অনেকদিন আগে কেউ একজন জিগ্যেস করেছিলো
আমায়, যদি মানুষ হয়ে না জন্মাতাম
তাইলে কি হিসেবে জন্মালে আমি খুশি হতাম?
আচমকা প্রশ্নের এই উত্তর আমি দিতে পারি নি।
তবে এর পর থেকেই ভাবনাগুলো মাথায়
খেলা করতে থাকে রোজ।
উত্তর আসে একের পর এক, থেমে থেমে।
কখনো ভাবি হয়তো মাছ হয়ে জন্মালে ভালো হতো,
সারাটাদিন সাঁতড়ে বেড়াতাম, নিজের ইচ্ছেমতো।
কখনো ভাবি পাখি হয়ে জন্মালে ভালো হতো,
উড়ে বেড়াতে পারতাম এক দেশ থেকে আরেক দেশে।
কখনো ভাবি হয়তো বটবৃক্ষ হয়ে জন্মাতে পারলে
হয়তো খুউব ভালো হতো।
প্রচন্ড গরমে অতিষ্ঠ মানুষগুলো আমার ছায়ায়
শীতল হতে আসতো আমার কাছে।
কখনো ভাবি মৌমাছি হয়ে জন্মালে হয়তো ভালো হতো।
একটু একটু করে প্রকান্ড একটা চাক বানাতাম,
আর মানুষ সেটা ভেঙে নিজের জন্য নিয়ে যেত,
নিজেদেরই জন্য।
কখনো ভাবি নদী হয়ে জন্মালে কিইবা এমন ক্ষতি ছিলো!
বয়ে যেতাম আজীবন যতদিন পৃথিবী থাকে,
পাঠ্যপুস্তকেও হয়তোবা নাম থাকতো আমার।
কখনো ভাবি পাহাড় হয়ে মাথা উঁচু করে কেন জন্মাইনি!
কারো সামনে তখন মাথা নত করতে হতো না অন্তত।
কখনো ভাবি সমুদ্র হয়ে নেমে আসলাম না কেন এই
নষ্ট ধরনীতলে, মন চাইলেই কিছু নষ্টকে অন্তত ভাসিয়ে
নিয়ে যেতে পারতাম জলোচ্ছাস হয়ে।
ওই একটা প্রশ্নের উত্তর এখন মনে চলে আসে বারবার,
আমি না চাইলেও, মনের অজান্তে।
কিন্তু উত্তরটি দেব যাকে, তাকে খুঁজে পাই না আর।
৬টি মন্তব্য
আলমগীর সরকার লিটন
বেশ অনুভূতির ছোঁয়া কবি দা
ফজলে রাব্বী সোয়েব
ধন্যবাদ। শুভ কামনা রইলো।
মনির হোসেন মমি
প্রশ্নের জটিলতা যাই হোক মান+হুস=মানুষ হয়ে জন্মানোটাই শ্রেয়।সুন্দর প্রকাশ।
ফজলে রাব্বী সোয়েব
ধন্যবাদ ভাইজান। শুভ কামনা রইলো
হালিমা আক্তার
কবিতার খাতায় অনেক কিছুই হতে মন চায়। তবে মানুষ হয়ে জন্ম নেওয়া সবচেয়ে বড় ভাগ্য। শুভ কামনা রইলো।
ফজলে রাব্বী সোয়েব
ধন্যবাদ