শান্তা: চলো প্রবাল আজ দুরে কোথাও যাই
প্রবাল: আচ্ছা চলো
শান্তা: আমার সব কথায় তুমি আচ্ছা বলো কেন?
প্রবাল: তো কি বলবো?
শান্তা: মাঝে মাঝে প্রশ্ন করতে হয়, বুঝলে?
প্রবাল: যেমন?
শান্তা: এই যেমন বললাম চলো, তুমি জিজ্ঞেস করবে না কোথায় যাবো?
প্রবাল: না জিজ্ঞেস করব না, তুমি কি আমায় ভালো না লাগার জায়গায় নিয়ে যাবে?
শান্তা: না, তা নেবো না। তবে আজ তোমার পছন্দের জায়গায় নিয়ে যাবে।
প্রবাল: আমার পছন্দের জায়গায়? সে তো বহুদুর, যেথায় আছে নৈসর্গিক গ্রামের মাঝে একটি স্বপ্নীল বাড়ি। তোমার যেতে কস্ট হবে।
শান্তা: হোক কস্ট, তবুও আমি যাবো। তুমি সাথে আছো, আমার কস্টকে কষ্টই মনে হবে না।
প্রবাল: আচ্ছা চলো
শান্তা: তোমার কাছে একটি প্রশ্ন প্রায়ই করি, তুমি উত্তর দাও না কেন?
প্রবাল: কোন প্রশ্ন?
শান্তা: আমাকে তুমি রেখেছ কোথায়?
প্রবাল: এত দিনেও তা তুমি বোঝোনি?
শান্তা: বুঝলেও তোমার কাছে শুনতে ইচ্ছে করে।
প্রবাল: আচ্ছা শোনো, তুমি আমার মুক্তা। পেয়েছ উত্তর?
শান্তা: মানে কি? তুমি তো আমাকে প্রায়ই আদর করে মুক্তা ডাকো। এর সাথে রাখার কি সম্পর্ক?
প্রবাল: আমি ঝিনুক, তুমি মুক্তা। আমার বুকের শক্ত খোলসের অভ্যন্তরের সবচেয়ে নরম স্থানে তোমাকে রেখেছি।
শান্তা: ভালোবাসি তোমাকে অনেক প্রবাল।
প্রবাল: আমিও ভালোবাসি তোমাকে
শান্তা: আর কতদুর নিয়ে যাবে আমায়?
প্রবাল:এইত কাছেই চলে এসেছি। ভয় করছে?
শান্তা:কিসের ভয়? তোমাতে সমর্পন করেছি নিজেকে। রক্ষা তো তুমি করবে?
প্রবাল: আচ্ছা।
শান্তা:জানো প্রবাল,তুমি সাথে থাকলে তোমার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকি শুধু, আমার অন্য কিছুতে মন থাকেনা। মনে হয় এই জগতে শুধু আমরা দুজন।
প্রবাল: আমার মুখ থেকে দৃষ্টি ফিরিয়ে এবার সামনে তাকাও।
শান্তা: ওয়াও, এতো স্বর্গের চেয়েও সুন্দর।
প্রবাল: ওই বাড়িটা চাই তোমার?
শান্তা: হ্যা চাই। আমাদের দুজনের হোক বাড়িটা।
প্রবাল: আমাদের দুজনেরই তো বাড়িটা।
শান্তা: তাই? এই গ্রামের নাম কি?
প্রবাল: স্বপ্নপুর
শান্তা: আর বাড়িটার নাম?
প্রবাল: স্বপ্নীল
শান্তা: চলো একসাথে দুজনেই প্রবেশ করি দরজা খুলে।
প্রবাল: আচ্ছা 🙂

0 Shares

২৬টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ