
প্রিয়তমা,
একবার এসে আমার কপালে হাত বুলিয়ে দাও।
এই মৃত্যুর জংশনে দাঁড়িয়ে নিজেকে কেমন একা
লাগছে। চারপাশে এতো কোলাহল,এতো চিৎকার
চেঁচামিচি তবুও আমি একা।। তোমাকে ছাড়া রাতের
ঢাকা ঘুমিয়ে পড়েছে। অথচ তার জেগে থাকার কথা ছিলো। তার শরীরে মাছির মতো উড়ার কথা ছিলো লোডেড ট্রাক,দিনাজপুর থেকে কাঁচা মাল ভর্তি একটা পিকআপ,ডাকের গাড়ি। সদরঘাট থেকে রিকসায় করে জ্বলজ্বল করা একজোড়া চোখ নিয়ে ছুটে আসা একটা যুবক। অথচ কেউ আসেনি।
প্রিয়তমা,
আজ আকাশ কালো হয়েছে। রাতের মতো কালো।
বৃষ্টি নামবে। খুব দ্রুত। চলো! দুজন হাঁটি আগত বৃষ্টির দিকে। সুন্দর এক জীবনের সন্ধানে। যে জীবন বহুকাল খুঁজে পায়নি কেউ। যে জীবন খুব অল্প বিস্তর। যে জীবন রাখালের মতো,যে জীবন নদীর পাড়ে আঁচছে পড়ে ঢেউ। যে জীবন ফসল কাঁটার পরও ব্যথিত হয় কেউ কেউ।
প্রিয়তমা,
কেউ জানুক আর না জানুক তুমি তো জানো, এই আমি কতটা ভেঙে গ্যাছি। বুকের পলেস্তারা খসে পড়েছে। মাছের মতো হা করে তাকিয়ে থাকি আছি
জলে ডুবে যায় হৃদয়৷ তবুও মনে হয় ভিজতে পারিনি। তুমিতো জানো, আমার আদি অন্তের হিস্টোরি। কতটা প্রেমিক ছিলাম আমি।
প্রিয়তমা,
আজ নাকি ভালোবাসা দিবস। নগরীর প্রতিটি রাস্তা ভালোবাসায় জড়ানো। প্রতিটি চুলের খোপায় ফুলে
মোড়ানো। হয়তোবা অন্তরও। ভালোবাসার দেবী আজ নেমে এসেছে, এই শহরে। তুমি কি আজ সেজেছো?
প্রিয়তমা,
তোমাকে দেখতে ইচ্ছে হচ্ছে খুব। তোমার সামনে বসে দু’একটা কবিতা পড়তে মন চাচ্ছে। আজ তোমাকে অনেক কিছুই বলতে ইচ্ছে করছে।
ইতি,
তোমার কবি মশাই।
৫টি মন্তব্য
মনির হোসেন মমি
চিঠি সুন্দর হয়েছে।শুভ ভালবাসা দিবস।শুভেচ্ছা রইল।
বন্যা লিপি
প্রতি প্যারায় বাস্তবতার পরাকাষ্ঠা। তারপরেও অভাবটা লাগামছাড়া। আমি আজ তুমি হীন প্রিয়তমা! ভালো লাগলো ভীষণ এই চিঠি।
মোঃ মজিবর রহমান
ইইছে আজ মলিন, তুমি পাশে নাতকায় হাহাকার মন।
ভালো লাগা রইল পত্রপাঠে।
রোকসানা খন্দকার রুকু
আহারে এমন আকুতিময় প্রেমিক। ভালো লাগলো। আশা করি প্রিয়তমার মন গলবে, সারা দেবে আপন আলয়ে, কবি মশায়ের কাছে।
হালিমা আক্তার
এই ফাগুনের আগুন ঝরা দিনেও কি প্রিয়তম না এসে পারবে। চমৎকার কবিতা পাঠ করলাম। শুভ কামনা রইলো।