
প্রিয় প্রাঙ্গণে আগমন….
আমার লেখালেখির বয়স খুব অল্প সময়ের। ২০১৭ সাল থেকে টুকটাক টুকরো টুকরো অনুভূতি প্রকাশ করতাম ফেবুতে। ফেইসবুকে একজন মানুষের সাথে পরিচয় হলো আমার ‘সোহেল আহমেদ’। আমি উনাকে দাদাভাই বলে সম্বোধন করতাম। উনার সাথে টুকটাক কথা হতো। উনি সবসময় উৎসাহ দিতেন লেখার ব্যাপারে। একদিন বললেন সুরাইয়া আমি তোমাকে একটা গ্রু এ্যাড করে দিচ্ছি। তুমি ওখানে অনেক ভালো ভালো কবিতা পড়তে পারবে। তোমার লেখার উন্নতি হবে। ঠিক মতো পড়বে কমেন্ট করবে দেখবে তোমার দারুণ সময় কাটছে।
তারপর দাদাভাই আমাকে ‘মা মাটি মানুষ’ গ্ৰুপে এ্যাড করে দিলেন ২০১৮ সালে আগস্টের ১৮ তারিখে। তারপর গ্ৰুপে আমার পদচারণা অনেকের নেক নজরে এলো। সেই সময় অনেকেই এলেন আমার লিস্টে আবার আমিও গেলাম অনেকেই লিস্টে। এভাবে আমার ফেসবুক বন্ধু সংখ্যা বাড়লো। তখন মমি ভাইয়াও এলেন আমার লিস্টে। তবে ইনবক্সে কখনো কথা হয়নি আমাদের।
একদিন একটা ছবি পোস্ট করার আমার ওয়ালে। সেখানে একজন খুব বিশ্রীভাবে মন্তব্য করলেন। আমি সেই মন্তব্যের মাথামুণ্ডু কিছুই বুঝলাম না। তখন মমি ভাইয়া ইনবক্সে নক করেন এবং দৃষ্টি গোচর করালেন সেই কমেন্ট সম্পর্কে। বললেন এমন মানুষ লিস্টে থাকা বিপদজনক। সেই প্রথম আলাপ মমি ভাইয়ার সাথে। আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলাম উনার প্রতি। একসময় লেখালেখি নিয়ে কথা হচ্ছিল। তখন মমি ভাইয়া আমাকে বললেন শুধু গ্ৰুপে লিখলেই হবে! আমাদের ব্লগেও তো লিখতে পারেন। সেদিন প্রথম শুনলাম সোনেলা ব্লগ সম্পর্কে। আমি লেখবো বলে সম্মতি দিলাম।
কিন্তু লিখবো বললেই তো আর হলো না। ব্লগ সম্পর্কে কিচ্ছু জানি না। কীভাবে কী করতে হয়? আর তাছাড়া একটা ভীতি তো ছিলোই ব্লগার নাস্তিক, ব্লগারদের হত্যা করা হয়। সেদিনের সেই আলাপচারিতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকলো ব্লগে লেখালেখির গল্প।
তার বেশ কিছুদিন পর ইঞ্জা ভাইয়া আমার ইনবক্সে নক করলেন। বললেন আপু কিছু না মনে করলে একটা কথা বলতে চাই। আমি খুব ভয় পেয়ে গেলাম! বুকের মধ্যে ছ্যাঁত করে উঠলো। মনে মনে ভাবলাম আমি কিছু ভুল করলাম না তো! গ্ৰুপে কোনো ভুল কিছু কী হয়েছে আমার দ্বারা? আমি ভয়ে ভয়ে ভাইয়াকে নির্ভয় দিলাম বলেন ভাইয়া বলে।
ভাইয়া তখন আমাকে সোনেলা সম্পর্কে সমস্ত কিছু বললেন। আরো বললেন আপনি এখানে লিখলে আমাদের এবং আপনারও খুব ভালো লাগবে। আমি এবার বেশ আগ্রহ প্রকাশ করলাম। তার ঠিক দু’দিন পর আমার সবচেয়ে পছন্দের মানুষ সাবিনা ইয়াসমিন ( প্রিয় মিষ্টি আপু )আমাকে ইনবক্সে নক করলেন। আমি বললাম ব্লগ সম্পর্কে কিছু জানি না তবে মমি ভাইয়া ও ইঞ্জা ভাইয়া ধারণা দিয়েছেন। আমি লিখতে চাই আপু কিন্তু কীভাবে লিখতে হয় একাউন্ট করতে হয় কিছুই তো জানি না?
আপু আমাকে বললেন একদম চিন্তা করতে হবেনা আমি ইকরাম জিসান মোঃ শামসুল সাহেবকে বলছি উনি আপনাকে একাউন্ট করে দেবেন এবং সব বুঝিয়ে দেবেন। আপনি শুধু আপনার পছন্দের একটা ছবি ও বাংলা নাম দেন আর উনার রিকোয়েস্ট গ্ৰহণ করুন…
(সোনেলায় আমার এগারো মাস। আমি এই এগারো মাসে সোনেলায় বিচরণের সব কথা লিখবো। আর সেটা একদিনে সম্ভব নয় বলে পর্ব আকারে লিখছি)
২৯টি মন্তব্য
সুরাইয়া পারভীন
আমার ফোন থেকে
গ্ৰুপ, গ্ৰহণ শব্দ গুলো এমনই আসে। অনেক চেষ্টা করেও ঠিক করতে পারিনি।
ছাইরাছ হেলাল
সমসযা নেই এতে।
জিসান শা ইকরাম
রিদমিক কি বোর্ড ব্যবহার করে দেখুন, আমরা অনেকেই রিদমিক কি বোর্ড ব্যবহার করছি। সমস্যা হচ্ছে না কোন বানানে।
সুরাইয়া পারভীন
ভাইয়া আমি তো গুগল কিবোর্ড ব্যবহার করি। আর এটাতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। অন্যগুলো ভালোলাগে না
ফয়জুল মহী
আল্লাহ আপনার সহায়ক হোন । শুভ কামনা ।
সুরাইয়া পারভীন
ধন্যবাদ অশেষ
ভালো থাকুন সবসময়
আলমগীর সরকার লিটন
বাহ চমৎকার অনুভূতি প্রকাশ আপু অনেক শুভেচ্ছা রইল————–
সুরাইয়া পারভীন
আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন
ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সবসময়
সুপায়ন বড়ুয়া
প্রিয় প্রাঙ্গন সোনেলায় অল্প কয়েদিনে অনেক লিখে
আপন করে নিলেন। আপনার জয় যাত্রা অব্যাহত থাকুক।
শুভ কামনা।
সুরাইয়া পারভীন
কৃতজ্ঞতা অশেষ দাদা। এই অল্প সময়ে আপনারা আমাকে এতোটা আপন করে নিয়েছেন বলেই তো আমি সোনেলাতে বিচরণ করতে পারি নিশ্চিতে।
আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন দাদা
ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সবসময়
ইঞ্জা
সোনেলায় আপনাকে আনার পিছনে আপনার সাবলীল লেখা সোনেলার গ্রুপ এডমিনদের নজরে আসার পর সাবিনাপু আমাকে বলেন,”ভাইজান সুরাইয়া পারভীনকে আপনি ডাকলে আসবে”, এরপরের ইতিহাস আপনি জানেন, সত্যি এসেই জয় করলেন সোনেলার উঠোনকে, আরও বেশি বেশি লিখুন আপু, সাথে আছি।
সুরাইয়া পারভীন
যতোদিন লেখালেখিতে মন থাকবে ততোদিন ই লিখবো ভাইয়া। সোনেলা আমার প্রিয় প্রাঙ্গণ
এখানে প্রিয় ফুল ফোটাতে যে বার বার আসতেই হবে।
অনেক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ভাইয়া। আপনারা ছিলেন বলেই এমন একটি জায়গা আমি পেয়েছি।
সোনেলা ভালোবেসে সোনেলার সাথেই থাকবো ইনশাআল্লাহ
ইঞ্জা
শুভকামনা আপু
সুপর্ণা ফাল্গুনী
সোনেলায় আপনার আগমনে অনেক মুগ্ধ করা লেখা পড়েছি । চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করলেন সোনেলায় আগমন এর ঘটনা গুলো। আরো এগিয়ে যান লেখক হিসেবে নাম , যশ হোক। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন শুভ কামনা রইলো
সুরাইয়া পারভীন
কৃতজ্ঞতা অশেষ দিদিভাই
আপনাদের এমন উৎসাহ পেয়েই হযবর যা পারি তাই লিখি। এই উঠানের সবাই খুব আন্তরিক
সবাই সবাইকে কেমন মায়ার টানে বেঁধে রাখে। আমি ধন্য সোনেলাকে পেয়ে।❤️❤️
তৌহিদ
আপু আপনার লেখা পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম। সোনেলায় আপনার বিচরণ দীর্ঘতর হোক এটাই কাম্য।
শুধু বলতে চাই, ইদানিংকালে অন্যান্য লেখকের লেখায় আপনি কম আসছেন কিন্তু। সময় নিয়ে মন্তব্যে উৎসাহ দেবেন এটা চাইতেই পারি তাইনা?
শুভকামনা রইলো।
সুরাইয়া পারভীন
জ্বী ভাইয়া। অবশ্যই চাইতে পারেন
ইভেন আমি নিজেও লজ্জিত সোনেলায় সময় দিতে পারার কারণে। অবশ্য এর পিছনে কারণও আছে আমার চোখ আর মাথার যন্ত্রণা। মোবাইলে বড় লেখাগুলো পড়তে খুব চাপ পড়ে চোখে।
যতোটা সম্ভব পড়ার চেষ্টা করবো ভাইয়া। আর মন্তব্যও করবো ইনশাআল্লাহ
তবে যতোটুকু
প্রদীপ চক্রবর্তী
আপনার লেখা বরাবরের ন্যায় মুগ্ধতার বহিঃপ্রকাশ, দিদি।
সোনেলাকে নিয়ে আপনার একান্ত ভাবনার প্রথমাংশ বেশ ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।
শুভকামনা,
শুভ ব্লগিং।
সুরাইয়া পারভীন
আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানবেন দাদা
ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সবসময়
আপনারা আছেন বলেই কিন্তু আমার নিজেকে ব্লগার মনে হয়। আপনাদের আন্তরিকতায় আমি মুগ্ধ দাদা
শামীম চৌধুরী
সোনেলায় কারো না কারো হাত ধরে আমাদের আগমন ঘটেছে। সবার লেখায় সেটাই উপলব্ধি করলাম। আপনার লেখায় সোনেলায় আগমনের অনুভুতিটা বেশ ভাল লাগলো।
আর ইঞ্জা ভাই মানুষটাই এমন। সবাইকে উৎসাহ দেবার জন্য তিনি অনলাইনে বসে থাকেন। আমাকে আজকের জায়গায় নিয়ে এসেছেন এই গুনী ব্যাক্তি।
শুভ কামনা রইলো।
সুরাইয়া পারভীন
একদম ঠিক বলেছেন দাদাভাই। সত্যিই ভাইয়া একদম আলাদা।
কৃতজ্ঞতা অশেষ দাদাভাই
ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সবসময়
ছাইরাছ হেলাল
শানে নজুল জানলাম।
এবারে টুপ করে লিখতে শুরু করে দিন।
পর্ব হলে কোন সমস্যা নেই।
সুরাইয়া পারভীন
জ্বী ভাইয়া লিখবো
সোনেলায় পাওয়া সব অনুভূতি লিখবো।
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ভাইয়া
আপনি/আপনারা সব সময় পাশে থেকেছেন বলেই
আমি এতোটা এগিয়ে আসতে পেরেছি।
জিসান শা ইকরাম
সোনেলায় আগমনের ইতিহাস জানলাম।
আপনার অবস্থা এমন- ‘ আপনি এলেন, জয় করলেন।’
প্রথম পোষ্ট দেয়ার পর থেকেই একদম নিয়মিত হয়ে গেলেন সোনেলায়। নিজে তো প্রতিদিন পোষ্ট দিতেনই অন্য সবার পোষ্ট পড়ে মন্তব্যও করতেন। শীর্ষ মন্তব্যকারী ছিলেন আপনি অনেক সপ্তাহ। সোনেলার ব্লগারদের মধ্যে সম্ভবত সবচেয়ে দ্রুত পঞ্চাশ পোষ্ট দিয়েছিলেন আপনি। বর্তমানে আপনাকে সেই আগের ভূমিকায় তেমন দেখছি না। ব্যস্ততার কারনে হয়ত সবার লেখায় যেতে পারছেন না। তবে আমরা যারা নিয়মিত ব্লগার, তারা কিন্তু সেই প্রথম দিককার সুরাইয়া পারভীনকে মিস করি ব্লগে।
এগারো মাসের ব্লগ জীবন নিয়ে ধারাবাহিক লেখার অপেক্ষায় আছি।
শুভ কামনা, শুভ ব্লগিং।
সুরাইয়া পারভীন
ভাইয়া আমিও মিস করি শীর্ষ মন্তব্যদানকারী সুরাইয়া পারভীন কে তথা মন্তব্য কন্যাকে 😏
আমি লিখবো তো কেনো আমি আস্তে আস্তে পিছিয়ে পড়েছি। সোনেলা থেকে পাওয়া সব অনুভূতি লিখবো।
আর তাছাড়া চোখ ও মাথার যন্ত্রণা তো আছেই। যা হোক আমি আবার খুব দ্রুত নিজের জায়গা করে নেবো ইনশাআল্লাহ ❤️
খাদিজাতুল কুবরা
আপু আপনার সোনেলা আগমনের নেপথ্য পড়ে খুব ভালো লাগলো। বাকী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
অনেক শুভেচ্ছা জানবেন।
সুরাইয়া পারভীন
কৃতজ্ঞতা অশেষ। দ্বিতীয় পর্ব পোস্ট করেছি পড়ে নিয়েন আপু
ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সবসময়
নাসির সারওয়ার
আঁকিবুঁকি প্রস্তুতি ভালো ভাবেই শেষ করলেন। অপেক্ষায় রইলাম এবার শিল্পকর্ম দেখার।
ভালো থাকুন।
বন্যা লিপি
গল্পকথা যখন শুরুই করলি, তো চলুক গল্পের রেলগাড়ি। সোনেলায় প্রবেশরাম্ভ জানলাম। বাকি পর্ব নিয়ে চলে আয় তরা করে।