চোখে ছিল ঊর্মিমালা, লুকিয়ে এক ফাঁকে,

ঊষা লগ্নে তিলক এঁকেছিনু কপোলে!

রেখে দিও যত্নে ভালোবাসার চিহ্ন ভেবে!

একদিন পরিযায়ী পাখির দেশে ছিল অস্থায়ী ক্যাম্প,

ছিলো কৈশোর মাখা চড়ুইভাতির রসদ,

মুখে লেগে রয়েছে আজো নোনা স্বাদ।

রান্না বাটি খেলার আনাড়ি আয়োজনে,

জমে উঠেছিল একবেলার সংসার!

আহা! স্মৃতির পাতায় লিপিবদ্ধ স্বাধের কৈশোর!

চীনের দুঃখ হোয়াংহো, আমাদের দূরত্ব।

আন্তঃনাক্ষত্রিক রুঢ় সত্য, কাঁটাতারে বিদ্ধ সীমান্ত!

ফেলানীর মত ঝুলে আছি মূলত।

পুনরায় প্রতিস্থাপিত হবেনা ক্যাম্প,

প্রাসাদ জুড়ে নিশ্চিদ্র পাহারা;

বাহিরে নাকি রয়েছে শ্বাপদ!।

আর কখনো পূর্ণ চাঁদের জোছনা দেখা হবেনা,

পূরণ হবেনা রাজ বন্দিনীর ব্যর্থ মনোরথ।

যেমন মিলিত হয়না ঈশান নৈঋত।

একদিন বাবুই হব, জনবিরল কোনো দ্বীপে!

খড়ির চ্যালা কুড়োনো অব্যাহত রবে;

বয়স হবে মৃত্যু ছুঁই ছুঁই,

ভালোবাসা হিল্লোলিত হবে তার সমীপে!

সন্ধ্যার লাল আভার ক্ষানিকটা সেদিন ;

মেখে দিও শূন্য কুন্তলে!

সিঁথির রঙে চিনে নিও, যদি পরের কোনো জনম থাকে!

0 Shares

২০টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ