ফেব্রুয়ারী আসলেই আমাদের মাঝে চেতনার উদয় হয়,যদিও সারাটা বছর আমরা ঘুমিয়েই কাটাই।ফেব্রুয়ারীতে আমরা মহান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করি।আর ফেব্রুয়ারীতে সবার মাঝে ভাষা প্রীতি প্রবল ভাবে জাগ্রত হয় সবাই সর্বস্তরে বাংলা দাবী করে। চারদিকে বাংলা আর বাংলা! শুধুই কি আমজনতা? আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী, দেশমাতা,সমুদ্র জয়ের নেত্রী,(আরো কতো পদবী যে চামচারা দুই নেত্রীকে লাগাবে স্বয়ং সৃষ্টিকর্তাই ভালো জানেন) শেখ হাসিনা জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে বাংলার অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদন করেছিলেন। দেশবাসী ভাবলো বাহ বাহ! বেশ খাসা খবর তো। কিন্তু অতীব দুঃখ নিয়ে জানাচ্ছি আমাদের নিজেদেরই প্রশাসনিক ভাষা ইংরেজী!!! অথচ আমরা উঠে পরে লেগেছিলাম জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা বাংলা করতে হব, মানতে হবে এই দাবীতে। আমাদের আরেকটি বৈপরিত্য দেখাই, গত বৎসর আমাদের উচ্চ আদালত নির্দেশ জারি করে সমস্ত বিলবোর্ডের ভাষা হতে হবে সহীহ বাংলা। যারা কৌতুহল নিয়ে জানতে চান উচ্চ আদালত কি ভাষায় এই রায় দিয়েছে? কি ভাষায় আবার ইংরেজীতে।
আমি প্রতেক ফেব্রুয়ারীত অধীর অপেক্ষায় থাকি এইবার হ্যা এইবার হয়তো আমরা সর্বস্তরে বাংলা ছড়িয়ে দিতে পারবো। কিন্তু হিপোক্রেট প্রশাসন আর গোল্ডফিশ মেমরিধারি জনগণ অর্থাৎ আমরা ফেব্রুয়ারী আসলেই হাহাকার লাগাই আর ফেব্রুয়ারী গেলেই যাতা। অথচ এই লক্ষে সুস্পষ্ট কোন পদক্ষেপ কেউ নেয়না,ভাবেনা।
১২টি মন্তব্য
মাহামুদ
একি সমস্যারে বাবা লেখলে জোরা লাগে কেন একা একা??? অসহ্য।
আবু জাকারিয়া
ঠিক বলেছেন, ফেব্রুয়ারি আসলেই আমরা আমাদের ভাষা নিয়ে ভাবতে থাকি, যেই ফেব্রুয়ারি চলে যায় আমরা আর মনেও করিনা। বেশিরভাগ মানুষই মুখে চেচিয়ে ভাষার প্রতি ভালবাসা দেখায় কিন্তু বাস্তবে এগিয়ে আসে কজন? একবার এক মন্ত্রি একটা অনুষ্টানে ভাষা বিষয়ে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন। সবাই মন ভরে শুনছিলেন তার বানী। বক্তৃতার এক পর্যায়ে তিনি বললেন, আমরা যেন বাংলা ভাষার সাথে অন্য ভাষা মিক্স করে না ফেলি সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
তিনি মানুষকে খেয়াল রাখার পরামর্শ দিলেন কিন্তু সে নিজে কতদুর তা করতে পেরেছেন। তিনি হয়ত মিক্স কেও বাংলা শব্দ ভেবেছিলেন ভুল করে। এরকম নেতাদের কাছ থেকে আমরা আর কি আশা করব? যাই হোক, আমাদের প্রানের ভাষা বাংলার প্রতি রইল শুভ কামনা।
মাহামুদ
আর মন্ত্রীদের মুখের ভাষা!
এরা হলো সব বিষয়ে জ্ঞ্যানী।
হৃদয়ের স্পন্দন
ভালো লিখেছেন প্রতিবাদ কিংবা অভিযোগের ভাষায় দেখলাম আপনার দেশপ্রেম। বেশ ভালো লিখেন আপনি . বাংলা নিয়ে এমন লেখা অব্যাহত থাকুক
মাহামুদ
দেশপ্রেম!
খেয়ালী মেয়ে
আপনার লেখা পড়ে আরো একটা জিনিস শেয়ার করতে চাচ্ছি যে, এফবির হোমপেজে একটা বিষয় দেখে খুব অবাক হলাম যে, ফেব্রুয়ারি শুধু ভাষার মাস নয়, অনেকের ভাষ্যমতে ফেব্রুয়ারী তো ভালবাসার মাস, অনেকের আবার তোড়জোড় দেখলাম ফাগুন আর ভালোবাসা দিবস পালন নিয়ে—–আজব এরাই আবার ২১শে ফেব্রুয়ারিতে বর্ণমালা দিয়ে সাজানো ফুলের তোড়া বানিয়ে ছবি আপলোড করবে—অভিযোগ বলুন আর অভিমানই বলুন কোন কিছু দিয়ে কোন কিছু পাল্টানো যাবে না এদেশে–আমরা আসলে হুযুগে বাঙালি 🙁
মাহামুদ
আপি অপেক্ষা করেন আরো বহু হুজুগ দেখতে পারবেন।
প্রহেলিকা
ভালোই বলেছেন!
বৃষ্টিহত ফাহিম
একেবারে জায়গামত ধরিয়ে দিয়েছেন। বিশ্লেষণ অসাধারণ হয়েছে। সত্যি, এইভাবে ক’জন ভেবে দেখেছি আমরা?
মাহামুদ
🙁 বিশ্লেষণ করে লাভ কি? সমাধান যাদের হাতে তারাতো বিন্দাস!
খসড়া
আসলেই আপনি পোস্টটি করেছেন ফেব্রুয়ারীতেই। এটা আসলে হবেই এরজন্যই বিশেষদিন। যাতে আমরা ভুলে না যাই।
মাহামুদ
তাতো বটেই কিন্তু অযথাই বাগারম্বর করেতো প্রশাসন তো বিরক্তির উদ্রেক ঘটায়।