বছরের সালতামামি

ছাইরাছ হেলাল ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, ০৩:৩২:০৬অপরাহ্ন একান্ত অনুভূতি ৪০ মন্তব্য

 

বছরের শেষে এসে লিখতে ইচ্ছে হচ্ছে, লিখব ভাবছি আর ভাবছি, কী লিখব জানিনা, লিখব কিনা তাও বুঝছি না। লিখলে কী হবে? না লিখলেই বা কার কী এমন বয়ে যাবে? আসলে লেখালেখি করা একদম ঠিক না। আমিও ঠিক করেছি আসল কিছু লিখব না। কাউকে পড়ার ফ্যাসাদে পড়তে হবে না। শীত-ঘুম জারি আছে, থাকুক তা।
তবে কথা হলো বছরের শেষ না লিখলে কেমন হয়! সারা বছর তো কিছুই লিখলাম না। কথা কিন্তু মিছা না। শুনতে পাই কী-বোর্ড দাপালেই/দাবালেই লেখারা সুর সুর করে হামলে পড়ে, বেশ তো তা হলে তো হয়েই গেল, কিন্তু কৈ এতক্ষণ ধরে চেষ্টা-চিত্তির করে যাচ্ছি কিছুতেই তো কিচ্ছু হচ্ছে-টচ্ছে না, আচ্ছা সবুরে মেওয়া!!

দিগন্তে এলিয়ে পড়া সোনালী আভা
শূন্যতা এড়িয়ে লাজুক আলো জ্বেলে বলে,
আসবো আবার ফিরে ফিরে আধারের সমীকরণ
ছিঁড়ে ফেলে, সমান্তরাল শূন্যতা ঢেকে ফেলে
আড়াল বারান্দাতে দেখতে পাবে;

এ সব ঢেঁড় শুনেছি-দেখছি, স্পষ্ট রূপে,
চ’লে যেতে যেতে স্বভাবী-ছলনায় মুখস্থ শ্লোক বাক্যের মত
সবাই এমন-ই বলে!

শুনতে পাই লেখারা গাছে ধরে, খুঁজে-পেতে তেমন গাছ আমার-ও চাই, পাইও তা, কিন্তু কৈ! গাছ থেকে টুপ করে তো কোন লেখা পড়ে না, পড়ে ছুটে-ফুটে আসে না। বেমালুম বিরক্তি এড়িয়ে নাছোড়-বান্দা টাইপ কিছু একটা হয়ে গ্যাঁট হয়ে বসে গেলাম, লেখা আমার চাই-ই এই শেষের বেলায়। জড়িয়ে-গড়িয়ে সে যেমন করেই হোক। হিম বাতাস বয়ে যায়, পাখিরা আসে যায়, কিন্তু লেখা তো অধরাই থেকে যায়, চাদর মুড়ে বসে বসে ভাত ঘুম এসে যায়……………

সম্মতি-বানী হাতে নিয়ে নেমে আসে লেখা-পরী,
অকারণ ভালোবাসায়, উষ্ণ-নিঃশ্বাস-সোহাগে ঢেকে বলে
ভেবো না তো আর অতশত, এই আমাকে দেখো চোখ মেলে,
পুঁথির ভাঁজ খুলে পড়ে নেও যত খুশি, সমর্পণের সব পাতা; শেষ অবধি।

সহসাই কাক-চেঁচামেচিতে তন্দ্রা কেটে যায়, সহস্র কাকের কা-কা ধ্বনি!
এ আমি কোথায়! কোথায় সে লেখা-গাছ! লেখা-পরী! কাক রাজ্যে আমিও কী আজ কাক-বাসী!

(দিল-নরম-শরম কবিদের কাছে ক্ষমা-প্রার্থী)

0 Shares

৪০টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ