ফেইসবুক আইডি হ্যাক হওয়া একটি ব্যাধিতে পরিনত হয়েছে । দুষ্ট লোকেরা মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে যা অত্যন্ত বিব্রতকর ।

হ্যাকিং থেকে রক্ষা পেতে জানতে হবে , কিভাবে আসলে হ্যাক করা হয় একটি ফেইসবুক আইডি।

ফেইসবুক আইডি হ্যাক করার কিছু প্রসেস আছে , ফেইসবুক আইডি সাধারনত হ্যাক করা হয় এই উল্লেখ্যোগ্য প্রসেসের মাধ্যমে তা হলোঃ

* * Reverting (রিভারটিং)
* * Phissing (ফিশিং)
* * Mutual Friends Hacking (মিউচুআল ফ্রেন্ডস হ্যাকিং প্রসেস)
* * Bruteforcing (ব্রুটফোরসিং)
* * Keylogging (কি লগিং)

** Reverting (রিভার্টিং): এই প্রসেস হচ্ছে সেই প্রসেস যা ভিক্টিমের গুরুত্বপুর্ণ কিছু ইনফরমেশনের মাধ্যমে আইডিটা হ্যাক করা হয়…

** Phissing (ফিশিং): এবার আসা যাক ফিশিঙ্গে… এই প্রসেসটা হচ্ছে ধোকা দেয়ার একটা প্রসেস, আপনাকে ধোকা দেয়ার মাধ্যমেই আপনার আইডিটা হ্যাকার হ্যাক করতে সক্ষম হবে… মাঝে মাঝে নিশ্চই দেখেন আমাদের ইন্বক্সে বা অনেক খান থেকে অনেক ইমেইজ বা স্প্যামিং লিন্ক পাই, যাতে আমাদের ইমেইল আইডি, আর পাস এবং আরো অনেক রকমের ফর্ম ফিল্ আপ করতে বলে, এসব লিঙ্কে ভুলেও প্রবেশ করবেন না, আর প্রবেশ করলেও কিছুই লিখবেন না, কারন কিছু লিখলেই সেই লেখাগুলো হ্যাকার কাছে চলে যায়…

** Keylogger (কি লগার) : এই প্রসেস শুদুমাত্র শেয়ার্ড কম্পিউটার, আর আপনার আইপি এড্রেস জানলেই পসিবল নয়তো নয়…

** Mutual Friends Hacking Process (মিউচুআল ফ্রেন্ডস হ্যাকিং প্রসেস): এই প্রসেসটা হচ্ছে সবচেয়ে সহজ এবং সিম্প্লেস্ট প্রসেস যে কোনো ফেইসবুক আইডি হ্যাক করার জন্য… শুদুমাত্র হ্যাকারের ৩ টা আইডি আপনার সাথে লিন্ক থাকলেই কেল্লা ফতে…

ফেইসবুক হ্যাকিং থেকে নিজকে রক্ষা করার উপায়ঃ
১) আপনার HTTPS লগ ইনটা এনেইবল করে নিন, কারন এই সিস্টেমটা আপনার ফেইসবুক এক্টিভিটি এন্ক্রিপ্টেদ (ENCRYPTED) করে রাখবে, যাতে করে আপনার অনুমতি ছাড়া আপনার আইডিতে লগ ইন করা কারো পক্ষে কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে…

২) ইমেইল আইডিটা হাইড করে রাখুন, যাতে আপনি ছাড়া কেউ তা আর দেখতে না পারে…

৩) আপনার প্রোফাইল বার্থ ডে ইয়ারটা হিডেন করে রাখুন, প্রাইভেসি ওনলি মি করে দিন…

৪) প্রাইমারি ইমেইল বাদে ২ থেকে ৩ টা ইমেইল আইডি আপনার আইডির সাথে লিন্ক করে রাখুন, লিন্ক করা হয়ে গেলে এই ইমেইল আইডিগুলোর প্রাইভেসিও ওনলি মি করে দিন…

৫) আপনার এক্যাউন্টে একটা সিকুরিটি প্রশ্ন এড করে রাখুন, অবশ্যই মনে রাখবেন সিকুরিটি প্রশ্নের উত্তর্ যাতে কমন কোনো উত্তরের মধ্যে না পরে…

৬) আপনার এক্সেসে থাকা মোবাইল নম্বর দিয়ে এক্যাউন্ট ভেরিফাইড করে নিন…

৭) আপনার এক্যাউন্টের লগ ইন নোটিফিকেইশন এনেইবল করুন…

লগ ইন এপ্রোভালস বা লগ ইন কোড এই অপশনটি এনেইবল করে নিন, তাহলে হ্যাকার না হ্যাকারের বাপ-ও এক্যাউন্ট হ্যাক করলেও এক্যাউন্টের এক্সেস নিতে পারবে না…

৯) ভুলেও কোনো আন্ট্রাস্টেড (UNTRUSTED) স্প্যামিং লিন্ক ক্লিক করে ফর্ম ফিল আপ করতে যাইয়েন না…

১০) আন্ট্রাস্টেড (UNTRUSTED) অপরচিত ফ্রেন্ডস এড করিয়েন না, কারন এই আইডিগুলো হ্যাকারের ফেইক আইডি হতে পারে, যা আপনার সাথে এড করার চেষ্টা করা হবে আপনার আইডি হ্যাক করার উদ্দেশ্য নিয়েই…

এই সব Precaution ফলো করলে মনে হয় না নিপুর মত মুজিব সেনা থেকে জন সমুক্ষে *দা খাওয়া ছাগু আর তার হাগুর দলা ওবিডিয়েন্ট পাগলা গ্রুপের মেম্বাররা আমাদের আইডি হ্যাক করতে পারবে…

হ্যাকিং এর কথা তো শেষ হলো এবার আসা যাক রিপোর্টিং প্রশন্ঙ্গে

রিপোর্টিং সম্পর্কে কি আর বলব, রিপোর্টিং থেকে মুক্তি পাওয়ার তেমন একটা উপায় নেই, শুদু মাত্র একটা কাজ করতে পারেন,

সব ফটো, পোস্ট প্রাইভেসি পাবলিক থেকে ফ্রেন্ডস করে দিতে পারেন, তাতে শুধু মাত্র পোস্ট রিমুভ হওয়া থেকে বাচতে পারেন…

------ ‪#‎একজন_নিষ্ঠাবান_দেশপ্রেমিক‬

0 Shares

২৩টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ