বাংলাদেশ ক্রিকেট দূর্বস্থা

মাছুম হাবিবী ২৯ অক্টোবর ২০২১, শুক্রবার, ১১:৫৪:১৮অপরাহ্ন সমসাময়িক ৩ মন্তব্য

দেশ যখন তালেবান সরকারের দখলে ক্রিকেট কিংবা ফুটবল খেলা অনেকটাই কাল্পনিক। বিশ্ব যখন T20 বিশ্বকাপের ঝমকালো আলোয় সজ্জিত। আফগান ক্রিকেট বোর্ডে তখন হতাশার ছায়া। তালেবান সরকার সোজা জানিয়ে দিয়েছে 'ক্রিকেট বোর্ডে সরকারের কোনো প্রকার পৃষ্ঠপোষকতা থাকবেনা। অনেক চেষ্টার পর বিশ্বকাপে অংশ নেয়ার সুযোগ পেলেও। একাদশে কোনো প্রকার অর্থ ব্যয় করবেনা তালেবান সরকার। কিন্তু সরকারের দিকে না তাকিয়ে আফগান ক্রিকেটাররা সিদ্ধান্ত নিলেন ;নিজ খরচেই বিশ্বকাপে অংশ গ্রহণ করবে তারা। ক্রিকেটারদের এমন দৃষ্টান্ত দেখে পাশে দাঁড়ালো আফগানিস্তানের একটি বেসরকারী শিল্প প্রতিষ্ঠান। তাদের সহযোগিতায় বিশ্বকাপে অংশ নেয় আফগানিস্তান ক্রিকেট দল। রশিদ খান, মোহাম্মদ নবির এবং মুজিবদের অক্লান্ত পরিশ্রমে বিশ্বের সামনে মাতৃভূমির পতাকা তুলে ধরতে সক্ষম হয় আফগানিস্তান।

দেশে এত এত সমস্যা থাকার পরও তারা কোনো দিক দিয়েই পিছিয়ে নেই। ২০১৫ সালে প্রথম অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপে। প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল যুদ্ধ বিধ্বস্ত আফগানিস্তান। অথচ তাদের বর্তমান অবস্থান পর্যবেক্ষণ করণে মনে হয়। তারা মেবি বহুবছর ধরে ক্রিকেট খেলে আসছে। আফগানিস্তানের তুলনায় বাংলাদেশ দীর্ঘ বছর ধরে ক্রিকেটের সাথে যুক্ত। কিন্তু বর্তমানে আমাদের বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ডসহ ক্রিকেটারদের খেলার অবস্থান দেখলে মনে হয়। সদ্য বিশ্বকাপে চান্স পাওয়া কোনো দল। আফগানিস্তানের মত সমস্যায় জর্জরিত একটি দেশ যদি বিশ্বকাপে তাপটের সাথে লড়াই করতে পারে। সেখানে আমাদের দেশের ক্রিকেটাররা চুল দাঁড়িয়ে পাকিয়েও কাপ তো দূরে  কথা। দেশের জন্য শান্তিপূর্ণ্য কোনো জয়ই আনতে পারেনি। অথচ বাংলাদেশের একজন ক্রিকেটারের বেতন দিয়ে আফগানিস্তানের ০৩ জন ক্রিকেটার চলতে পারবে। আফগানিস্তানের প্লেয়ারা নিজ অর্থায়নে মাতৃভূমিকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরে। আর আমাদের দেশের ক্রিকেটাররা। মাসের পর মাস লাখ লাখ টাকা বেতন নিয়েও দেশের জন্য হতাশা ছাড়া কিচ্ছু করতে পারেনি।

এত এত টাকা ক্রিকেটের পিছনে খরচ করার পরও দিনশেষে লজ্জাজনক হারে মাঠ ছাড়তে হয়। একেকজন ১০/২০ লাখের উপরের বেতন নিয়ে থাকেন। তারপর মাঠে গিয়ে ১বলে ০৪ রান করার ক্ষমতা থাকেনা তাদের। শুধু মাঠে নয়, মাঠের বাহিরে মিডিয়ার সামনেও দেশের ক্রিকেটারদের চাপাবাজির কাছে সবকিছু হার মানবে। অন্যদেশের ক্রিকেটাররা দেশের মান রক্ষার্থে জীবন দিতে প্রস্তুত। অপরদিকে আমাদের দেশের ক্রিকেটাররা প্রতিদিন দেশ এবং জাতির মুখে চুনকালি দিচ্ছেন। তারপরও তাদের লজ্জা নেই। এতকিছুর পরও উনারা অনুতপ্ত হতে রাজি নয়। আমার তো মনে হয় তারা যে এরকম বাজে ক্রিকেট খেলে মাসের মাস বেতন নিচ্ছে। তা একদম হারাম। কাজের কাজ না করে ভারতি টাকা গুণা হারামই মনে হল! যদি লজ্জা শরম বলতে কোনো কিছু থাকে। তাহলে দেশে এসে একযোগে ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণ করুন। অন্তত দেশ এবং জাতির সম্মান রক্ষার্থে ক্রিকেট থেকে সরে যান। নতুনদের সুযোগ দিন। যদি বাংলাদেশ টিম নতুন একাদশ তৈরী করতে পারে। তাহলে ক্রিকেট খেলবে নয়তো সাময়িক ভাবে ক্রিকেট থেকে সরে আসুক। এরকম লজ্জাজনক হার নিয়ে দেশে শুয়ে থাকলেও বাহিরের দেশে মুখ দেখানো যায় নাহ। আর আফগানদের কাছ থেকে শিখুন। দেশ প্রেম কাকে বলে। সারা জীবন শুধু নিজেদের জন্য খেলে গেলেন। অন্তত এবার অন্য প্লেয়ারদের দেশের জন্য খেলার সুযোগ করে দিন। প্লিজ আপনারা ক্রিকেট থেকে সরে যান। দেশ এবং জাতিকে আর ছোট করবেন না।

 

বয়কট বাংলাদেশ ক্রিকেট বর্তমান একাদশ

0 Shares

৩টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ