
প্রিয় একুশ সাল,
এবার শান্তি হলো তোমার?
সেই বিশে খালি করতে শুরু করেছো আমার চারপাশ,
প্রিয় বন্ধু, প্রিয় আত্নীয়, প্রিয় পরশী, জানা-অজানা সবকিছু কেড়ে কেড়ে।
বিশ্বময় তোমার লালা ঝড়ে সবাই নতজানু তবুও যেন তোমার শান্তি নেই।
এক কোণে ছিলাম আমি আমার ‘ বুনোমাধব’ কে নিয়ে সুখের বসতে;
একান্তে লুকিয়ে আমার হৃদস্পন্দনে; শেষ আশ্রয়ে।
সেখানেও ড্রাগন চোখ পড়লো তোমার,
ছিনিয়ে নিলে আমার একান্ত প্রেমকে।
ভাবলেও না ভালোবাসা; মায়া; প্রেম হারিয়ে কেউ কি বাঁচে?
আমার সম্বল এখন শুধুই চোখের জল আর অসীম শূন্য বুক।
জানি তোমার সাথে আমি পারবো না
তবুও আমার আর্তনাদে ভরা চোখের জল,
শূন্য প্রতিবাদে উডিয়ে ভালোবাসার মাস্তুল,
যুদ্ধ ঘোষনা হলো তোমার সাথে,
তুমি এসো তোমার হিংস্র খরগো নিয়ে,দাঁড়াও চরম আক্রোশে, আমি প্রস্তুত।
আহত করো আমায়, তোমার সমস্ত শক্তি দিয়ে।
ক্ষতবিক্ষত করো, পোড়া হৃদয় ঝাঁঝরা করো, রক্ত ফিনকি দিয়ে ছিটকে পড়ুক, পচনে-পুঁজে গলগলে হোক সর্বাঙ্গ, অজস্র হিংস্র পোকারা কিলবিল করুক চামড়ার নিচে।
আমি তবুও বুক পেতে বাহুবালী হয়ে মুচকি হাসবো।
তা দেখে যদি তুমি আরও অগ্নিশর্মা হও,
আরও ক্ষতবিক্ষত করতে সোৎসাহে ঝাঁপিয়ে পড়ো,
শরীরের চামডা তুলে নাও, হয়তো তবুও আঁশ মিটবে না।
আমি তখনো কিছুই বলবো না তোমায়,
শুধু কঙ্কালসার দেহে তোমার আঘাত নিতে দাঁড়িয়েই থাকবো।
তুমি জানোই না,আমার এই বুকে কতো জ্বালা ধারণ করেও আজ আমি দাঁড়িয়ে।
যদি চিডে দেখাতে পারতাম তুমি ভয়ে সিটকে যেতে,
এ পথে আর কোনদিন আসতে না।
একসময় তুমি কঙ্কালে খোদাই দেখতে,
হু হু করে বইছে উদগিরীত কষ্টের লাল লাভা।
আৎকে উঠে তুমি বলতে-
বলতো এতো জ্বালা নিয়ে তুমি কেমন করে বাঁচো।
আকুতি করলাম ‘একুশ’ সমস্ত কেড়ে নাও,
শুধু ভালোবাসার মানুষটাকে ছাড়া,
জানোনা ভালোবাসা কেড়ে নিলে মানুষ পাথরসম হয়।
তবুও প্রিয় একুশ,
তোমার সাথে আমার রাগ নেই,
কারন তুমি স্বাধ মিটিয়ে সব কেড়ে নিলে বলেই আজ জন্ম হলো কলম হাতে এক কবির!
ছবি- নেটের
১৫টি মন্তব্য
আলমগীর সরকার লিটন
খুব সুন্দর এক আবেগময় প্রকাশ কিন্তু একটু বড় হয়েছে- অনেক শুভেচ্ছা রইল
মনির হোসেন মমি
তবুও প্রিয় একুশ,
তোমার সাথে আমার রাগ নেই,
কারন তুমি স্বাধ মিটিয়ে সব কেড়ে নিলে বলেই আজ জন্ম হলো কলম হাতে এক কবির!
প্রিয় একুশ; ছিলো বলেই কবি হতে পেরেছেন।গদ্যের সমান্তরালে পদ্যেও যে আপনি অভিজ্ঞ বুঝা গেল।
কী সংঘাতিক সাহস! একুশকে আহবান করে প্রতিরোধের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়া চাট্টিখানি কথা নয়।আসলে জীবনকে এমন সব চ্যালেঞ্জগুলো নিতে জানতে হয় ডন্টকেয়ার ভাবে নতুবা জীবন অন্য রকম হয়ে উঠে।
পাঠে কবিতাটি আরো মনমুগ্ধ হয়ে ঊঠবে। ধন্যবাদ।।
রোকসানা খন্দকার রুকু
আমারও তাই মনে হচ্ছে ভাইয়া। ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা অশেষ
মোহাম্মদ দিদার
একুশ’ সমস্ত কেড়ে নাও,
শুধু ভালোবাসার মানুষটাকে ছাড়া,
জানোনা ভালোবাসা কেড়ে নিলে মানুষ পাথরসম হয়।
আহ কি মুগ্ধতা!
রোকসানা খন্দকার রুকু
তারপরও একুশ কেড়ে নিলো। শুভ কামনা অশেষ।।
হালিমা আক্তার
বিশ হয়েছে বিষময়।একুশেও আছে তার ছোঁয়া। জানিনা কবে বইবে বাতায়নে আলোর ঝরনা ধারা। খুব সুন্দর লিখেছেন কবি। শুভ কামনা অবিরাম।
রোকসানা খন্দকার রুকু
যা হারিয়ে যায় কা কি আর পূরণ হয়?? ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রইলো।।
মোঃ মজিবর রহমান
তবুও প্রিয় একুশ,
তোমার সাথে আমার রাগ নেই,
কারন তুমি স্বাধ মিটিয়ে সব কেড়ে নিলে বলেই আজ জন্ম হলো কলম হাতে এক কবির!
সব ইচ্ছে মিলে এক সুতায়। যাবে আসবে এইতো ধরার অমোঘ নিয়তির খেলা।
রোকসানা খন্দকার রুকু
কৃতজ্ঞতা অশেষ মজিবর ভাই।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আমি যত ই পড়ছি আর তত ই অবাক হচ্ছি। একজন মানুষ সবকিছুতেই এতো সম্পূর্ণ হয় কিভাবে? এই কবিতাটি অসম্ভব ভালো লাগলো। আপনার কবিতা দিন দিন আরো শক্তিশালী আর সমৃদ্ধ হচ্ছে। তবে রম্য রচনা খুব মিস করি। অফুরন্ত শুভকামনা রইলো
রোকসানা খন্দকার রুকু
আহ্ এমন কমপ্লিমেন্টে মরে যেতে ইচ্ছে করে। মন খারাপ আর রাগ ছিলো। রিকশায় যাচ্ছিলাম তখন লিখে ফেললাম। পাশে থাকুন দি ভাই।।।
বোরহানুল ইসলাম লিটন
ভালো লাগলো কাব্যিকতা।
ভালোবাসা বিনে বাঁচা সত্যিই দায়
তারপরও কর্কশ বিরহও দিয়ে যায় অনেক কিছু।
আন্তরিক শুভ কামনা জানবেন সতত।
রোকসানা খন্দকার রুকু
কৃতজ্ঞতা অশেষ লিটন ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
এক কবির জন্ম লগ্নে হাজির থাকতে পেরে সৌভাগ্যবান ভাবতে চাই।
রোকসানা খন্দকার রুকু
জী আমিও সৌভাগ্যবান হলাম মন্তব্যে। ধন্যবাদ।