করোনাকালের এ দুর্দিনে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের অশেষ রহমতে বাংলাদেশ মনে হয় ঘুরে দাঁড়িয়েছে।  মানুষ সচেতন বা অসচেতন যেভাবেই হোক না কেন করোনাভাইরাসে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। বলা হয়ে থাকে মানুষ অভ্যাসের দাস। এখন উল্টো অভ্যাস মানুষকে দাস বানিয়ে ছেড়েছে। স্বেচ্ছায়, ইচ্ছা বা অনিচ্ছা সত্ত্বেও মানুষকে অনেক স্বাস্থ্য এবং সামাজিক রীতিনীতি মেনে চলতে হচ্ছে। হাত ধোয়ার অভ্যাস মানুষের মধ্যে গড়ে উঠেছে। সামাজিক দূরত্বও মেনে চলতে অনেকক্ষেত্রে বাধ্য হচ্ছে মানুষ। জীবন আসলে থেমে থাকেনা। জীবন অনেকটা নদীর মতো প্রবাহমান চলমান অবিরাম অবিরত।

পৃথীবিতে একমাত্র মানুষের পক্ষেই সম্ভব স্থান কাল পাত্রভেদে নিজেদেরকে অভ্যস্ত এবং সময়ের সঙ্গে পাল্টিয়ে নেয়া বা মানিয়ে নেয়া। আল্লাহ মানুষকে অনেক গুণের অধিকারী করেছেন। বিপদে ধৈর্য সহ্য সহনশীলতা সহানুভূতি মানবতা মমত্ববোধ আর্ত মানবতার সেবায় এগিয়ে যাওয়া ইত্যাদি। পাশাপাশি নীতি নৈতিকতা মানবতা বিবর্জিত অনেক মানুষের মুখোশধারী নরপশুও আছে সাহেদ, আরিফ, ডাঃ সাবরিনাদের মতো। যারা মানুষের মৃত্যুকে পুঁজি করে অপ-ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছে। জড়িয়ে পড়েছে নকল ভেজাল ঔষধ এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা সরঞ্জামের ব্যবসায়। বিভিন্ন চুরি, দুর্নীতিতে।

প্রাণঘাতী মহামারী করোনাভাইরাস মানব জাতিকে বুঝিয়ে দিয়েছে কে আপন কে পর। কারা মানুষ কারা অমানুষ। সামাজিক দূরত্ব মানুষকে দূরে নিয়ে গেলেও অনেকক্ষেত্রে পারিবারিক বন্ধন মজবুত এবং সুদৃঢ় করেছে। জীবন ধারণের জন্য, ক্ষুধা নিবারণের জন্য, বেঁচে থাকার জন্য জীবিকার কোনো বিকল্প নেই। তাই মানুষ করোনাভাইরাসের মতো মহামারীকেও এখন আগের মতো তোয়াক্কা করছে না। বলা ভালো তোয়াক্কা করতে গেলে না খেয়ে মরতে হবে। আবার খেয়ে পড়ে বাঁচতে হলে করোনাভাইরাসকে সচেতনতার সঙ্গে মোকাবেলা করতে হবে। জীবীকার কাছে জীবন পরাভূত হয়েছে। হয়েছে পরাজিত। তাই বাধ্য হয়ে মানুষ করোনাভাইরাসে অভ্যস্ত হতে শুরু করেছে। মহান আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামিন ছাড়া কেউ জানে না এমন দুর্যোগ থেকে কবে মানব জাতি পরিত্রাণ পাবে। কবে করোনাভাইরাস নির্মূল হবে পৃথিবী থেকে। অতএব হয় বাঁচো নয় মরো এই ব্রত নিয়েই বাংলাদেশের জন সাধারণ এগিয়ে চলছে। বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে।

0 Shares

২৯টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ