প্রিয়তমা
তোমার ওষ্ঠে রেখে যাবো স্মৃতিচিহ্ন
তোমার চোখে ছিটিয়ে দিবো প্রেম
তোমার বক্ষে ছাপ রেখে যাবো আমি
প্রতিটি ক্রিয়ায় ভাববে আমায়।
প্রিয়তমা
তোমায় শীৎকার শেখাবো আমি
দেখাবো নীলাভ বিন্দু।
দিন দুপুরে সর্ষে ভাসমান
খুজবে তুমি সিন্ধু।
প্রিয়তমা
আমার টিকিটিও পাবেনা তুমি বাস্তবে,
স্মৃতির পাতায় হাতড়ে খুজবেঁ আদিমতা।
যৌনতাই শুধু নয়!
খুজে বেড়াবে নির্মল ভালোবাসা
প্রিয়তমা
সেদিন ও তোমার কাছেই থাকবো
তোমার বক্ষে থেকে যাবে ছাপ
ডাকার মত একবার ডেকো
আবারো আদিম হবো। ভুলে যাবো পাপ।
৩৫টি মন্তব্য
আবু জাকারিয়া
ভালই লাগল।
হৃদয়ের স্পন্দন
জেনে আমারো ভালো লাগলো
প্রহেলিকা
লেখাটি পড়লাম, পড়ে সিদ্ধান্ত নিলাম কিছু না হয় বলার চেষ্টা করি।
লেখকের শেষ লেখাটি পড়ে তৃপ্তি পেয়েছিলাম যার কৃতিত্ব আমি শুধু লেখককেই দিতে চাই। তবে আগের লেখাটি থেকে এটি সম্পূর্ণ আলাদা মনে হচ্ছে। লেখকের ভাবনাকে উস্কে দিতেই কিছু বলবো।
প্রথম স্তবক থেকে শুরু করে দ্বিতীয় স্তবকের মাঝ পর্যন্ত লেখক তার প্রিয়ার কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হলো, এরপরের স্তবকে প্রিয়ার ভবিষ্যতবাণী এবং শেষ স্তবকে আবার প্রিয়ার প্রতি আহবান!
তাহলে বলতেই হয় কোনো স্তবকের সাথে কোনো স্তবকের সামঞ্জস্যতা পেলাম না। প্রতিটি স্তবকেই কাট কাট চিত্রকল্প যা পাঠককে দ্বিধায় ফেলে। একটি চিত্রকল্প আঁকতে না আঁকতেই বাধ্য করে অন্য কোন চিত্রকল্পে পা ফেলতে।
এবার কিছু কিছু শব্দের বিন্যাসে বাক্যগুলো কতটুকু সার্থকতা পেয়েছে তা একটু ভেবে দেখি নিজের মতো করে।
**তোমার ওষ্ঠে রেখে যাবো স্মৃতিচিহ্ন** মেনে নিলাম লেখক তার প্রিয়ার ওষ্ঠে পুরোনো দিনের স্মৃতিচিহ্ন রেখে যাবে কিন্তু পরের লাইনে এসে লেখক যখন বলেন ***তোমার চোখে ছিটিয়ে দিবো প্রেম** তখন মনে হয় প্রথম লাইনটি অনর্থক কারণ প্রেম ছিটিয়ে দেবার পূর্বেই কিভাবে স্মৃতিচিহ্ন পেলেন লেখক? প্রেম ছিটানোর আকুলতার মাঝে স্মৃতিচিহ্ন কিভাবে সৃষ্টি হবে বুঝতে পারিনি।
প্রেম ছিটানোর পরের মুহুর্তগুলো ক্রমশ স্মৃতি হয়ে উঠবে বলে মনে করি। লেখক খুলে বললে পরিষ্কার হতে পারবো।
প্রথম দুই লাইনে একটি আকুলতা থাকলেও শেষের দু লাইনে কিন্তু কিছুটা অভিমান দেখা যায়।
**প্রতিটি ক্রিয়ায় ভাববে আমায়।**
এমন বাক্য অভিমানের প্রকাশ করে নয় কি?
এর পর যদি বলি
***তোমায় শীৎকার শেখাবো আমি**
এখানে শেখানো শব্দটি সম্পূর্ণ বেমানান কারো এটি একটি মুহূর্তের অনুভূতির অকৃত্তিম প্রকাশ যা শেখানো যায় না কখনোই তাই বাক্যটি স্বয়ংসম্পূর্ণ নয় বলেই মনে করি।
**দিন দুপুরে সর্ষে ভাসমান
খুজবে তুমি সিন্ধু।***
বুঝিনি লেখক কি বলতে চেয়েছেন এখানে, যদিও সর্ষে ভাসমান উপমা হিসেবে কতটুকু বলিষ্ঠ তা ভাবার বিষয়।
একটু নীচে নেমে এসে যখন দেখে লেখক বলেনঃ
**আমার টিকিটিও পাবেনা তুমি বাস্তবে,**
তাহলে বলতেই হয় যদি বাস্তবে দেখা নাই পাওয়া যায় তাহলে প্রথমে প্রেম ছিটিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি কেন করা হলো এবং কতটুকু ভিত্তি রয়েছে তার?
আজ এটুকুতেই থামি এর নীচে আর যাবো না আজ। শেষ দুটি কথা হলো আমার কাছে কোনো শব্দ অশ্লীল নয়, শব্দ ব্যবহারে নান্দনিকতা যদি না থাকে অশ্লীলতা ইঙ্গিতকারী শব্দগুলোকে অশ্লীলই মনে হয়। তাই অশ্লীল শব্দগুলোকে শৈল্পিকতায় প্রাণ দেওয়ার আগে এগুলোর ব্যবহার থেকে দূরে থাকাই ভালো মনে করি।
কবির কাজ শব্দ নিয়ে খেলা, শব্দে শব্দে সব বলে যাওয়া, লেখক যদি শব্দের আড়ালে পাপ মিশিয়ে রাখেন তাহলে এমন ভাবে পাপ মেশাতে হবে যা অন্যের কাছে পুণ্যবাহক। এসব নিয়ে কথা বলতে গেলে অনেক কথা হয়ে যাবে যাইহোক আশা করি লেখক নিরুৎসাহিত হবেন না, যদি মনে করেন নিরুৎসাহিত হচ্ছেন আমার মন্তব্য দ্বারা তাহলে আমলে নেয়ার দরকার নেই, কারণ আমার ভাবনায় ভুল থাকবে না তা কিন্তু নয়।
নিয়মিত চর্চা চলুক, আপনার জন্য শুভকামনা থাকবে সবসময়।
ছাইরাছ হেলাল
এমন আলোচনা লেখক ও পাঠকের মধ্যে যোগসূত্র তৈরি করে।
ব্যস্ত প্রহেলিকা এদিকটিতে মন দিয়েছে দেখে ভালই লাগছে।
চালু থাকুক এ প্রচেষ্টা।
প্রহেলিকা
এমন আলোচনা করতে গেলে নিজেকেও অনেক সতর্ক হতে হয়, কোথায় না আবার নিজে অপ্রাসঙ্গিক কিছু বলে বসি ভাইয়া।নিজেরও ফায়দা আছে তাই মাঝে মাঝে চেষ্টা করি একটু আকটু পারি না জেনেই করি।
হৃদয়ের স্পন্দন
আপনার মন্তব্যের জবাব হচ্ছে কিনা জানিনা। তবুও বলতে হচ্ছে প্রিয়ার ওষ্টে চিনহ রেখে যাবো প্রথমে তার পরেই কেনো চোখে প্রেম ছিটিয়েছি। চুম্বন ক্রিয়ার সময় শুধু ঠোটযুগল নয় প্রিয়ার চোখে চোখ রাখা চাই। যদিও ব্যাপারটা গড়মিলের
অভিমানের ব্যাপার টা সঠিক বলেছেন , প্রিয়া বারংবার আমার জীবনে আসা যাওয়া করে যদি সত্যি সে আসে কোনোকালে ফিরে তবে তাকে এমন কিছুই দিবো এমন শীৎকার শেখাবো যদি কোনো কালে আমায় ছেড়ে যায় তবে যেন প্রতিটা যৌনক্রিয়াতে আমার কথা মনে পড়ে।
আর টিকির দেখা এ জন্যই যে যদি আবার ফিরে এসে আবার চলে যায় তবে হাড়িয়ে যাবো। আমাকে কেউ কখনো কবিতা কিংবা লেখনিতে উতসাহ অথবা নিরুতসাহীত করেনি। রিসেন্টলি গুরু আমাকে বলেছেন কবিতায় কিছু উন্মুক্ত থাকবে কিছু থাকবে অন্যরকম .
উপমার কথা জানতে চেয়েছেন সর্ষের কথা। সেখানে অভিমান রেখেছি। যখন আমি থাকবোনা তখন আমায় খুজবে তবে সে আমায় পাবেনা।
এমন গঠনমূলক আলোচনা যদি থাকে কথা দিতে পারি সোনেলার সেরা ব্লগারদের একজন হব। বই বিষয়ক কিছু কথায় যে আলোচনা সমালোচনা এর কথা বলছিলাম তা বাস্তব হচ্ছে দেখে আনন্দিত আমি। ও হ্যা আবার আদিম হতে চেয়েছি পাপ ভুলতে চেয়েছি কেননা প্রিয়তমা ফিরেনি আজো
প্রহেলিকা
ধন্যবাদ আপনাদে, আপনার প্রচেষ্টা আপনাকে আপনার নির্দিষ্ট লক্ষে পৌঁছে দিবে। প্রসঙ্গত কিছু কথা বলতেই হচ্ছে। যিনি লিখেন তিনি অবশ্যই জানেন তিনি কি লিখছেন এবং একটি লেখার ব্যাখ্যা লেখকের কাছে থাকাটাই স্বাভাবিক।
প্রকৃতির একটি নিজস্ব ধারা আছে যার বাহিরে আমরা যেতে পারি না। প্রথম ও দ্বিতীয় স্তবকে দেয়া প্রতিশ্রুতিগুলো রেখে যাবার কথা উল্লেখ করা হয়ে থাকলেও পরে এসে ডাকার মতো ডাকার আহবান করাটাই বিপত্তি বাঁধিয়েছে।
আপনার ব্যাখ্যার উপর ভিত্তি করেই বলছি
***আর টিকির দেখা এ জন্যই যে যদি আবার ফিরে এসে আবার চলে যায় তবে হাড়িয়ে যাবো।***
এই কোটেড লাইনটুকুর মাঝে যে মনোভাব রয়েছে তা
***আমার টিকিটিও পাবেনা তুমি বাস্তবে***
এই লাইনটির মধ্য দিয়ে সম্পূর্ণ প্রকাশিত হয়েছে কি?
লাইনটি খেয়াল করলে দেখা যায় খুব সরল ভাবেই বলা আছে আমার কোনো অস্তিত্ব পাবে না বাস্তবে কিন্তু আপনি ব্যাখ্যাতে বলেছেন এসে যদি ফিরে যায় তাহলে আর দেখা পাবে না কোনদিন। এসে ফিরে যাওয়া কোন শব্দের মাঝে ইঙ্গিত রয়েছে সেটি আমার বোধগম্য নয়।
আপনি বলেছেন****যখন আমি থাকবোনা তখন আমায় খুজবে তবে সে আমায় পাবেনা।***
এই বাক্যটিকে “দিন দুপুরে সর্ষে ভাসমান” দ্বারা প্রকাশটিও আমার কাছে যুক্তিযুক্ত মনে হয়নি।
শেষ লাইনে বলেছেন ***ও হ্যা আবার আদিম হতে চেয়েছি পাপ ভুলতে চেয়েছি কেননা প্রিয়তমা ফিরেনি আজো*** ব্যাখ্যাটি অপ্রাসঙ্গিক মনে হলো। যাক আপাতত বাদ।
মূলত সমস্যা হচ্ছে আপনি যা বলতে চাচ্ছেন তা সম্পূর্ণ রূপে প্রকাশ পাচ্ছে না যার কারণে এলোমেলো মনে হচ্ছে তবে সেটি আমার একান্তই নিজস্ব ধারণা।
রিসেন্টলি আপনার গুরু যা বলেছেন ধৃষ্টতা হলেও সম্পূর্ণ দ্বিমত পোষণ করছি আপনার গুরুর সাথে, আলোচনার জন্য ডেকে আনা যায় উনাকেও।
সোনেলার সেরা ব্লগার হবেন তা আমরা মনে প্রাণে চাই, প্রথমেই বলেছি আপনার প্রচেষ্টা আপনাকে আপনার নির্দিষ্ট লক্ষে পৌঁছে দিবে।
শুভ কামনা।
হৃদয়ের স্পন্দন
আপনার এই মন্তব্যের কোনো জবাব দিতে পারছিনা ভাইয়া। আমার লেখনিতে অনেক ভুল আছে। তবে এভাবে আলোচনা সমালোচনা চললে একসময় ঠিক হয়ে যাবে লেখা আমি আশাবাদী
আবু জাকারিয়া
এই মন্তব্যটা পড়ে অনেক কিছু শিখলাম।
হৃদয়ের স্পন্দন
আমিও
ছাইরাছ হেলাল
প্রিয়তমারা ইদানিং খুবই ভেজাল করছে দেখছি।
আগুন রঙের শিমুল
তাই নাকি দাদা 😮 ভালোই ভেজালে আছেন মনেহয় , সমবেদনা রইলো 😀
হৃদয়ের স্পন্দন
প্রিয়তমারা ভেজাল কারিগর
আগুন রঙের শিমুল
আহা, শীৎকার শেখাবে কবি – মধু মধু 🙂
হৃদয়ের স্পন্দন
মধু তিতাও হয়; )
আগুন রঙের শিমুল
নাহে , তিতা আবার কেম্নে হয় । শীৎকার অলয়েজ মধু ,মধু মধু
রবীন্দ্রনাথের নায়িকাদের মতো প্রায় 😉
মাহামুদ
প্রহেলিকা ভাইয়ের সমালোচনা টা জোশ.. .
তবে নিজেকে ভাংগার একটা চেষ্টা লেখকের ভেতরে দেখা গিয়েছে। তবে ওই যে পরিপক্ব হয়ে তবেই শুরু করা উচিৎ।
হৃদয়ের স্পন্দন
হ্যা ভাইয়া
প্রহেলিকা মানেই বেটার ব্লগার
আমাদের মত আম ব্লগারদের শেখানোর ওস্তাদ
প্রহেলিকা
ঠিক না এখানে কেউ কারো ওস্তাদ না একটু ইচ্ছা থাকলেই হয়। দুজনকেই বলছি একবার চেষ্টা করে দেখুন আমার চেয়ে শতগুণ ভালো বলতে পারবেন আপনারা।
জিসান শা ইকরাম
লেখা চলুক আরো…………
এমন লেখা প্রচুর লিখলে প্রথম আলোর নজরে পড়া যেতে পারে 😀
হৃদয়ের স্পন্দন
এসবে হবেনা ভাইয়া আরো সেইরাম লাগবে
জিসান শা ইকরাম
তাহলে সোনেলার কোন ব্লগার ওই পুরস্কার পাবে না ? 🙁
ছারপোকা
প্রহেলিকা ভাইয়ের মন্তব্য সত্যিই ভাল লেগেছে ।লেখক লেখাই কিছু তালগোল পাকিয়ে ফেলেছে প্রিয়তমা আপনার এত তিড়িং বিড়িং করে ক্যান একবার আসে একবার যায় যারজন্য স্মৃতিচিহ্ন রাখেন আবার প্রেম ছিটিয়ে দেন কিছু কনফিউশনে পড়ে গেছি ।
প্রিয়তমা পরিবর্তন হোক :p
মাহামুদ
:D) হা হা হা!! প্রুথম আলোর পুরস্কার পাবেন।
বনলতা সেন
দেখবেন প্রথমালু আপনাকে ঠিক ঠিক খুঁজে নেব।
ভালতো ভালনা!
ব্লগার সজীব
জামিলের প্রভাব চলে এলো নাকি? আমিও জামিল হবো :p
হৃদয়ের স্পন্দন
জোড়পুর্বক শিতকারেও কি মধু হয়? হা হা।হা ওটা পরিবর্তিত চিতকার
শুন্য শুন্যালয়
প্রিয়তমাকে কি রসগোল্লা খাওয়াচ্ছেন নাকি? এতোগুলো গোল্লা ক্যান?
হৃদয়ের স্পন্দন
আমি খাওয়াবো আপু
মোঃ মজিবর রহমান
সুন্দর মনবাঞ্চনা।
সুন্দর কামনা।
লেখক প্রিয়ার বুকের
চিহ্ন রেখে দিবএ আজন্ম রেখাপাত।
দারুন।
হৃদয়ের স্পন্দন
ধন্যবাদ ভাইয়া
খসড়া
ভাল লাগল।
হৃদয়ের স্পন্দন
জেনে আমারো ভাল লাগছে
শিশির কনা
আধুনিক কবিতার একটি রুপ।আগুন কবিতা 😀
হৃদয়ের স্পন্দন
ধন্যবাদ আপু