আজ জাতীয় শোকদিবস।১৯৭৫ এর এই দিনে আমরা হারিয়েছি আমাদের বাঙ্গালী জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তানকে।ঘাতকের বুলেটের আঘাতে ছিন্ন ভিন্ন হয়ে গিয়েছেন আমাদের জাতীর পিতা।যে স্বপ্ন নিয়ে আমরা ১৯৭১ সনে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি সে স্বপ্ন মাটিতে লুটিয়ে দেয়ার জন্য বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের পরে ৭১ এর পরাজিত শক্তির উত্থান এটিই প্রমান করে যে এই হত্যাকাণ্ড ছিল পাকিস্থান পন্থিদের যারা ৭১ এ পরাজিত হয়েছিল। পরবর্তিতে জেল খানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যা এবং প্রায় দুই হাজার মুক্তিযোদ্ধা সেনা অফিসারকে হত্যার মধ্য দিয়ে ৭১ এর পরাজিত শক্তির আধিপত্য কায়েম করা হয়।ধর্মকে নিয়ে আসা হয় কু মতলব হাসিল করার হাতিয়ার হিসেবে,যার জের এখনো বয়ে বেড়াচ্ছে দেশ।
যে নেতার প্রাণ মিশে আছে এদেশের মাটি,ধুলিকনায়,মানুষের অন্তরে।সে নেতার শারীরিক মৃত্যু দিয়ে তাকে মুছে ফেলা যায়নি।মানুষের ভালোবাসায় তিনি ফিরে এসেছেন প্রবল ভাবে।
আজকের এইদিনে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী গ্রন্থের পিডিএফ ডাউনলোড করার জন্য নিবেদন করলাম সোনেলায়।
full_203774609_14265107761

বঙ্গবন্ধুর লেখার এই অংশে চোখ আটকে গেলো আমার,উপলব্দি করছি বঙ্গবন্ধু কেমন বাবা ছিলেনঃ
Bongobondhu

অসমাপ্ত আত্মজীবনী সম্পর্কে কিছু কথা,যা বইয়ের প্রারাম্ভেই দেয়া আছে।
২০০৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা চারটি খাতা আকস্মিকভাবে তাঁর কন্যা শেখ হাসিনার হস্তগত হয়। খাতাগুলি অতি পুরানো, পাতাগুলি জীর্ণপ্রায় এবং লেখা প্রায়শ অস্পষ্ট। মূল্যবান সেই খাতাগুলি পাঠ করে জানা গেল এটি বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী, যা তিনি ১৯৬৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকা সেন্ট্রাল জেলে অন্তরীণ অবস্থায় লেখা শুরু করেছিলেন, কিন্তু শেষ করতে পারেননি।
জেল-জুলুম, নিগ্রহ-নিপীড়ন যাঁকে সদা তাড়া করে ফিরেছে, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে উৎসর্গীকৃত-প্রাণ, সদাব্যস্ত বঙ্গবন্ধু যে আত্মজীবনী লেখায় হাত দিয়েছিলেন এবং কিছুটা লিখেছেনও, এই বইটি তার সাক্ষর বহন করছে। বইটিতে আত্মজীবনী লেখার প্রেক্ষাপট, লেখকের বংশ পরিচয়, জন্ম, শৈশব, স্কুল ও কলেজের শিক্ষাজীবনের পাশাপাশি সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, দুর্ভিক্ষ, বিহার ও কলকাতার দাঙ্গা, দেশভাগ, কলকাতাকেন্দ্রিক প্রাদেশিক মুসলিম ছাত্রলীগ ও মুসলিম লীগের রাজনীতি, দেশ বিভাগের পরবর্তী সময় থেকে ১৯৫৪ সাল অবধি পূর্ব বাংলার রাজনীতি, কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক মুসলিম লীগ সরকারের অপশাসন, ভাষা আন্দোলন, ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা, যুক্তফ্রন্ট গঠন ও নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন, আদমজীর দাঙ্গা, পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকারের বৈষম্যমূলক শাসন ও প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের বিস্তৃত বিবরণ এবং এসব বিষয়ে লেখকের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার বর্ণনা রয়েছে। আছে লেখকের কারাজীবন, পিতা-মাতা, সন্তান-সন্ততি ও সর্বোপরি সর্বংসহা সহধর্মিণীর কথা, যিনি তাঁর রাজনৈতিক জীবনে সহায়ক শক্তি হিসেবে সকল দুঃসময়ে অবিচল পাশে ছিলেন।
.......................................
আজকের এই দিনে এই মহান নেতার প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি।

 

0 Shares

১৬টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ