তামিম ইকবাল খান যখন অবসরে যাওয়ার ঘোষণা দেন। তখন সাংবাদিক ইলিয়াস ভাই একটি ভিডিওতে বলেছিলেন 'আমি তামিমকে খুব কাছ থেকে চিনি। বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের মধ্যে তামিমের মত নরম মন এবং অহংকারহীন মানুষ আমি খুব কম দেখেছি। তামিম অনেক অসহায় গরীব মানুষদের হেল্প করে। তা হয়তো সব সময় প্রকাশ্যে আসেনা। সেদিন কিছুটা আন্দাজ করেছিলাম তামিম ঠিক কোন মাপের মানুষ। অপরদিকে বাংলার টাইগার সেঁজে যে লোকটি ক্রিকেট মাঠে বাংলাদেশ বাংলাদেশ বলে চিল্লায়। তাকে বহুবার তামিম ফ্রিতে সফরসঙ্গী হিসাবে খেলা দেখতে বিদেশে নিয়ে গিয়েছে। তামিমের এরকম বহু গুণ অহরহ রয়েছে। ফ্রেশ মাইন্ড এবং কুল থাকার দিক দিয়ে তামিম একজন সলিট মানুষ!
কিন্তু আমি শুধু একটা কথাই ভাবছি। ক্রিকেট বোর্ডে যার চাচা যুক্ত রয়েছেন। যার ভাই যুক্ত রয়েছেন এমন কি খান পরিবারের সাথে প্রধানমন্ত্রীর আলাদা খাতির রয়েছে। এতকিছু থাকার পরও তামিমের মত লোকের সাথে যদি এরকম আচরণ করা হয়। তাহলে বাকিদের সাথে শেষ বয়সে কি হবে সেটাই ভাবতেছি! যারা আজ তামিমের থাকা না থাকা নিয়ে ষড়যন্ত্র করতেছেন এবং উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন শেষ বয়সে তাদের কি হবে সেটা ভেবেই হাসি পায়। তামিমের প্রতি বিসিবি অবিচার করেছে। পুরো কাহিনিটার মধ্যে কেমন একটা রহস্যের গন্ধ খুঁজে পাই। কিন্তু রহস্যটা আসলে কি সেটাই বুঝতে পারছিনা।

এখন আমি দেশের একজন নাগরিক এবং ক্রিকেট প্রেমী মানুষ হিসাবে একটা কথাই বলবো। আমাদের উচিৎ ভারত ODI বিশ্বকাপ বয়কট করা। দেশের হয়ে গলা ফাটানো বন্ধ করা। যে যার জায়গা থেকে বিসিবি এবং ক্রিকেটে ঘটে যাওয়া রাজনীতির মারপ্যাঁচের বিরোদ্ধে সোচ্চার হয়ে বর্তমান পিকনিক ক্রিকেট দলটাকে বয়কটের ডাক দেয়া উচিৎ। এমনিতে তো আমরা কিছু করতে পারবোনা। যদি আমরা কেউ মাঠে গিয়ে খেলা না দেখি, সাপোর্ট না দিয়ে বাড়িতে বসে থাকি। এমন কি টিভি এবং মোবাইলে বিডির খেলা দেখা থেকে বিরত থাকি। তাহলে বিসিবির রস কমে যাবে। এতে করে বিশ্বের কাছে আমাদের নিশ্চুপ প্রতিবাদটা ইতিহাস হয়ে থাকবে। পকেটের টাকা খরচ করে মাঠে গিয়ে খেলা দেখতে যাবেন। দেশকে সাপোর্ট দিতে যাবেন, অথচ দেশের কাছে আপনি/আমার আবেগ অনুভূতির কোনো মূল্য নেই। অতএব, যে যার জায়গা থেকে এবার ভারত বিশ্বকাপে বিডি টিমের প্রতিটা ম্যাচ বয়কটের ডাক দিলে নতুন আরেকটি বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম তৈরী হবে ইনশাআল্লাহ্
একটি মন্তব্য
হালিমা আক্তার
তামিম নিঃসন্দেহে একজন নির্ভর যোগ্য খেলোয়াড়। তাঁর সাথে যদি অন্যায় মূলক আচরণ করা হয়ে থাকে অবশ্যই নিন্দনীয়। কিন্তু আবেগ দিয়ে জীবন চলে না। আফগানিস্তানের সাথে সিরিজ চলা কালীন সময়ে আর খেলবেন না বলে যে ঘোষণা দিলেন সেটা কতটুকু খেলোয়াড় সুলভ আচরণ। একসময় তামিমের ফর্ম ছিল না। তখন চাচার জোরে টিকে ছিলেন। সত্যি অবাক হচ্ছি আমাদের আবেগ দেখে। এর সাথে খেলা বয়কটের কি সম্পর্ক জানি না।