
কী একটা কারণে ওয়াশরুমে গেছি। জিপারটা লাগিয়ে বেসিনের সামনে এলাম। হাত ধুচ্ছি আর ধুচ্ছি। ইউনিসেফ না জাতিসংঘ—ওদের কথা মনে পড়ল। এরপর দেখি বিশ সেকেন্ড শেষ হচ্ছে না। দীর্ঘক্ষণ লাগছে। সময় কাটাই কি করে?
আমি আয়নার দিকে তাকালাম। সবচেয়ে সুন্দর করুণ একটা লোককে ওয়াশরুমে ঢুকতে দেখা গেল। তিনি ওয়াশরুমের নীরবতা ভঙ্গ করলেন। একটু পর নিয়মও। আমাকে বললেন, শুনেছেন, ম্যারাডোনা মারা গেছেন।
আমি বললাম, এটা শুনার পর আপনি ওয়াশরুমে এসেছেন?
তিনি বললেন, হ্যাঁ। আমি আসলে বুঝতে পারছি না—ম্যারাডোনা কীভাবে মারা যায়?
আমি বললাম, আপনার ব্যাপারটা বুঝতে পারছি। আমি জর্জ বেস্টের ফ্যান ছিলাম। ভাববেন না—আরো কিছু বছর পর জিনেদিন জিদানও মারা যাবে। তখনো তাই হবে। উনার ফ্যানরাও বুঝতে পারবে না, জিদান কীভাবে মারা যায়!
৬টি মন্তব্য
বোরহানুল ইসলাম লিটন
অনন্য উপলব্ধির উপস্থাপন।
বেশ সুন্দর লেগেছে লেখাটি।
মুগ্ধতায় শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা অন্তহীণ।
সাখাওয়াত হোসেন
দারুণ লিখেছেন। শুভেচ্ছা ও শুভকামনাজানাই অবিরাম।
মোঃ মজিবর রহমান
আমি কিছুই বুঝি নাই। মাথায় ঘেলু কাজ করছেনা। ভাই সাব।
রোকসানা খন্দকার রুকু
আমরা যতই হাত ধুইনা কেন, মারা যাবই এটাই চিরন্তন সত্য।
গল্প সুন্দর লিখেছেন। শুভ কামনা রইলো।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
এটাই নিয়তি আমরা সবাই সময় চলে যাবো আজ হোক কাল হোক। অন্যরকম উপস্থাপন এমন সত্যিটাকে নিয়ে। নিরন্তর শুভেচ্ছা ও শুভকামনা। ভালো থাকুন নিরাপদে থাকুন
আরজু মুক্তা
মরণ তো আসবেই। করোনা থাক না থাক।