বন্ধুতার আলোয়

নীলাঞ্জনা নীলা ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫, রবিবার, ০৫:৩০:৫৩পূর্বাহ্ন একান্ত অনুভূতি, কবিতা ৫৪ মন্তব্য

পড়ন্ত বিকেল
পড়ন্ত বিকেল

ভোরের শরীরে বিকেলের রোদ এসে পড়ে রোজকার মতো।
তুই চোখ মেলে দেখ;
ওদিকে চাইলেই হীরের মতো দ্যুতি ছড়াবে বন্ধুতা আমাদের
ওই রোদের আলোয় সুন্দর খেলা করে,
নেচে ওঠে আমার পড়ন্ত বিকেল।
অঘ্রাণের এই বেলায় ফসলের মাঠে ঢেউ তুলছে সোনালী ধান।
তার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নাম-না-জানা এক নদী
তুই তখন ছুঁয়ে নিস ওই জল।
ওখানে তোর জন্যে রেখেছি আমি, আমার আবেগের একগোছা স্তব্ধতা।
সামাজিক দৃষ্টিকে উপেক্ষা করে চল, আলো ছুঁয়ে আসি
অন্ধকারের ভেতর জোনাকির আলো,
কৃষ্ণপক্ষে নক্ষত্রের আলো,
শুক্লপক্ষে পূর্ণবতী চাঁদের থেকে চুয়ে চুয়ে পড়া জ্যোৎস্না
সব থেকে একটু একটু করে আলো নিয়ে দুটি হাতের পাতায় মেহেদির মতো আলপনা আঁকি।
তারপর নয় ঘাসের বুকে বসে আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখবো
ওই যে সাজানো আমাদের শৈশব, কৈশোর, তারুণ্য বেলা পাশাপাশি অথচ সহস্র মাইল দূরে সমান্তরালভাবে ছুটে চলেছে---
পৃথিবী জানতো একদিন আমাদের কথা হবে,
সময় জানতো একদিন তুমুল আড্ডার আসর বসবে।
একদিন এই আসরে আমরা দুজনেই একই আবেগে জড়িয়ে যাবো।
সেদিন সবাই জানবে আমাদের কথা। আমাদের গল্প। আমাদের এই বন্ধুতা।

স্বার্থপরের মতো কেড়ে নেয়া প্রেমের সম্পর্ক নয় যে, এ আমাদের বন্ধুতা।

হ্যামিল্টন, কানাডা
৫ আগষ্ট, ২০১৫ ইং।

বন্ধুত্ত্বের মতো পবিত্র সম্পর্ক আর কোথায়? সম্পর্কের শুদ্ধতা এখানেই। আমরা ছেলে-মেয়ের বন্ধুত্ত্বকে বড়ো বাঁকা চোখে দেখি। বন্ধুত্ত্বর কোনো জেন্ডার নেই। বয়সের উপর ভিত্তি করে বন্ধুত্ত্ব হয়না। সমবয়সী থেকে ছোট কিংবা বড়ো যে কেউ বন্ধু হতে পারে। আজকার এই লেখাটি বন্ধুতাকে তুলে ধরতে। সোনেলা আমায় ভালো বন্ধু দিয়েছে। জয়তু বন্ধুতা! জয়তু সোনেলা!! -{@

**প্রথম ছবিটি ২০০৯ সালের ১৯ মার্চ তারিখে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে তুলেছিলাম। দ্বিতীয় ছবিটিতে আমার ছেলে নভোনীল তীর্থ আর আমার ভাই রানার মেয়ে রূপকথা রাই। বয়সে দুজনার বিস্তর ফারাক, দেখাও হয়না সেভাবে। কিন্তু ওদের বন্ধুত্ত্বটা অনেক গাঢ়। ২০১৫ সালের মার্চ মাসে ছবিটি তুলে রানা।

বন্ধুতা
বন্ধুতা

0 Shares

৫৪টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ

Thumbnails managed by ThumbPress