একজন মানুষের জন্মদিন তার নিজের কাছে অত্যন্ত আনন্দময় একটি দিন। মানুষ হয়ে যেদিনে এই পৃথিবীতে জন্মেছি সে দিনটি যে আবেগময় হবে এটাই স্বাভাবিক। জন্মদিনটিকে আরও আনন্দময় করে তোলে আমাদের পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব এদের সকলের নিঃস্বার্থ ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা।

কারও জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো আমার কাছে যেমন আনন্দের তেমনি কিছুটা বেদনারও বটে। আনন্দের কারন এই দিনেই সে পৃথিবীতে এসেছিলো। পরিবারের অনাবিল সুখ-শান্তি, সবার হাসিমুখ, কত স্মৃতি!!

আর বেদনার কারন হচ্ছে জীবনে একটি করে জন্মদিন আসে আর জীবন থেকে একটি করে বছর চলে যায়। মনে হয় আর বুঝি বেশী দেরি নেই! যদিও এসব আমার একান্ত ব্যক্তিগত চিন্তাভাবনা। কিন্তু তারপরেও আমরা হাসিমুখ পছন্দ করি। আনন্দ উৎসব করতে ভালোবাসি। আমিও যে এর ব্যতিক্রম নই!

আর সে কারনেই মনের কোণে ইচ্ছেরা নাড়াচাড়া করে, মাথার ভিতরে আর হৃদয়ে-মননে। মনে হয় অন্তর থেকে প্রিয়জনকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই। এতে যদি তার হাসিমাখা মুখ একটু হলেও দেখা যায় এটাই অনেক বড় প্রাপ্তি। সেখানে যার জন্মদিন তিনি একজন লেখক হলেতো আর কথাই নেই।

আজ যার জন্মদিন তিনি আর কেউ নন, আমার আমাদের সবার প্রিয় ব্লগার বন্যা লিপি। আপনাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।

অত্যন্ত স্পষ্টবাদী মানুষ বন্যা লিপি। সোনেলার প্রতি তিনি হচ্ছেন নিবেদিতপ্রাণ। নিজের ব্যক্তিগত কাজের ফাঁকে সময় করে তিনি লিখে চলেছেন গল্প, কবিতা কিংবা একান্ত অনুভূতিতে নিজের মনের কথাগুলি। সোনেলার প্রায় প্রতিটি বিভাগেই নিজের লেখাকে গ্রহণযোগ্যভাবে প্রকাশ করেছেন তিনি পাঠকসমাজে। সবসময় এভাবেই পাশে থাকবেন প্রিয় লেখক।

প্রিয় ব্লগার, এই ক'টি লাইন আপনার জন্যে-

সোনেলায় আমি যেদিন আপনার নীল কাব্য পড়েছিলাম সেদিন নাকি আপনি লঞ্চে করে প্রথম ঢাকা ভ্রমন করছিলেন শুনেছিলাম। ডাক পিয়ন আপনার পোস্টকৃত চিঠিটি আমার হাতে দেয়ার আগে জানতে চেয়েছিলো পরিচয়পত্র কই? ভাবলাম প্যারলাল- রং নাম্বারের মতন চিঠিটাও আড়ম্বরে বিরম্বনা হলো নাকি!

ডাকপিয়নকে তার প্রাপ্তি বুঝিয়ে দিয়ে বলেছিলাম তোমাকে আবার ফিরে পেলে খবর আছে ভাই। বারবার প্রাপ্তিযোগ আশা করোনা।

এদিকে আপনার চিঠি পেয়ে আমার আর মন নেই মনের ভেতর। বন্ধুত্বের মাঝে গুচ্ছানুভূতিতে লেখা পত্র হলো একধরনের অলিখিত প্রতিশ্রুতি। জানতে চেয়েছিলেন আমি কেমন আছি?

মায়া’র টানে আপনার মত পত্রমিতাকে এড়িয়ে যাওয়া কিন্তু এককথায় অসম্ভব। অভিমানী শব্দে তাই আজ সেই চিঠির উত্তরে বলছি - সত্য মিথ্যা যাই হোক শুধু জানবেন কিছু সময় আসে যখন জাদু’র ছবির মতন কল্পনায় আপনার অদ্ভূতুরে সব কঠিন শব্দের ঝংকার মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে। তবুও আপনার মতন করে লিখতে চাইলেও মনের কোণে জমা কথাগুলো লিখতে পারিনা।

সঠিক যে কি তা জানিনা, তবে কখনো দেখা না হলেও জানবেন ঈগল ডানায় ভর করে আমার প্রজাপতি বায়নাগুলোকে সোনেলার পাঠশালায় দেয়ালিকা হিসেবে গেঁথে রাখবো।

স্মৃতির টানাপোড়েন আর নুড়িপাথরের গদ্যে লিখে রেখে যাব কথকতা'র কবিতা। সেসব পড়ে যেন আবার বলে বসবেননা - কবিতা লেকতে পারো? তাহলে স্পষ্টবাদী আপনার মতই আমার উত্তর হবে- আমি কখনো লেখক হব না – তবে লিখতে চাই।

বন্যা আপু, কখনো যেন শুনতে না হয় আপনি ভালো নেই। সবসময় ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন এটাই প্রার্থনা।

সোনেলা পরিবার আপনাকে পেয়ে গর্বিত।

0 Shares

৫৪টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ