বাংলাদেশে জ্ঞত লোকের চেয়ে অজ্ঞ ব্যক্তি বেশি। বাংলাদেশে অজ্ঞতা একটি গুরুতর সমস্যা যা সমাজের উন্নয়নের জন্য একটি বাধা।এর কারণ হল বাংলাদেশে শিক্ষার হার এখনও খুবই কম। ২০২৩ সালের আদমশুমারির তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার মাত্র ৭৪.৭% সাক্ষর। এর মানে হল যে প্রায় ২৫.৩% জনসংখ্যা সাক্ষর নয়। সাক্ষরতা শিক্ষার একটি প্রাথমিক স্তর এবং এটি একজন ব্যক্তির জ্ঞানের একটি ভিত্তি প্রদান করে। সাক্ষরতা ছাড়া, একজন ব্যক্তি নতুন ধারণা এবং তথ্য শিখতে পারে না।শিক্ষার পাশাপাশি, বাংলাদেশে অন্যান্য কারণও রয়েছে যা অজ্ঞতার দিকে পরিচালিত করে। এর মধ্যে রয়েছে:বৈষম্য: বাংলাদেশে সামাজিক বৈষম্য রয়েছে যা কিছু গোষ্ঠীর শিক্ষার সুযোগ সীমিত করে দেয়। উদাহরণস্বরূপ, নারী এবং দলিতরা প্রায়ই সংখ্যাগরিষ্ঠদের তুলনায় কম সুযোগ পায়। দারিদ্র্য:দারিদ্র্য শিক্ষার জন্য একটি বড় বাধা। দরিদ্র পরিবারগুলি প্রায়ই তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে পারে না কারণ তাদের কাজ করতে হবে বা তাদের সন্তানদের দেখাশোনা করতে হবে।এখন আরো দেখা যাচ্ছে অল্প বয়সে লেখাপড়া ছেড়ে দিয়ে বেশিরভাগ তরুণ বিদেশগামী হচ্ছে।যা সমাজে স্বাক্ষরতা হারে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।অশিক্ষিত নেতৃত্ব:অশিক্ষিত নেতৃত্ব অজ্ঞতার দিকে পরিচালিত করতে পারে। অশিক্ষিত নেতারা প্রায়ই তাদের জনগণের জন্য ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। শুধু তাই নয় আমাদের দেশে বর্তমান সময়ে নামে শিক্ষিত হচ্ছে অনেক কিন্তু কাজে কিছুই হচ্ছে না।বাংলাদেশে অজ্ঞতার হার কমাতে এর থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।শিক্ষার জন্য প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি করতে হবে যা শিক্ষার জন্য আরও বেশি সুযোগ তৈরি করতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে স্কুলের সংখ্যা বৃদ্ধি করা, শিক্ষার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা এবং সামাজিক বৈষম্য দূর করা। এছাড়া সবথেকে প্রদান বিষয় শিক্ষার গুণমান উন্নত করা।এর মধ্যে রয়েছে শিক্ষকদের জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান করা, শিক্ষার পাঠ্যক্রম আপ-টু-ডেট করা এবং শিক্ষার্থীদের জন্য আরও কার্যকর শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করা। অতঃপর অজ্ঞতার বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।সরকার এবং বেসরকারি সংস্থাগুলিকে অজ্ঞতার বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে অজ্ঞতার ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে মানুষকে শিক্ষিত করা এবং শিক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে মানুষকে উৎসাহিত করা।অজ্ঞতার হার কমাতে উপরে বর্ণিত এই পদক্ষেপগুলি নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। তাহলে বাংলাদেশে শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারবে।
শিক্ষার্থী সৌরভ হালদার ব্যবস্থাপনা বিভাগ সরকারি ব্রজলাল কলেজ খুলনা
Thumbnails managed by ThumbPress
৩টি মন্তব্য
নার্গিস রশিদ
একেবারে সঠিক জিনিসটা তুলে ধরেছেন। চেতনার অভাব, যুক্তি দিয়ে বিচার করার অভাব , মন মানসিকতা পরিবর্তন দরকার সবচেয়ে বেশি দরকার হাজার রকম কুসংস্কার আর প্রথা দূর করার মানসিকতা। অনেক ধন্যবাদ ।
মনির হোসেন মমি
কথাগুলো বাস্তব।
হালিমা আক্তার
শিক্ষা বিষয়ক চমৎকার বিশ্লেষণ। আমরা সনদ প্রাপ্ত শিক্ষিত। শিক্ষা কে অন্তরে ধারণ করতে পারি নি। সর্বোচ্চ নাম্বার পেতে হবে। সেটা যেভাবেই হোক। ভালো মানুষ হওয়ার লড়াই নাই। সর্ব প্রথম আমাদের এ মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে।