ফড়িং নামা

ছাইরাছ হেলাল ১ অক্টোবর ২০১৮, সোমবার, ০৯:২৫:৪৭পূর্বাহ্ন একান্ত অনুভূতি ১৮ মন্তব্য

জাঁক করে বলছিনা একটুও, মা-কালীর দিব্বি!!
পায়ে গতি-জুড়ে যাচ্ছিলাম বৃষ্টি-গাছের নীচ দিয়ে জাঁকানো বৃষ্টির যুবুথুবু হাত থেকে বাঁচতে! আচমকা ডাক শুনে পিক করা স্পিডে থমকালাম, দাঁড়ালামও, ইতিউতি করে খুঁজলাম, পেলাম পেল্লায় সাইজের লাল চোখা ঘাস ফড়িংটিকে, সে ও দাঁড়িয়ে আছে বৃষ্টি-মেখে ।

সে অনেক অনেক দিন আগের কথা, চিন-পরিচয়ের সূত্র ধরে হয়েছিল জানাশোনা, সে এক মজার দিনকালের কথা.....................

রাতের গভীরে, প্রথমে সামান্য ফর ফর শব্দ থেকে ঝুপ করে পড়ার টেবিলে নেমে এলো এক সবুজ অতিকায় ঘাস ফড়িং, কটমটে লাল চটুল-চঞ্চল চোখে, বলছিনা বা ফাঁদছিনা অলীক গাজা-গপ্পো, এটিই সেই, সেই ঘাস ফড়িংটি। তবে এও বলছিনা এটিকে দেখে নস্টালজিক হইনি। তাকাতাকি করছি সমানে, আর ভাবনার পালে বাতাসি আওয়াজ তুলছি! এও হয়! এমন কেন হয় অতি সাধারণ আটপৌরে গভীরের নির্জন-সুনসানতার এই রাতে! এ সময়ে!

সামান্য নড়েচড়ে হেটে-হুটে শেষমেশ আস্তে আস্তে হাত পেড়িয়ে কাঁধে উঠে দিব্বি বসে আছে, নট নড়ন চড়ন নট কিচ্ছু।

প্রচণ্ড শিকারি হুলো বেড়ালটি উপর থেকে গোত্তা খেতে খেতে নীচে এসে হাজির এ অসময়ে, ওর সব কথা বুঝতে পারি না, আমার মেয়ের ন্যাওটা
এই বিড়াল মহাশয়, মেয়ে এই বিড়ালের সব কথা বুঝতে পারে, হাসি, কান্না ক্ষুধা, অসুখ সব সব। কখন বাইরে যাবে, কখন তার গলা চুল্কে দিতে হবে তাও, একবার তো বিড়ালের দাঁতে মাছের কাটা আটকে গেলে ওর মুখ হা করিয়ে সেই কাটা তুলেছে, টু শব্দ করেনি সেই বিড়াল, আমরা তো ভয়ে অস্থির
কামড়ে-টামড়ে দেয় কী না! ওহ! যাক যা বলছিলাম

বিড়ালটি এসে রুমের এ মাথা ও মাথা এক চক্কর কেটে কি সব বলে-টলে লাফ দিয়ে টেবিলের উপর উঠে হান্টিং মোডে (মুডে না কিন্তু) গেল, চোখ তার আমার কাঁধে বসা ফড়িংয়ে, প্রমাদ গুনলাম, নাহ তেমন কিছু না, কী সব মিউ-ফিউ করে টেবিল থেকে নেমে লেজ উঁচিয়ে চেয়ারের আশে-পাশে ঘুরে পায়ের কাছে থিতু হয়ে বসল, হাফ ছেঁড়ে শান্ত হলাম।

ফড়িংটি চলে গেছে
বিড়ালটিও,
ফিরে আসেনি কেউ
ফেরে না;

0 Shares

১৮টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ