
কোটি কোটি টাকার লোভে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়মিত ধরা পড়ছে নিরীহ সরীসৃপ প্রাণী তক্ষক। সারাদেশেই তক্ষক পাচারকারীরা ব্যাপক তৎপর। শুধু অর্থের লোভে দেশের পাচারকারীরা বিদেশে পাচারে সহায়তা করছে মূল্যবান এসব বন্যপ্রাণী।
কিন্তু কী কারণে একেকটি তক্ষকের মূল্য এত! এর কারণ অনুসন্ধানে বিশেষজ্ঞরা জানান, মূলত মহাবিপন্ন বা বিপন্ন প্রাণীদের অতি উচ্চমূল্যে বিক্রির দূরদর্শী পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই অবৈধভাবে সংগ্রহ করা হচ্ছে এসব প্রাণী। আর প্রাণীগুলো সংগ্রহ করছে চীন।
এগুলোর মূল হোতা হচ্ছে চায়না। চায়নাতে ওরা যেটা করে তাহলো এক. মেডিশনাল কাজে ব্যবহার করে এবং
দুই. বিপন্ন প্রাণীদের সংরক্ষণ ও প্রজনন। অর্থাৎ ভারত, বাংলাদেশসহ এ অঞ্চলের বিপন্ন বন্যপ্রাণীগুলোকে টাকার বিনিময়ে ধরে নিয়ে যায়।
‘মনে করেন কোনো প্রজাতি পৃথিবীব্যাপী মহাবিপন্ন হয়ে পড়লো। আর সেগুলোর খবর যখন পত্র-পত্রিকা, গণমাধ্যম বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত হয় তখন ওরা ওই প্রাণীটাকে টার্গেট করে সংগ্রহ করে তাদের প্রজননকেন্দ্রে নিয়ে রাখে। এর উদ্দেশ্যই হলো যখন আমাদের এ অঞ্চল থেকে এই প্রাণীগুলো চিরতরে হারিয়ে যাবে তখন ওরা সেগুলো উচ্চমূল্যে আবার বিক্রি করতে পারবে। এটা শুধু তক্ষকের ক্ষেত্রেই না। অন্য বিরল প্রাণীর ক্ষেত্রেও।’
Thumbnails managed by ThumbPress
২৮টি মন্তব্য
আকবর হোসেন রবিন
দারুণ তথ্য। অনেক আগে তক্ষক নিয়ে একটা নাটক দেখেছিলাম। আজ আবার নতুন করে অনেক কিছু জানতে পারলাম। ধন্যবাদ আপনাকে এতো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সবার সাথে শেয়ার করার জন্য।
শামীম চৌধুরী
কৃতার্থ ভাই।
সুরাইয়া পারভিন
তক্ষক সম্পর্কে জানতাম না আমি।এটা আদৌও বিক্রি হয় কিনা জানতাম না। অনেক কিছু জানা হলো আপনার লেখার মাধ্যমে।
সুন্দর পোস্ট
শামীম চৌধুরী
কিছু অর্থলোভী মানুষ বিব্রত হয়ে বনে-বাঁদাড়ে ঘুরে ঘুরে এই সরীসৃপ প্রাণীকে ধ্বংসের মুখে ফেলে দিচ্চে। আমরা যদি এদের সচেতন করতে না পারি তবে একদিন এই প্রানীগুলো প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যাবে আপু।
মোঃ মজিবর রহমান
এটা দেখেছি কিনা জানিই না তবে না তক্ষক প্রথম জানলাম। আপনাকে ধন্যবাদ শামিম ভাই।
শামীম চৌধুরী
অনেক ধন্যবাদ মজিবর ভাই
মোঃ মজিবর রহমান
আপনাকেঅ শামিম ভাই।
তৌহিদ
তক্ষক নামটাও যেমন সুন্দর দেখতেও কিন্তু দারুণ। তক্ষক কি রঙ পরিবর্তন করতে পারে ভাই?
আজ তক্ষক নিয়ে অনেক কিছু জানলাম এই লেখায়।
শামীম চৌধুরী
নাহ। তক্ষক গিরগিটির মতন রং বদলাতে পারে না।
তৌহিদ
ধন্যবাদ ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
এ তথ্যগুলো এই-ই প্রথম জানলাম।
আপনার ক্যামেরা দেখছি বিরাট খাদক, কিছুই এড়িয়ে যায় না।
শামীম চৌধুরী
হা হা হা…!! হেলাল ভাই, নেশা যেমন ফুরায় না ঠিক তেমনি লেন্স কিছুরই ছাড় দেয় না।
মনির হোসেন মমি
তক্ষক এর ছবিটা খুব চমৎকার লাগছে। সে জন্যেতো আমাদের নবীজি জ্ঞান আহরণের জন্য শুধু চীনের নামটিই বলেছেন। চমৎকার লেখা ছবি ও তথ্য যা ছিলো অজানা তা আজ আপনার কল্যায়ণে হল জানা। ধন্যবাদ।
শামীম চৌধুরী
ধন্যবাদ মমি ভাই।
হালিম নজরুল
আপনার প্রতিটি পোস্টের মত এটিও আমার মন কেড়েছে ভাই।
শামীম চৌধুরী
কৃতার্থ নজরুল ভাই।
নিতাই বাবু
তক্ষক বিষয়ে আগে তেমন জানাই ছিল না দাদা। যা জানা হলো, তা আপনার লেখনীয় পোস্ট থেকেই। শুভকামনা আপনার জন্য।
শামীম চৌধুরী
আপনার জন্যও রইলো শুভ কামনা দাদা।
ইঞ্জা
দুঃখজনক ভাবে এই দেশের মানুষের এতো লোভ বেড়েছে যে এখন জীব বৈচিত্র তাদের হাতেই ধবংস হয়ে যাচ্ছে, শুধু কি জীব বৈচিত্র, গাছপালা কেটে সাফ করে ফেলছে এই মানুষরূপী অমানুষরা, যার কারণে এই পৃথীবি এখন ধবংসের দ্বারপ্রান্তে।
ধন্যবাদ ভাই চমৎকার পোস্টটির জন্য।
শামীম চৌধুরী
কৃতার্থ ইঞ্জা ভাই।
ইঞ্জা
ভালোবাসা অফুরান। ❤
চাটিগাঁ থেকে বাহার
তক্ষক নিয়ে সুন্দর তথ্য দেয়ার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
শামীম চৌধুরী
কৃতার্থ ভাই।
জিসান শা ইকরাম
বিপন্ন প্রানী চিন কিনে নিচ্ছে!
অবাক হলাম এমন তথ্য জেনে।
আমাদের দেশের মানুষের যে লোভ,
তাতে ধরেই নেয়া যায় যে এই প্রাণীর অস্তিত্ব দেশে আর থাকবে না।
শুভ কামনা আপনার জন্য।
শামীম চৌধুরী
মানুষ লোভে পড়ে নিজেদের সম্পদ নিজেরাই ধ্বংস করার নেশায় মেতে থাকে। কষ্ট বাড়ে যখন প্রাণীগুলির জন্য কিছুই করতে পারিনা তখন। ভালো থাকবেন ভাই।
শামীম চৌধুরী
আমার লেখা যারা পড়েছেন ও আমাকে উৎসাহ দিয়ে যাচ্চেন সবাইকে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে জানাই ধন্যবাদ ও শুভ কামনা। সবাই ভালো থাকুন ও প্রকৃতির সাথে মিশে থাকুন।
সাখিয়ারা আক্তার তন্নী
খুব ভালো লাগলো,
রেহানা বীথি
কতভাবে আর লোভের প্রকাশ করবো আমরা!
খুব ভালো লাগলো আপনার পোস্ট।