বড়ো চরিত্রহীন হয়ে যাচ্ছি আজকাল
সোনারপাতে মুড়ে চরিত্র কে আর বুঝি
বেধে রাখতে পারলাম না,
মহৎ,জ্ঞানী,মহাজনদের তকতকে জীবনী পড়েও
কিছু হল না
দেয়ালে শয়তানের ছবি টাঙিয়ে দুধ-কলা দিয়ে
নিত্য আরাধনা করছি
সমুদ্রের ভাটার মত চরিত্র আমাকে শুধু
নামিয়ে নিয়ে যাচ্ছে,
এখনও পথে ঘাটে সুন্দরি মেয়ে দেখলে আমি পিছু নেই,
বিপনবিতানে পাচমাইল হেঁটে পাচজন মহিলাকে জরিপ করি
আমার বন্ধুরা যখন নারির মধ্যে প্রেম খুজে বেড়ান
আমি তখন প্রেমের মধ্যে নারিকে খুজি।
ধর্ম কর্মের সাথে দুর্ঘটনা ঘটাবর ভয়ে তিনপা পিছিয়ে এসে,
কখনো রেলওয়ে ম্যানসের পবিত্র দ্বিতলে রঙিন পানির মধ্যে আত্ম দর্শন করি।
সকলেই আমার প্রতি ছিছি করে কোরাস গাইতে থাকেন।
মহত্তের খেতাবধারী ব্যাক্তিরা সবাই একজোটে আমাকে প্রতিদিন অনুকম্পার কনসার্ট বাজিয়ে শোনান
এবং সকলেই আমাকে ঘৃণা করেন
আমার কণ্ঠলগ্ন মহিলাটা সহ
তাদের আশীর্বাদে আমি অনিবার্যপতনের পথে এগিয়ে যাচ্ছি।
এই কবিতাটি আমি শুনছি প্রায় ৩ বছর ধরে নিয়মিত । কিন্তু এখনও কার লেখা কবিতা উদ্ধার করতে পারি নি ।
বেণীমাধব, বেণীমাধব, তোমার বাড়ি যাবো
বেণীমাধব, তুমি কি আর আমার কথা ভাবো?
বেণীমাধব, মোহনবাঁশি তমাল তরুমূলে
বাজিয়েছিলে, আমি তখন মালতী ইস্কুলে
ডেস্কে বসে অঙ্ক করি, ছোট্ট ক্লাসঘর
বাইরে দিদিমণির পাশে দিদিমণির বর
আমি তখন নবম শ্রেণী, আমি তখন শাড়ি
আলাপ হলো, বেণীমাধব, সুলেখাদের বাড়ি
বেণীমাধব, বেণীমাধব, লেখাপড়ায় ভালো
শহর থেকে বেড়াতে এলে, আমার রঙ কালো
তোমায় দেখে এক দৌড়ে পালিয়ে গেছি ঘরে
বেণীমাধব, আমার বাবা দোকানে কাজ করে
কুঞ্জে অলি গুঞ্জে তবু, ফুটেছে মঞ্জরী
সন্ধেবেলা পড়তে বসে অঙ্কে ভুল করি
আমি তখন নবম শ্রেণী, আমি তখন ষোল
ব্রীজের ধারে, বেণীমাধব, লুকিয়ে দেখা হলো
বেণীমাধব, বেণীমাধব, এতদিনের পরে
সত্যি বলো, সে সব কথা এখনো মনে পড়ে?
সে সব কথা বলেছো তুমি তোমার প্রেমিকাকে?
আমি কেবল একটি দিন তোমার পাশে তাকে
দেখেছিলাম আলোর নীচে; অপূর্ব সে আলো!
স্বীকার করি, দুজনকেই মানিয়েছিল ভালো
জুড়িয়ে দিলো চোখ আমার, পুড়িয়ে দিলো চোখ
বাড়িতে এসে বলেছিলাম, ওদের ভালো হোক।
রাতে এখন ঘুমাতে যাই একতলার ঘরে
মেঝের উপর বিছানা পাতা, জ্যোৎস্না এসে পড়ে
আমার পরে যে বোন ছিলো চোরাপথের বাঁকে
মিলিয়ে গেছে, জানি না আজ কার সঙ্গে থাকে
আজ জুটেছে, কাল কী হবে? – কালের ঘরে শনি
আমি এখন এই পাড়ায় সেলাই দিদিমণি
তবু আগুন, বেণীমাধব, আগুন জ্বলে কই?
কেমন হবে, আমিও যদি নষ্ট মেয়ে হই?
তোমাকে শুধু তোমাকে চাই, পাবো?
পাই বা না পাই এক জীবনে তোমার কাছেই যাবো।
এই কবিতাটিকে গান হিসাবেই জানতাম । লোপামুদ্রার কণ্ঠে গানটি খুব ভালো লাগে। সেদিন একজন বলল এটাও নাকি একটা কবিতা । কিন্তু এটার কবি কে তাও জানিনা।
১৩টি মন্তব্য
সোনিয়া হক
অসাধারন কবিতা ।
"বাইরনিক শুভ্র"
হুম, যদি কবির নাম খুজে পান জানাবেন।
ছাইরাছ হেলাল
কাদের লেখা জানিনে ,
এই প্রথম পড়লাম । বেশ ভাল লাগল ।
গানটির কথাগুলো অসাধারন আমার কাছে ,
"বাইরনিক শুভ্র"
প্রথম কবিতাটি একটা আবৃতির পাইরেটেড সিডি তে পেয়েছিলাম । কোন ভাবেই কবির নাম বের করতে পারছি না।
হতভাগ্য কবি
খুব ভালো লাগসে, 🙂 লাইক
"বাইরনিক শুভ্র"
thaku.
জিসান শা ইকরাম
বেনিমাধব তো শুনেছি
প্রথম কবিতাটি এই প্রথম পড়লাম
সুন্দর
কবির নাম খুজে দেখতে হয় তাহলে 🙂
"বাইরনিক শুভ্র"
আমি অনেক দিন ধরেই খুজছি। কিন্তু পাচ্ছি না।
জিসান শা ইকরাম
বেনিমাধব – এখন পর্যন্ত যা জেনেছি , এটির রচয়িতা জয় গোস্বামী
"বাইরনিক শুভ্র"
ধন্যবাদ। একটা তো উদ্ধার হল।
আদিব আদ্নান
কবির নাম নিয়ে আমি ভাবছি না ।
কবিতা দু’টি আমার ভাল লেগেছে ।
"বাইরনিক শুভ্র"
হুম ।
শিশির কনা
কবিতা দুটো সুন্দর । প্রথম কবিতার কবির নাম পাওয়া গেলো না ?