হাঁদার মত দাড়িয়ে আছি এক রত্তি হয়ে
নাবলা বলা কথা নিয়ে, হাজার বছরের সারা জীবন,
দড়ির উপর হেঁটে হেঁটে যাওয়া জীবন,
ক্ষয়হীন নিরন্ন নিষ্ঠুরতার জীবন।
এক হিমসিম শূন্য বাতাসেও চেঁচাইনি, সংগতিহীনতার বেড়াজালে;
ধুলোজমা জীবনের উৎকট বিচ্ছিন্নতার নিঝুম দুপুরে
তুমি এলে,
ছায়াঢাকা মায়াময় নতমুখ চোখে,
এলে উৎকণ্ঠিত অবাক চোখের ধীর পায়ে,
ঘন ট্রাফিকের জাল ছিড়ে , সুঘ্রাণের পাতা মাড়ানোর সোনাশব্দ তুলে,
ভুভুজেলায় নয়;
হারানো দুপুরের বিকেলে ফিরছি না আর, হবে ও না ফেরা;
এখানে এখন উষ্ণ ছিপ নৌকা ভর্তি গোলাপি আশীর্বাদের আশাবাদ
থেকে গেছি এখানেই,
গাঢ় মায়াবী আলোচোখের ঘুম জ্যোৎস্নায়
প্রসাধনহীন এক পরিচ্ছন্ন বাস্তবতায়,
সাতমহল শুদ্ধতায়;
৪৩টি মন্তব্য
অরুনি মায়া
সে এল লজ্জাবনত চোখে নিষ্পাপ মুখের আদলে
সে এল শত শত বাঁধা এড়িয়ে এক অচেনা বন্দরে
সে এসেছেই যেন ছিনিয়ে নিতে অতীতের ধূলোজমা জীবন
তাইতো আজ এই অবেলায় তুমি তার তরে প্রেমের বাঁশি বাজালে,,,
ছাইরাছ হেলাল
অচেনা বন্দরে এলে বাঁধা তো পেরুতেই হয়, আমরা তা পেরিয়েই আশি।
ধুলোর আস্তরণ ভেদ করে ফুটে উঠুক এক গুচ্ছ গোলাপ ভাবনা।
অরুনি মায়া
গোলাপেও যে কাঁটা থাকে |
কঠিন জীবনে ফুল ফোটানো সেতো আরও কঠিন,,,
কাঁটার আঘাতে চামড়ায় ক্ষত না হলেতো সুগন্ধির দেখা পাওয়া যায়না,,,
ছাইরাছ হেলাল
কাঁটা আছে জেনেও গোলাপ ভাল না বেসে পারা যায় না,
গোলাপের সৌন্দর্য্য যে প্রাণ ভরে দেখেছে ঘ্রাণ যে একবার পেয়েছে তার আর
উপায় নেই কোন ভাবেই।
অরুনি মায়া
তাই তো আমি মালিনী হয়েছি | আজ আমার হাত টি যদি দেখতেন সকালে কাঁটার আঘাতে অনেক জায়গায় কেটে গেছে,,,
ছাইরাছ হেলাল
গোলাপ চাষির এ কষ্ট নিতেই হয়।
এমন মালিনী আমার কই পাই!
কালে-ভাদ্রে জুটে যায় আমাদের ভাগ্যে।
অরুনি মায়া
রাজকন্যা যখন মালিনী :p
ছাইরাছ হেলাল
সে তো আমাদের সৌভাগ্য আজন্ম।
অরুনি মায়া
ঠিক উল্টো | মানে ভাগ্যতো আমার ভাল,,,
নীলাঞ্জনা নীলা
যাক অবশেষে কূলে এসে ভীড়লো তরী।
তাইতো কবিতারা আরোও সহজ হচ্ছে। -{@
নাসির সারওয়ার
হ্যাঁ হ্যাঁ। জলবৎ তরলং।
ছাইরাছ হেলাল
হ্যাঁ হ্যাঁ, তরলং জলবৎ!!
ছাইরাছ হেলাল
সহজ করেই লিখতে চাই।
নাসির সারওয়ার
তা হাজার বছরটা একটু কম জীবন হোল নাকি!
হারাবার জন্য রাত অনেক উত্তম, আর তা যদি হয় অমাবস্যার, তাহলে তো সোনায় সোহাগা।
আসবো আবার, দেখি কিছু উদ্ধার হয় কিনা।
ছাইরাছ হেলাল
হাজার বছর একটু কম কম হয়ে যায়, স্বাদ-আহ্লাদ এর একটি ব্যাপার থেকেই যায়।
আন্ধারে ভালো জুইত হয় বুঝি? কাক জ্যোৎস্না বুঝি, দিন-কাল পাল্টাইছে কিন্তু।
কিছু পাইলে জানান দিয়েন।
কুবিতা ল্যাহেন না ক্যা?
জিসান শা ইকরাম
শুভ্রতার শুদ্ধতার মাঝে অসীম আনন্দ
এভাবেই থাকা হোক………
শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
শুদ্ধতার আনন্দ অপরিসীম, আর তা চালুই থাকবে।
আবু খায়ের আনিছ
দড়ির উপর হেঁটে হেঁটে যাওয়া জীবন।
জীবন এতটাই কঠিন কি?
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্য ই কঠিন যে যার জায়গায় দাঁড়িয়ে দেখে।
আবু খায়ের আনিছ
কঠিন জীবনটাকেই ত সহজ করে দিয়েছে ভাই। কবিদের এই কাজটাই মানুষ সবচেয়ে বেশি পছন্দ করে।
ছাইরাছ হেলাল
সবার পছন্দ কিন্তু এক হয় না।
মরুভূমির জলদস্যু
সুন্দর -{@
ছাইরাছ হেলাল
হ্যাঁ
নীতেশ বড়ুয়া
আমি যা বুঝেছি সেটাই কি আপনি বুঝিয়েছেন? ;?
বরাবরের মতো রুপক অর্থে বা উপমায় বলা কথাগুলো খুবই সুন্দর হেলাল ভাইয়া… -{@
ছাইরাছ হেলাল
আপনি যে বুঝেছেন আমিও তাই ই বুজিয়েছি।
রূপক ই ভরসা আজকালকার জীবনে
নীতেশ বড়ুয়া
হুম… 😀
রাত্রি রায়
না জানিয়ে হঠাৎ পাওয়ার নাম নাকি চমক। গতিহীন আবার শূণ্যতাও মিলেমিশে যাওয়াকে একধরণের দ্বৈত আবেগ বলে। জেনেছিলাম উৎসুকতার থেকে। সবকিছু মিলিয়ে একাকার হবার পর যে শুনশান আবহ সৃষ্টি হয়, সেই নাকি প্রেম। আপনার লেখায় এতো প্রেম। সুঘ্রাণ ছড়ায় আবার ধীরলয়ে আসে সোনাশব্দ তুলে। ভাবছি ঘুম ঘুম চোখে আবার ঘুম ভাঙ্গা চোখে সাধারণ ওই রমনীয়তা কেমন ঢেউ তোলে!
এমন প্রেম ফেরাবে কোনো নারীর সাধ্যে নেই। 🙂
ছাইরাছ হেলাল
মন্তব্যের চমকের জন্য ধন্যবাদ।
শুন্য শুন্যালয়
কি লিখবো, কোথা থেকে শুরু করবো বুঝতে পারছিনা। এত কঠিন অবস্থায় ফেলে দেয়া ঠিক না। এই লেখা কি সত্যিই সহজ? আমার মাথা এতো নড়ে ক্যা রে? এ নিশ্চয়ই আপনার এত্তদিনের মগজ নাড়ানো লেখার ফল, সহজ লেখাও এখন বুঝতে পারছিনা।
আপাত সুখী মানুষের ভেতরেও থাকে ক্ষরণ, কি আমরা চাই, কি খুঁজি তা হয়তো নিজেও জানিনা, হয়তো জানবার আগেই সমাপ্তি ঘটে। তবে জেনে গেলে সে বড়ই কঠিন। কতো সুন্দর লাইন আপনি আনেন লেখায়, মুগ্ধ হওয়া ছাড়া আমাদের কিছুই করার থাকেনা।”দড়ির উপর হেঁটে হেঁটে যাওয়া জীবন”।
সংগতি হীনতার বেড়াজালে আমরা সময়ে অসময়ে পড়েই যাই, সবাই চেঁচাতে পারেনা। নীরব চিৎকারে জোর বেশি।
সে আসে, আসে। পাওয়ার মত আনন্দের আর কি কিছু আছে? এ পাওয়া নিজেকেই আরেকবার ফিরে পাওয়া। নিজেরই আরেক অর্ধেক।
সবকিছুর পর ছিপ নৌকা ভর্তি গোলাপী আশির্বাদের আশাবাদ। ভুলে যাওয়া যায়না, বন্ধু স্বজন। পৃথিবী শুধু তুমি আমি নয়। আরো অনেক অনেক বেশি। সবাইকে নিয়ে এক পরিশুদ্ধ বাস্তবতা, আপনার লেখার মতই প্রসাধনহীন সাতমহলে ফুঁটে উঠুক।
লেখায় স্নিগ্ধতা যেন চাইলেও ছাড়বেনা।
ছাইরাছ হেলাল
কি লিখবো এ মন্তব্যের জবাবে? কোথা থেকে শুরু করবো বুঝতে পারছিনা। এত কঠিন অবস্থায় ফেলে দেয়া কোন ভাবেই ঠিক না। এই মন্তব্যের উত্তর দেয়া কি সত্যিই সহজ? আমার মাথা এতো আউলা ক্যা রে? এ নিশ্চয়ই আপনার এত্ত এত্ত দিনের মগজ নাড়ানো অনুপস্থিতির ফল, সহজে লেখা মন্তব্য এখন বুঝতে পারছিনা। উত্তর দিলে তো পোস্ট হয়ে যাবে। ধরা যখন পড়েছি ই স্বীকার করতে দ্বিধা নেই আপাত নিরীহ দর্শন লেখাটি এতটা সহজ ছিল না। অতৃপ্তি অপারগতা পাহাড় সমান নিশ্চয়তায় ও ভালোবাসা ধারণের যে যন্ত্রণা তা বলার চেষ্টা, ভালোবাসাকে ভালোবেসেই, কঠিন বৈকি।
আমি তে তুমি, তুমিতে আমি আছে বলেই ভালোবাসা ভালোবাসা, এর বাইরেই আমাদের একান্ত স্বজনরা থাকে,
থাকে রাজ বাড়ীর বৈদ্য, তাকে ছাড়া আমার চলেই না। শুদ্ধতার পরিশুদ্ধতা নিয়ে ভাবি না , তবে তা চাই ষোলআনাই,
পাব কী পাব না হিসাবের বাইরে থেকেই, অবশ্যই প্রসাধনহীন ভাবেই। স্নিগ্ধতা যদি কিছু থাকে তা ভালোবাসাকেই
উৎসর্গ।
ভাউ, আপনি বস, টুপি উচু করলাম।
শুন্য শুন্যালয়
নকলবাজির অভ্যাস বুঝি ছাড়ছে না? 🙂
ভালোবাসার আধারে যন্ত্রণা থাকেই, কিংবা খুঁজে বের করিই আমরা। এ যন্ত্রণা সুখ পাবার প্রলোভনেই। যদি কিছুটা বুঝি থাকি আপনার লেখা এই পর্যন্ত, তবে আপনার সব লেখার আড়ালেই প্রচ্ছন্ন এই যন্ত্রণা থাকেই, হয়তো আপনারই উপেক্ষায়। লেখাটিকে সহজ ভাবতে অন্তত আমি পারিনি, কারন পুরো বুঝে ওঠা হয়নি। বাঁকিটার জন্য আপনার মন্তব্যের অপেক্ষা ছিল, এখন পুরোটা। উতসর্গ যথার্থ।
ষোলআনা শুদ্ধতাই পেতে পারি, এ খুব কঠিন চাওয়া না হলেও, কিছুটা হাতের বাইরেই থাকে। হাত বাড়িয়ে পানির উপর শাপলার ডগা টেনে এনে তুলতেই হবে, যেভাবেই হোক এমনটা ভাসলো চোখে। লেখাটি সুন্দর ছিল ভাইয়া।
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন সোনা নকল হয়, হবেও এটাই নিয়ম। সবাই নকলের সুযোগ পায় না।
দেয়াও হয় না, অবশ্যই কৃতজ্ঞ ভাউ এর কাছে। কোন সুখ ই যন্ত্রণার উর্ধ্বে উঠতে পারে না।
তা সম্ভব ও না। যত বেশি ভালোবাসা তত তা হারানোর যন্ত্রণা। যা আমরা বয়ে বেড়াই জেনে বা অজান্তে। আপনার অবোধ্য কোন লেখা লিখতে পারিনি, সেটা অসম্ভব। সেক্ষেত্রে আমি আপনার
মন্তব্য ন্যাওটা বললে বলতেই পারেন।
ষোলআনা শুদ্ধতা চাই ই, তা না পেলেও চাইতেই থাকব। সব কিছু হয়ত তুলে আনতে পারব না
তা জেনেও শাপলা-শালুক আমার চাই ই।
স্বীকার করছি সত্যি ই লেখাটি আমার ও ভাল লেগেছে।
বনলতা সেন
এখানে কী বিষয়ে কথা হচ্ছে।
শুন্য শুন্যালয়
এখানে বনলতার বিষয়ে কথা চলছে।
নীতেশ বড়ুয়া
বুনোলতায় কাঁটা থাকে জানোনা বুঝি শুন্যাপু? উনিশ থেকে সাড়ে উনিশ হলেই কিন্তু :p
শুন্য শুন্যালয়
আমিতো শুন্য, কাঁটায় ভয় পাইনা 😀 আর বুনোলতা বৈশিকরনের যাদুমন্ত্র আমার জানা। নাই, নাই ভয়, হবে হবে জয়। 😀
নীতেশ বড়ুয়া
আমরা করবো জয়, আমরা করবো জয়… তবে এইখানে মন্তব্য করে আমার হচ্ছে ভয়, বুনোলতার কাঁটার ভয় 🙁 :p
শুন্য শুন্যালয়
হা হা, বুনো দিকে তুমি তুমি বইলা প্রথমদিন ধরা খাইছিলি, মনে আছে আমার :p
নীতেশ বড়ুয়া
তুমি না, তুই কইছিলাম আমার পরিচিত আরেক বনলতা ভেবে… ইজ্জতের সাড়ে একত্রিশ হইসিলো আরকি সেদিন :p
শুন্য শুন্যালয়
হা হা হা, আমি কিন্তু দাঁত কেলাইছিলাম 😀
নীতেশ বড়ুয়া
^:^ আমি চুল টানছিলাম
বনলতা সেন
লেখা পড়ব না মন্তব্য সেটা আগে ঠিক করতে হবে। অবশ্য আমার জন্য সবই সমান।
এ সব না লেখাই ভাল। মহা জ্বালাতন সেই প্রথম থেকে।
ছাইরাছ হেলাল
মহা যন্ত্রণা দেখছি, মন্তব্য থেকেই না হয় শুরু করুন।