
প্রিয়র আম্মু : না বাবা কামড় দেইনি তো 😉
প্রিয় : মিথ্যে বল কেন ? আমি দেখেছি । দাঁড়াও দেখাচ্ছি মজা।

প্রিয় বিছানা হতে নামল। আমরা খুবই আল্লাহ্ আল্লাহ্ করছি। আজ আবার কি হয় কে জানে।
ও সোজা আমার আম্মার কাছে। একটু পরেই ফিরল। খুবই উত্তেজিত।
প্রিয় : আব্বু তোমাকে দাদু ডাকে। এক্ষুণি আস।
কাম সারছে। আজ কি যে হয় ? গেলাম আম্মার রুমে। প্রিয়ও সাথে।

প্রিয় : দাদু , এই যে দেখ। আব্বু ব্যাথা পেয়েছে। আম্মু আব্বুর মুখে কামড় দিয়েছে।
ওরে আল্লাহ্ রে আমি কই আছি এখন ? দৌড়ে আম্মার সামনে হতে- আমাদের রুমে গিয়ে পৌঁছালাম। প্রিয়র আম্মুকে বল্লাম- তোমাকে আম্মা ডাকছেন । (মনে মনে বলছি- যাও যাও ঝামেলায় পর )

আম্মুকে দেখেই
প্রিয় : দাদু , আম্মুকে ধমক দাও, আব্বুর মুখে কামড় দিয়ে, আব্বুকে ব্যাথা দিল কেন ?
এই কথা শুনে আমার বউও দৌড়।
প্রিয় তার দাদুকে তখনো বলছে- তুমি আম্মুকে ধরলে না কেন ? ধমক দিলে না কেন ? প্রিয়র দাদু প্রিয়কে বুদ্ধি দিল- তোমার আব্বুকে বল, আম্মুর মুখে কামড়ে দিতে।
সমাধান টা প্রিয়র খুব পছন্দ হল।


এই আমার ছোট ছেলে প্রিয় ।


যে মাত্র ২ বছর বয়ষে এই কম্পিউটারটি বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল আমাদেরকে ।
আমরা ইচ্ছা করে, ঐ ঘটনা গিনিস বুকে উঠানোর ব্যাবস্হা করিনি। কারন - প্রিয়র সাফল্য ঐ তুচ্ছ গিনিস রেকর্ডে উঠিয়ে কি লাভ ?

আজ তার জন্মদিন ।
শুভ জন্মদিন প্রিয় বেটা ।

0 Shares

৩৪টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ