বরিশালের উজিরপুর উপজেলার শোলক গ্রামে মাদক সম্রাট ইয়াসিন সরদার আবার বেপরোয়া। শোলক এলাকায় মাদকের রাজ করে যাচ্ছে গাঁজা ইয়াসিন। একাধিক বার সংবাদ প্রকাশের পরও টনক নড়ছে না পুলিশ প্রশাসনের। প্রশাসন যেন চোখে কালো চশমা পড়ে আছে। মাদকের রোষানলে শোলক যুবসমাজ। এমনকি বাদ পড়েনি স্কুল,কলেজ পড়ুয়া শিক্ষর্থীরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একদিকে মাদকের চোরাচালানসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী অপকর্মের সাথে জড়িত ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর এলাকার আতংক। অপরদিকে তারই ভাই এলাকার চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা ইয়াছিন সরদার ওরফে গাঁজা ইয়াসিন এলাকার যুব সমাজের চরম আতংক। তবে স্থানীয় একাধিক সূত্র নিশ্চিত করে বলেন, উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জের রদবদলের পর নতুন ইনচার্জ নুরুল ইসলাম (পিপিএম) আসার কয়েক মাস পর্যন্ত মাদক ব্যবসায়ী ইয়াসিন নিশ্চুপে থাকলেও বর্তমানে ইয়াসিন ও তার ভাই জাহাঙ্গীর মেম্বার মাদক ব্যবসায় আবার বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তবে শুধু মাদক ব্যবসায়ী ইয়াসিন নয় মাথাচারা দিয়ে উঠেছে আবারও উজিরপুর মডেল থানার নাগের ডগায় উজিরপুর বাজারের গাঁজা হান্নান। গাঁজা হান্নান একাধিকবার বিপুল সংখ্যক মাদক নিয়ে গ্রেফতার হওয়ার পরে জেল থেকে বেড়িয়ে এখন আবার বেপরোয়া। বহুদিন ঘাপটি মেরে থাকার পরে আবার পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে শুরু হয়েছে যুব সমাজ ধ্বংসের খেলা। শোলক এলাকায় মাদক বিক্রেতা ইয়াসিনকে নেপথ্যে সেল্টার দিচ্ছে তার ভাই জাহাঙ্গীর। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানায়, শোলক এলাকাটি উজিরপুর থানার একটি বর্ডার এলাকা পাশাপাশি রয়েছে আগৈলঝড়ার বর্ডার। আর এ সুযোগে ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর মাদকের চোরাচালান এনে ভাই ইয়াসিনকে দিয়ে বিক্রি করাচ্ছে। গাঁজা,ইয়াবা ও ফেন্সিডিল এসব মাদকের অভয়ারন্য করে রেখেছে শোলক এলাকা। কেউ কোন প্রকার মুখ খুললে তাদের উপর নির্ঘাত সন্ত্রাসী হামলা। তাই ভয়ে কেউ মেম্বার জাহাঙ্গীর ও তার ভাই গাঁজা ইয়াসিনের ব্যাপারে মুখ খুলতে চান না। তবে এলাকার সুধী সমাজের কয়েকজন জানান, এ ব্যাপারে স্থানীয়রা ভয়ে কিছু বলতে না পারলেও প্রশাসন নিশ্চুপ কেন ? এ ব্যাপারে উজিরপুর মডেল থানার ওসি নুরুল ইসলাম (পিপিএম) জানায়, মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে খুব শীঘ্রই ব্যবস্থা নেয়া হবে।মাদক ব্যবসা

0 Shares

২টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

Thumbnails managed by ThumbPress