রাত্রির শেষে, ভেজা স্বপ্নগুলো
শীত-সকালের কুসুম রোদে
পিঠ মেলে বসে,
সামান্য উষ্ণতা নিয়ে, একটু উষ্ণ হবে বলে;
উষ্ণতা হেসে বলে, নাও না যত্ত খুশি,
তবে সাবধানে কিন্তু বাবু সোনা
পুড়িয়ে ফেল-না যেন, তরতরিয়ে বেড়ে ওঠা
সযত্ন ভালোবাসাগুলো।
আলপথে রাখাল বালক হেঁটে যায় একাকী
ঘাম-রৌদ্রে একাকার হয়ে,
একটু জিরোতে চায় এবারে,
বট-ছায়ায় বাঁশির সুরে।
২৪টি মন্তব্য
সাবিনা ইয়াসমিন
একটি কবিতা নেবার আশায় ,,
প্রহর ভোলা এক দাড়কাক বসে ছিলো ডালে,,
অগুনিত সময়ের পর
কবিতা ওয়ালার ডাক শুনে
উৎসুক মনে ,চকচকে কালো নয়নে
দেখতে চাইলো কবিতার ঝাপি।
কিনতু এ কি !!
মায়াবতী
বাহ খুব সুন্দর লিখেছো তো সাবিনা! চমৎকার!
সাবিনা ইয়াসমিন
ওহহ !! ধন্যবাদ মায়া আপু।আপনি আমাকে ধন্য করে দিলেন 😂
ছাইরাছ হেলাল
আপনার কাক সম্পৃতি কাক সৌহার্দ ও সর্বোপরি কাকানুরাগ টের পাচ্ছি।
কাকের কালো নয়ন চেয়ে আছে নয়নের নয়ানে!!
চালু রাখুন,
সাবিনা ইয়াসমিন
সোনা ঝরা উঠোনে ,হরেক পাখির ভিড়ে কাক গুলোকেই বেশি আপন লাগে !! ইয়ে ,,কাক এর গলা যেমনই হোক ,,মহাভোঁজের উচ্ছিস্ট পাওয়ার পর তার মনেও গুনগুন করে গান চলে আসে 😂
নয়নে নয়ন রেখো না
অমন করে দেখো না,,
নজর লেগে যেতেএএএ পারে
ভালোবাসা হয়েও যেতে পারে 😂😂😂
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকে তো সন্দেহ করি, আপনি কবি!
সেটি ব্যাপার- না, আপনি তা হতেই পারেন, হওয়া উচিৎ-ও,
কিন্তু ঘটনা হলো কবিদের খুব ভয় পাই, অন্য প্রজাতির মনে করি।
আপনাকে তাও ভাবতে চাই না।
আমার আগের লেখাটি পড়লে সামান্য ধারণা পেতে পারেন, ভুল করে (ইচ্ছে করেই)
এড়িয়ে না গিয়ে সেটি সাহসের সাথে পড়ুন।
আসল কথা হলো খুব খুব ইচ্ছে থাকা সত্বেও কবিতা লিখতে পারিনি, পারবো-ও না জেনে গেছি ঐশি বানী থেকে!!
কবিতার সাথে ভাব করার অহর্নিশ চেষ্টা করে শেষ-মেষ ছ্যাকা খেয়ে খান্ত দিয়েছি।
তাই কবিদের হিংসে করি খুব।
নীলাঞ্জনা নীলা
রাত্রির শেষে আরেকটি দিনের উদয় হলো।
বিস্মিত হলো মন, আরেকটি দিনের আয়ু পেলো জীবন—
স্বস্তিহীন, শান্তিহীন,
সুখহীন, আনন্দহীন,
দুঃখ-কষ্ট-যন্ত্রণাহীন, তা-ও নয়।
তবে কী পেলো আরেকটি দিনের আয়ুতে!?
একটা ছোট্ট স্পন্দন— ‘আশা!’ —-ফাঁকি দিয়ে এমন মন্তব্য করলাম। শমশেরনগর চা’ বাগানে থাকাকালীন(১৯৯৭ইং) সময়ের লেখাটার কিছু অংশ তুলে দিলাম।
ছাইরাছ হেলাল
বহুত ফাঁকি-ফুঁকি দেছেন, ভালু হই যান,
পুরো লেখাটি দিন,
বাসি হলেও ভাল-ই লাগবে মনে হচ্ছে।
নীলাঞ্জনা নীলা
ওহো এই লেখাটি চেয়েছেন? ঠিক আছে পরে দেবো।
আপাতত নতুন একখানা লিখেছি, ওটাই পড়ুন। কেমন? 😀
ছাইরাছ হেলাল
মনে থাকে যেন, ওটিও পড়তে চাই, যা ভুল মন আপনার!
অবশ্য বয়স একটি ব্যাপার, নিজেকে দিয়েই বুঝতেছি!
পড়মু মানে, ঝাঁপিয়ে-কাপিয়ে পড়মু!!
ভেরি ভেরি গুড!
নীলাঞ্জনা নীলা
আপনার বয়স কতো?
ছাইরাছ হেলাল
আপনার বয়সের দ্বিগুণ, মাত্র ২৪/২৬!!
মোঃ মজিবর রহমান
একটি দিন্তো পেলাম কি পেলাম তা ভাবি এখন কষ্ট কষ্ট ……।
ছাইরাছ হেলাল
হ্যা, কিছুতো আমরা পেতেই চাই, পাই-ও;
মায়াবতী
আহা কি মনোমুগ্ধকর ছন্দ!!!
ছাইরাছ হেলাল
গুণি হিসেবে মানি/জানি!
মাহমুদ আল মেহেদী
কবিতার প্রেমে পরতে হল মুগ্ধতার সাথে।
ছাইরাছ হেলাল
পড়ার জন্য অবশ্য-ই ধন্যবাদ।
জিসান শা ইকরাম
রাখাল বালকের কি জিরানো হয় আসলে?
ছাইরাছ হেলাল
না, সে ফুরসৎ সে পায় না, তবে সে জিরোতে চায়, প্রাণ মনে।
রিমি রুম্মান
শিরোনামটি বেশ মন কেড়েছে। আমার বেশ পছন্দের একটা গান আছে,
বাঁশি বাজে ওই দূরে
চেনা কি অচেনা সুরে …
দুবার পড়লাম। সুন্দর লেখা।
ছাইরাছ হেলাল
আপনার প্রশংসা পায়ে আনন্দিত হলাম।
ঐ গানটি আমার-ও পছন্দের গান।
রিতু জাহান
পুড়ে যাক না একটুখানি। ক্ষতি কি? ভালবাসাগুলো একটু পুড়ে খাঁটি হোক। মুগ্ধতায় ভরা এ কবিতার প্রতিটা শব্দ। দাঁতগুলো ঠিক আছে।
পথহারা পাখি
“পুড়িয়ে ফেল-না যেন, তরতরিয়ে বেড়ে ওঠা
সযত্ন ভালোবাসাগুলো”
সত্যিই ভালোবাসা তো প্রজাপতির নরম পাখার মত, তাকে যত্নে ছুঁতে হয়… -{@