বঙ্গবন্ধুকে আমরা ভুলিনি। তাকে কোনোদিন ভুলবোও না। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্রষ্টা, তাকে ভোলা যায় না’।
এ কথা বলেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার (৯ অক্টোবর) কলকাতায় মোম জাদুঘরে (মাদার্স ওয়াক্স মিউজিয়াম) বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মোমের প্রতিকৃতি উন্মোচন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন তিনি।
মমতা বলেন, আমরা শেখ হাসিনাকে জানাতে চাই, বঙ্গবন্ধুকে আমরা ভুলিনি। আর তাকে কোনোদিন ভুলবোও না। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্রষ্টা, তাকে ভোলা যায় না।
তাঁর বক্তব্যকে স্বাগত। আমাদের নেতাকে আমরাও স্বরি। এই তেল মারা বন্ধ করে আমাদের নদীর যে পানির অধিকার আছে তা দিন মমতার মমতায় তখনি শোভা পাবে যখন আমরা আমাদের পানির পূর্ণ হিস্যা পাব।
আমি এতে পূর্ণ আনন্দিত না। আমি তাঁর প্রতি পূর্ণ শ্রদ্বা রেখেই অনুরধ করব আপনারা যদি এই বঙ্গবন্ধুকে ভাল বাসেন তবে তাঁর দেশকে প্রাকৃতিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করবেন না। যে দেশ সবুজে ঘেরা, ফল ফুলে ভরা, নদীমাতৃক তাঁকে রক্ষার জন্য আপনার দেশের ভিতর থেকে প্রবাহিত নদির পানি আমাদের দেশে স্বাভাবিকভাবে প্রবেশ করতে দিন। যা আমাদের ন্যায্য পাওনা।
২৮টি মন্তব্য
লীলাবতী
অনেক দিন পরে লিখলেন,লেখার সাথে একমত ভাইয়া।
মোঃ মজিবর রহমান
আপনাকে শুভেচ্ছা নিরন্তর।
(y)
শুন্য শুন্যালয়
ঠিক, একদম ঠিক। (y)
তেলে গলে যাওয়া নেতাদের ও অভাব নেই আমাদের 🙁
মোঃ মজিবর রহমান
(y)
জিসান শা ইকরাম
এই মমতা ছিট মহল সমস্যা জিইয়ে রেখেছিল ক্ষমতায় যাবার পরই।
মোঃ মজিবর রহমান
ক্ষমতায় সব নষ্টের
কারণ।
আবু খায়ের আনিছ
ভারতের রাজনীতির কাছে নিতান্তই অসহায় এর মত আত্মসম্পর্ণ করে বাংলাদেশী রাজনৈতিকেরা। কূটনৈতিক ভাবে ভারত আমাদের দেশের রাজনীতিবিদদের চেয়ে অনেক এগিয়ে। সেটা স্পষ্ট হয় এই তিস্তা চুক্তির দিকে তাকালেই।
মোঃ মজিবর রহমান
আদায়ের কৈশল না থাকলে চলে ভাই!
সাবেক আমলা মরহুম হায়াত সাহেবের একটি কলামে পড়েছিলাম, বঙ্গবন্ধুর সময় একটি চুক্তি করার জন্য ভারতের কয়েকজন ব্যাক্তি আমাদের দেশে ভ্রমনে এসছিলেন, কিন্তু বিভিন্ন বিসয়ে মিল না হওয়াতে করতাব্যাক্তিরা পরের দিন চলে জাবেন এই তথ্য বঙ্গবন্ধুকে তিনি জানাতেই রেগে বললেন চুক্তি হবেই, তিনি সঙ্গে সঙ্গে ইন্ডিয়ান প্রাইম মিনিস্টার ইন্দিরা গান্ধিকে ফোন করেন এবং পরেরদিন চুক্তি করেই তাঁরা দেশে যাই।
তানজির খান
আপনারা যদি এই বঙ্গবন্ধুকে ভাল বাসেন তবে তাঁর দেশকে প্রাকৃতিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করবেন না।
খুব ভাল বলেছেন কথাটি।
মোঃ মজিবর রহমান
ধন্যবাদ তানজির ভাই।
শুভেচ্ছা অবিরত।
ছাইরাছ হেলাল
একটি দারুণ খবর তুলে ধরেছেন।
মোঃ মজিবর রহমান
-{@ -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
বাহ! (y) দারুণ বলেছেন মজিবর ভাই। -{@
মরুভূমির জলদস্যু
ওরা কথায় আপনাকে ভুলিয়ে রাখবে, দেবার সময় ভিন্ন রূপ। (-3
মোঃ মজিবর রহমান
ভাই আদায়ের বিভিন্ন কোশল প্রয়োগ বা নতি স্বীকার না করা তারপর বড় সমস্যা আমাদের দেশীয় রাজনিতীর অপপ্রচার বা একে অপরকে মিথ্যাচারে খায়েল করা।
নীতেশ বড়ুয়া
ভাইয়া, আমি কিছুটা দ্বিমত রাখি।
রাজনীতি বুঝি না। কিন্তু এইটুক বুঝি আমার কাছে যদি কিছু’র উৎস থাকে তবে সেটা যতটুকু সম্ভব নিজের কাছে রেখে আপন বন্ধুকেও সেই নিজের কাছে রাখার কৌশলে আটকে রাখবো। এটা জগতের সকল প্রাণই করে।
ভৌগলিক অবস্থান হতে আমাদের দেশের কদর কিন্তু পশ্চিমা শাসক গোষ্টীর কাছে অনেক বেশী। এই জন্যই আমাদের সুঁই হতে কম্বল পর্যন্ত ইস্যুতে পশ্চিমারা নাক গলায়। যদি পারে আমাদের দেশটাকে ননীর পুতুল করতে! সেই একাত্তর নয় বরং ভারত উপমহাদেশের বিভক্তি হতেই এইদিকে তাঁদের নজর, তা না হলে সেই ৪৭ এর দেশভাগে বাংলাকে ভাগ করে তার কর্তৃত্ব পাকিস্থানের হাতে দিতো না!
এইবার ভাবুন ভারতের অবস্থানের কথা! এক পাশে পাকিস্থান (জাতশত্রু), অন্যপাশে চীন (ক্ষমতায়নের শত্রু) আর এই পাশে আমরা মানে বাংলাদেশ। পশ্চিমারা যদি বাংলাদেশকে ননীর পুতুল বানিয়ে নিতে পারে তবে বর্তমানের অর্থায়নের বিশ্বে অনেক দ্রুত এগুতে থাকে ভারতকে বেকায়দায় ফেলে তাঁদের হেঁট করে দেওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র! পারছে না শুধু মাত্র আমাদের ভৌগলিক অবস্থানের জন্যই।
এইবার বলি কেন দ্বিমত? মমতার হাতেই কি সব? দিল্লী সরকার কি তবে মমতার কথামতো চলে? পুরো ভারতের সরকার ব্যবস্থা কি মমতার সিদ্ধান্তেই চলে? মমতা চাইলেও তিস্তা, গঙ্গার সঠিক বন্ঠন পারবেন না, পারবেন না অন্য কেউই কারণ ভারত আমাদের এই দেশের যতই মিত্র হোক নিজের গলায় এখনই কাঁটা হয়ে লাগার মতো অবস্থানে বাংলাদেশকে যেতে দিতে চায় না। ভারতের জায়গায় বাংলাদেশ হলেও একই কাজ করতো।
এখানে দ্বিমতের আরো একটি কারণ হচ্ছে ভারত না চাইলে এই মুহুর্তে যে গতিতে বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে যাচ্ছে তা সাথে সাথে ভেঙ্গে যাবে। কারণ আমাদের কঞ্জ্যুমিং মার্কেট ভারতের হাতে, আমাদের এক্সপোর্ট ইন্ডাস্ট্রির প্রায় সব জায়গাতেই ভারতের কর্তারা, চাইলেই ধ্বসিয়ে দিতে পারেন এই অগ্রগতি। দিচ্ছেন না কারণ এই দেশে যেমন না এগুলে ভারতের ক্ষতি তেমনি ভারতের চাইতে বেশী দ্রুত তালে এগুলেও ভারতের ক্ষতি।
ঠিক এই মহুর্তে ভারত যদি বাংলাদেশের সাথে সমস্ত অর্থনৈতিক সম্পর্ক বয়কট করে তবে ভেবে দেখুন আমরা কোথায় দাঁড়াবো। আবার পানি যদি ঠিক করে ছাড়ে তবে ভাবুন তো আমাদের প্রাকৃতিক দূর্যোগের সুরক্ষ ও প্রতিরক্ষয়ায় আমাদের সহজাত সিস্টেম ঠিক আছে কিনা? গঙ্গা তিস্তার পানি যদি ঠিকেঠাকে আসে তবে বন্যার ভয়াবহতা রোধ করার কোন ব্যবস্থানে বর্তমানে টিকে নেই এ দেশে। সমস্ত নদীর নালা বা পানি প্রবাহের এক ভাগ শুকিয়েছে এই বন্টনের সমস্যার বাকি চারভাগের দুইভাগ শেষ করেছি ভূমি অধিগ্রহণের দূর্নীতিতে এই আমরাই।
নিজের ক্ষতি করে কেউই অন্যের উন্নতি করতে দেয় না, দিবে না-এটাই সহজাত নিয়ম।
কেন বাংলাদেশের বর্তমান সরকার এতো স্বাধীনচেতা ও একরোখা হয়েও ভারতের এইসব চালের প্রতিবাদ করছে না? কারণ একটাই আমরা নিজেরাই এখনো প্রস্তুত নই। 🙂
আবারো বলছি রাজনীতি বুঝি না, ইতিহাস তেমন জানা নেই, ক্ষমতায়নের বৈশ্বিক নীতি সম্পর্কেও জানা নেই। কিন্তু এতোদিনে এসে এইটুক আমার সাদা ভাবনায় ধরা পড়ে মাত্র।
মোঃ মজিবর রহমান
দাদা,
আপনার প্রথম পেরাই সহমত। সবাই আমাদের দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করেছে সেই ইংরেজ থেকেই।
তানাহলে বাংলা দ হতনা।
আর একে অপ্রকে দেখিয়ে আমাদের থামিয়ে রাখার কো শল ক্রেছে।
নিজের ক্ষতি করে কেউই অন্যের উন্নতি করতে দেয় না, দিবে না-এটাই সহজাত নিয়ম। সহমত।
(y) -{@
নীতেশ বড়ুয়া
-{@ (3 রইলো মজিবর ভাই।
আপনার পোস্ট পাচ্ছি না অনেকদিন হলো ;?
মোঃ মজিবর রহমান
ভাইরে আমি এক অধম আমার দ্বারা সুন্দর লেখা হয়না।
আপনাদের লেখা পরে শিখে যাই।
-{@
নীতেশ বড়ুয়া
এ তো সাপের নিজের লেজ গিলে খাওয়ার মতো হয়ে গেলো!!!
আমি আপনাদের কাছ থেকে শিখছি আর সেই আপনারাই এমন বললে শিখবো কি করে 🙁
মোঃ মজিবর রহমান
নাই ভাই আমি লেখক নয় আমি আপনাদের লেখার মাঝে বচরন করি ।
নীতেশ বড়ুয়া
আমিও লেখক নই 😀
মোঃ মজিবর রহমান
কিন্তু শব্দমালা নিয়ে খেলতে পারেন।
এতেই আপনি সভাগ্য।
নীতেশ বড়ুয়া
শব্দমালা নিয়ে তো খেলেন শুন্যাপু, হেলাল ভাইয়ারা… এখনো বিন্দু পরিমাণ জানা হলো না কিভাবে খেলে যেতে হয়। শব্দমালার বালুচড়ে আমি এখনো দূর হতে দেখতে থাকা দর্শক মাত্র 🙂
মোঃ মজিবর রহমান
অনারা অতুলনীয়।
অনারা খুবই ভাল লেখক নামে পড়ে আর আপনারা তারদের উত্তরসুরি।
নীতেশ বড়ুয়া
আমি আমরা তাহাঁদের দর্শনার্থী 😀
মোঃ মজিবর রহমান
দাদা আমি অফিসের কাজে যাই।
পরে এসে আপনার সঙ্গ পাব।
আমি বালুচরে ধারে কাছেও নাই।
নীতেশ বড়ুয়া
হাহাহহা… আমরা সবাই বালুচড়ের দর্শনার্থী 😀
আচ্ছা ভাইয়া, দেখা হবে, কথা হবে পরে তবে। -{@