
অনিরুদ্ধ!
আমিও প্রেমিকা হতে চাই,
প্রেমের জোয়ারে ভাসতে/ভাসাতে চাই,
বিশ্বাস করো আমি চাই, খুব করে চাই,
কিন্তু আমি পারি না প্রেমিকা হয়ে উঠতে
পারি না প্রেমের উত্তাল তরঙ্গে ডুব সাঁতারে যেতে
আমিও চাই তোমাকে কাছে টানতে,
ঠিক ততোটাই, যতোটা কাছে টানলে
আমাকে তোমার প্রেমিকা মনে হবে।
কিন্তু আমি পারি না তোমাকে কাছে টানতে।
পারি না তুমি আমি মিলেমিশে একাকার হতে।
তোমাকে হারিয়ে ফেলতে চাইনা বলেই,
তোমার থেকে দূরে থাকা/দূরে রাখা।
সারাজীবন তোমার পাশে থাকবো বলেই,
এই ক্ষণিক বিরহে বিরহী হওয়া/করা।
মনের মন্দিরে দেবতার আসনে বসিয়ে,
নৈবেদ্য সাজিয়ে নিত্য যার পূজা করা হয়।
কাছে এলে যদি সেই দেবতাই হয়ে যায় হিংস্র পুরুষ
তবে তা কি করে মেনে নেই?
কোনো পুজারিনী কি পারে,
তার পূজনিয়কে এমন হিংস্র দেখতে?
নাকি কোনো প্রেয়সী পারে তার প্রেমিককে...
তাই তো আমার আর প্রেমিকা হয়ে উঠা হয় না অনিরুদ্ধ।
Thumbnails managed by ThumbPress
২৭টি মন্তব্য
সুপর্ণা ফাল্গুনী
অনুভূতি গুলো দারুন লাগলো। সত্যিই তো যাকে দেবতার আসনে রেখে পূজা করা হয় , তার হিংস্রতা কি সহ্য করা যায়! ভালো থাকুন সবসময় শুভ কামনা রইলো
সুরাইয়া পারভীন
আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন দিদি
ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সবসময়
ছাইরাছ হেলাল
কবিতা প্রেমের, নিয়ন্ত্রিত আবেগের প্রকাশ, অসহায় পূর্ণতা নিয়েও
চুড়ান্ত সমর্পণ;
এই তো, আসলে এমন (ডাইরেক্ট প্রেম) লেখা/কবিতায় ভাল করে ভাব প্রকাশ করতে অক্ষম।
তবে লেখা চালু রাখবেন অবশ্যই, পূজা পর্ব বলে কথা।
সুরাইয়া পারভীন
হাল ছাড়ছি না কিছুতেই
কিছু হোক বা না হোক তবুও লিখবো
কৃতজ্ঞতা সহ আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন ভাইয়া
ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সবসময়
ছাইরাছ হেলাল
হওয়া না-হওয়া নিয়ে কথা হচ্ছে না, সেটি আমার বলার/মন্তব্যের বিষয় ও ন্য;
আমার অপারগতা বলেছি শুধু,
অবশ্যই লিখতে হবে, এবং তা নিয়মিত।
সাবিনা ইয়াসমিন
লেখাটি আমায় ভাবাচ্ছে। শুরুটা বেশ নির্মল কিন্তু শেষে এসে ধাক্কা খেলাম। আরাধ্য ঈশ্বর কাছে আসার পর হিংস্র হয়ে গেলো কেন? আর হিংস্রতা প্রকাশে আসার পর দূর থেকে তারই আরাধনায় মগ্ন থাকার সিদ্ধান্তই বা কেন নেয়া হলো!! আমার মনে হচ্ছে আরাধ্য জন আসলে ঈশ্বর নন, সে মানুষই ছিলো।
আরও ভেবে দেখি, অন্য কিছু মনে এলে আবার লিখবো 🙂
সুরাইয়া পারভীন
আসলে একজন পুরুষই
যাকে দেবতা (শ্রদ্ধেয়)আসনে বসানো হয়
দূর থেকে পূজা (শ্রদ্ধা মিশ্রিত) ভালোবাসা যায়
কিন্তু সে শুধু পূজনীয় হয়ে থাকতে নারাজ
তার প্রেম মিশ্রিত ভালোবাসা চাই
আর প্রেম মিশ্রিত ভালোবাসায় একজন দেবতাকে যে রূপে পাওয়া তা হিংস্র ই মনে হয়
তাই দূরে থেকেই শুধু তার আরাধনা করে চাওয়া
লেখাটা অনেক আগের।
ফয়জুল মহী
দুর্দান্ত লিখেছেন । চমৎকার লেখা পড়লাম।
সুরাইয়া পারভীন
আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন
ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সবসময়
সুপায়ন বড়ুয়া
“কোনো পুজারিনী কি পারে,
তার পূজনিয়কে এমন হিংস্র দেখতে?
নাকি কোনো প্রেয়সী পারে তার প্রেমিককে…
তাই তো আমার আর প্রেমিকা হয়ে উঠা হয় না অনিরুদ্ধ।”
আপু অত সুন্দর লিখে হতাশ হলে কি চলে ?
প্রেমিকের উপর বিশ্বাষ হারানো পাপ
খুব ভালো লাগলো। শুভ কামনা।
সুরাইয়া পারভীন
হা হা হা হা হা দাদা
আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন
ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সবসময়
নিতাই বাবু
মহান সৃষ্টিকর্তাকে পেতে হলে অনেক সাধনা বাসনা করতে হয়। তারপরও মহান সৃষ্টিকর্তা তাঁর ভক্তকে অনেক কঠিন পরিক্ষার সম্মুখীন করে। পরিক্ষায় পাস হলেই, বাজিমাত! তখন সবকিছুই একাকার!
আপনার সুলিখিত কবিতা পড়ে সত্যি ভালো লেগেছে। এই সময়ে সপরিবারে ভালো থাকবেন আশা করি।
সুরাইয়া পারভীন
দাদা এখানে সৃষ্টিকর্তার প্রতি প্রেম প্রকাশ করিনি।
একজন মানুষকে দেবতার আসনে স্থান দেওয়া তার প্রতি শ্রদ্ধা ভালোবাসার কথা আর তার প্রেম পরিণত নিয়ে লেখার চেষ্টা করেছি।
আমি দুঃখিত যা লিখতে চেয়েছি হয়তো তা যথার্থ ভাবে উপস্থাপন করতে পারিনি।
ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সবসময়
আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন দাদা
নিতাই বাবু
একজন লেখকের সুলিখিত লেখা পড়ে পাঠাক নিজের দিকেও সেই ভাব নিতে পারে, দিদি। তাতে লেখার স্বার্থক আর অনর্থক নিয়ে ভাবা যাবে না নিশ্চয়!
সুরাইয়া পারভীন
তা ঠিক বলেছেন দাদা।
ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন আর সাবধানে থাকুন সবসময়
সঞ্জয় মালাকার
অনুভূতি গুলো দারুন লাগলো।
কোনো পুজারিনী কি পারে,
তার পূজনিয়কে এমন হিংস্র দেখতে?
নাকি কোনো প্রেয়সী পারে তার প্রেমিককে…
তাই তো আমার আর প্রেমিকা হয়ে উঠা হয় না অনিরুদ্ধ।
ভালো থাকবেন নিরাপদ থাকবেন শুভকামনা🌹🌹
সুরাইয়া পারভীন
আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন দাদা
ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সবসময়
তৌহিদ
ক্ষনিকের বিরহে প্রেমিককে সমর্থন দেয়াও বিরাট ব্যাপার। কতজন প্রেমিকাই বা তা পারে? প্রেমিকার চাওয়া পূরণ হোক।
ভালো লিখেছেন।
সুরাইয়া পারভীন
আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন ভাইয়া
ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সবসময়
নীরা সাদীয়া
এ এক মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা। আমরা যাকে চাই, তাকে হারানোর ভয় আগেই আমাদের মনে জেকে বসে। তাই আমরা পেতেও চাই আবার চাইও না।
সুরাইয়া পারভীন
একদম সঠিক বলেছেন আপু
কাছেও টানা যায় না দূরে রাখা যায় না
আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন আপু
ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সবসময়
হালিম নজরুল
যাকে ঈশ্বর ভেবে পুজা দেয়া হয়, সেই যদি অসুর হয়ে ওঠে, সেটা মেনে নেয়া সত্যিই কঠিন।
সুরাইয়া পারভীন
হুম
আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন ভাইয়া
ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সবসময়
রেহানা বীথি
ঈশ্বর ভেবে নারীই পূজা করে প্রেমিকের, মানুষ ভেবে করলে বোধহয় ঠকতে হয় কম।
প্রেমে হিংস্রতা কোনভাবেই কাম্য নয়।
ভালো লিখলেন।
ভালো থাকুন সবসময়।
সুরাইয়া পারভীন
আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন আপু
ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সবসময়
নাজমুস সাকিব রহমান
সুন্দর লেখা। শুভেচ্ছা নেবেন।
সুরাইয়া পারভীন
আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন।
ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সবসময়