
ঘুরে বেড়ানোর জন্য যতগুলো স্থান আছে তার মধ্য থাইল্যান্ডের ফিফি আইল্যান্ড অন্যতম। ফিফি আইল্যান্ডটা মূলত ফুকেটে অবস্থিত, আর রাজধানী ব্যংকক থেকে বিমান পথে ফুকেটের দূরত্ব ১.১০ মিনিটের পথ। এখানকার সাগরের নীল পানি আপনাকে দেবে বালি বীচের মতো স্বাদ, আর পাথুরে পাহাড়গুলো দেবে পৃথিবীর অন্যতম সপ্তাশ্চর্য হালংবে এর মতোই দেখার অনুভূতি। যেদিকেই তাকাবেন মনে হবে সব যেন একেবারে সাজিয়ে ঘুছিয়ে রাখা হয়েছে। এখানে নীল স্বচ্ছ পানিতে মাছদের সাথে ঘুরে বেড়াতে পারবেন অনায়াসে। এটি দক্ষিণ থাইল্যান্ডের আন্দামান সাগরে অবস্থিত।
এবার আসুন ফিফি আইল্যান্ডের কিছু ছবি দেখে নেই, আমার এই পোষ্ট মূলত একটা ছবিব্লগ…….
(১) নৌকা বা স্পীডবোডে উঠতে হয় এখান থেকেই।
(২) স্পীডবোটে উঠার আগে বন্ধুরা মিলে একটা সেলফি না তুললে কি হয়?
(৩/৪) আন্দামান সাগরের বুকে আলোড়ন তুলে আমাদের নিয়ে দুর্বার গতিতে ছুটে চলল তিন ইঞ্জিন বিশিষ্ট স্পীডবোট খানা।
(৫/৬) নানা রঙের চমৎকার সব বোট দেখলে সত্যিই মনটা ভালো হয়ে যায়।
(৭/৮) সাগরের মাঝখানে জেগে উঠা এমন পাথুরে পাহাড়গুলো যে এলাকায় বড় ঢেউগুলোকে আসতে বাধা দেয় সেখানেই আমাদের নামিয়ে দেওয়া হয় জলকেলি করার জন্য।
(৯/১০) কোন কোন পাহাড়ে রয়েছে বানরদে রাজত্ব।
(১১) কোথাও বা ধ্যানী বকের বাসা।
(১২) আন্দামানের এমন নীল পানিতে গোসল করার মজাই আলাদা
(১৩/১৪) সেই সাথে মাছদের সাথে এমন লুকোচুরি খেলার সুযোগটাই বা কে ছাড়তে চায়?
(১৫/১৬) ফিফি আইল্যান্ডের নীল সাগর আর ব্যতিক্রমী বোটগুলোতে চড়ে একটা দিন যেন কেটে যায় চোখের পলকেই।
(১৭) দুপুরের খাবার জন্য ভ্রমণ প্যাকেজে যদি এমন মজাদার হালাল ফুডের ব্যুফে হোটেল থাকে তাহলে তো আর কথাই নাই।
(১৮/১৯) দুপুরের খাওয়ার পর আইল্যান্ডের স্থলভাগে শুয়ে বসে জিরিয়ে নেওয়ার সুযোগটা বেশ উপভোগ্য, সেই সাথে সাগরের ঢেওয়ের সাথে অনন্ত পাল্লা দেওয়া বোটগুলোও যেন কিছুটা সময়ের জন্য সুযোগ পায়।
(২০) শেষ বিকালে আরো কিছু দ্বীপ দেখে ফুকেটের দিকে ছুটে চলা………
১২টি মন্তব্য
বন্যা লিপি
এই রকম মনোহরা পোষ্ট অনেকদিন মিস করছি। যাইতে না পারি,,, লেখার বর্ননা আর জীবন্ত ছবি দেখে অনুভবটা পাওয়া যায়।
ধন্যবাদ আপনাকে এমন পোষ্টের জন্য।
কামাল উদ্দিন
ধন্যবাদ আপু, ভাবছি এখন থেকে আবার কিছুটা সময় ব্লগে দেবো।
যতীন সরকার
এই ব্লগে প্রথম এসেই এরকম একটা অদ্ভুত সুন্দর লেখা পড়তে পারলাম। ছবি গুলো খুবই জীবন্ত।
কামাল উদ্দিন
সু-স্বাগতম যতীন দাদা, ব্লগে আপনার প্রথম মন্তব্য আমার পোষ্টে হওয়ায় আপনাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা।
হালিমা আক্তার
অসাধারণ ছবি গুলো। হয়তো হবে না যাওয়া কখনো। ছবি আর কথায় ঘুরে তো আসা হলো। এরকম আরো ছবি ব্লগের অপেক্ষায় রইলাম। শুভ রাত্রি।
কামাল উদ্দিন
ধন্যবাদ আপু, চেষ্টা করবো মাঝে মাঝে এমন পোষ্ট দিতে
……….ভালো থাকবেন সব সময়।
বোরহানুল ইসলাম লিটন
স্বপ্নের মতোই সুন্দর!
ভীষণ মুগ্ধতা রইল পাতায়।
আন্তরিক শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা জানবেন সতত।
কামাল উদ্দিন
আপনার জন্যও রইল আন্তরিক শুভ কামনা লিটন ভাই
আলমগীর সরকার লিটন
খুব সুন্দর কামাল দা নিশ্চিয় ভাল আছেন
ভাল ও সুস্থ থাকবেন———–
কামাল উদ্দিন
ধন্যবাদ লিটন ভাই, কেমন আছেন আপনি?
খাদিজাতুল কুবরা
ভ্রমণের অনাবিল আনন্দ জীবন্ত হয়ে উঠেছে ছবি এবং লেখায়
কামাল উদ্দিন
ধন্যবাদ আপু, শুভ কামনা সব সময়।