সাগরঘেঁষা প্রাচীন চন্দ্রদ্বীপ বারবার বর্মি আর পূর্তগিজ জলদস্যুদের অবাধ লুণ্ঠন ক্ষেত্রে পরিণত হওয়ায় শ্রীনগর ( মাধবপাশায় ) চন্দ্রদ্বীপের রাজধানী স্থায়ী ভাবে প্রতিষ্ঠা করেন , চন্দ্রদ্বীপ রাজবংশের কীর্তিমান পুরুষ , রাজা রামচন্দ্র । রাজবাড়ির কিছুই অবশিষ্ট নেই। বেশ কিছু দীঘি যার অধিকাংশই এখন ভড়াট হয়ে গিয়েছে , তা এখন কালের সাক্ষী। রাজবংশের অধিকাংশ সদস্য এবং জমিদারেরা বর্তমানে ভারতে বসবাস করছেন। ১৯৫০ এর দাঙ্গায় জমিদার বাড়িতে কয়েকশত হিন্দুকে হত্যা করা হয় ।
রাজবংশের রাজা শিব নারায়ণের প্রজাবৎসল স্ত্রী রানী দুর্গাবতী ১৭৮০ খ্রিস্টাব্দে বিশাল এক দীঘি খনন করে এখনো অমর হয়ে আছেন। তার নামেই এই দীঘি " দূর্গা সাগর " নামে পরিচিত । সাগর দিয়ে এর বিশালত্বকে বুঝানো হয়েছে।

এত বড় দীঘি বরিশাল বিভাগে আর নেই। এটি এখন পর্যটকদের এবং প্রকৃতি প্রেমীদের কাছে একটি সুন্দর স্থান। বিশাল সিমেন্টের প্রশস্ত ঘাটলা , দীঘির মাঝে একটি সুন্দর দ্বীপ , যেখানে শীতকালে অতিথি পাখিদের কলকাকলিতে মুখরিত থাকে। পাখিদের অভয়ারণ্য এই এলাকা । দীঘির পারে সরু রাস্তা , মাঝে মাঝে বসার বেঞ্চ , ঘন সবুজ বিভিন্ন ধরনের গাছ - আপনাকে দিবে অনাবিল শান্তি। ইচ্ছে করলে আপনি এখানে পিকনিক করতেও পারেন। যারা বরিশালে আসবেন , এই দূর্গা সাগর দেখতে ভুলবেন না। মৎস্য শিকারিরাও এখানে আস্তে পারেন - বিশাল আকৃতির মাছ ধরার জন্য । বছরের কোন এক সময় - টিকিট কেটে বড়শি দিয়ে মাছ ধরার সুযোগ আছে এখানে।

যেভাবে আসবেন এখানে :
বরিশাল থেকে পাবলিক বাসে আসা যায়। নথুল্লাবাদ বাস টারমিনাল থেকে বরিশাল - বানারিপাড়া বাস এ দূর্গা সাগর নামতে হবে। এ ছাড়া মাইক্রো , প্রাইভেট কার , স্কুটার যোগেও আসা যাবে। বরিশাল থেকে মাত্র ২৫ মিনিট থেকে ৪৫ মিনিটের পথ ।

দূর্গা সাগরের কিছু ছবি

0 Shares

১৫টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ