
উত্তপ্ত ধরনী। বিরূপ প্রতিক্রিয়া প্রকৃতির। প্রকৃতি একটু বেশি তেতে আছে বলেই মনে হয়। এশিয়া ইউরোপ জুড়ে তীব্র তাপদাহ। অতীষ্ট জীবন যাত্রা। রাস্তায় বের হলে মনে হয় শরীর পুড়ে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে সূর্য তার সমস্ত রাগ ঢেলে দিচ্ছে বসুধার উপর।
স্পেন ও পর্তুগালের তাপমাত্রা ৪০° সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে। ফ্রান্সেও একই অবস্থা। ব্রিটেন জরুরি অবস্থা জারি করেছে। পুরো বিশ্বজুড়েই জলবায়ুর বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। আর যাবেই না কেন। প্রকৃতি তার নিজস্ব নিয়মে চলে। আর মানুষ তার নিজস্ব ক্ষমতা বলে প্রকৃতিকে ভেঙে চুরে নিঃশেষ করে দিচ্ছে। পৃথিবী যত আধুনিকায়ন হচ্ছে। প্রকৃতি ততটাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
গাছ কেটে বন উজাড় করে ফেলা হচ্ছে। ক্রমাগত ছোট হয়ে যাচ্ছে বনভূমি। একটি দেশের আয়তনের ২৫ ভাগ বনভূমি থাকা প্রয়োজন। আমাদের ১০ ভাগ বনভূমি আছে কি না সন্দেহ। ক্রমাগত গাছ কেটে ফেলা বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রধান কারণ। পাহাড় কেটে ঘর বাড়িয়ে এবং রাস্তাঘাট তৈরি করা হচ্ছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে ফসলি জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। কলকারখানা এবং গাড়ি থেকে নির্গত হচ্ছে কার্বন ডাই অক্সাইড। পৃথিবী ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছে। আধুনিকায়নের সুফল ভোগ করতে হলে, প্রকৃতির দুর্ভোগ্য পোহাতে হবে।মানুষ তার নিজ প্রয়োজনে প্রকৃতির সৌন্দর্য নষ্ট করবে।আর প্রকৃতি বসে চুপচাপ দেখে যাবে। প্রকৃতির ও তো শোধ নিতে ইচ্ছে হয়। বৈশ্বিক উষ্ণতা প্রকৃতির চরম প্রতিশোধ।
প্রকৃতি প্রতিশোধ নেক আর যাই করুক। আমরা তো বলতেই পারি।
চাতকের মতো চাহিয়াছি আকাশ পানে।
দৃষ্টি খুঁজে ফেরে মেঘ কোথায় আছে।
আষাঢ় গেল। শ্রাবণ আসলো।বর্ষা তুমি এলেনা।
ওগো মেঘ তুমি এত নিঠুর হইও না।
বৃষ্টি হয়ে এসো তুমি। সিক্ত করো মোরে।
পিপাসিত আমি।
তুমি ছাড়া তৃষ্ণা কে আর মিটাবে।
১৪টি মন্তব্য
বন্যা লিপি
আগে ফাস্টু হয়ে নেই,,,,পরে মন্তব্য🎖️🎖️🎖️🎖️ ফার্স্ট মেডেল আমার😊😊😊😊
হালিমা আক্তার
ধন্যবাদ আপা। মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম।
বোরহানুল ইসলাম লিটন
মানুষই প্রকৃতির হন্তারক!
তাইতো প্রকৃতি আজ স্বভাবে উগ্র।
আন্তরিক শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা জানবেন সতত।
হালিমা আক্তার
চমৎকার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। সত্যি আমরাই কিন্তু প্রকৃতি ধ্বংস করছি। শুভ রাত্রি।
সাবিনা ইয়াসমিন
প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য সংবাদ গুলোতে এখন বেশ বড় একটা অংশ দখল করেছে আবহাওয়া সংবাদ। বিশ্ব জলবায়ুর পরিবর্তন এখন সংবাদ/বিজ্ঞপ্তি বিভাগ ছাড়িয়ে আলচ্য বিষয় হয়ে গেছে ঘরে বাইরে সবখানে।
পর্তুগালে ২৫৬ জনের মৃত্যু অথবা এখন পর্যন্ত ৭ টি দেশের জরুরী অবস্থা ঘোষণা,এসব যেন কারো গায়েই লাগছে না। সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত না নিলে অদূর ভবিষ্যতে আরও অনেক কিছু দেখতে হবে আমাদের।
হালিমা আক্তার
সারা বিশ্বে একই অবস্থা বিরাজ করছে। শীতল ইউরোপ গরমে পুড়ছে। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে সেমিনার, সিম্পোজিয়াম হয়। কাজের কাজ কিছুই হয়না। মনে হচ্ছে মরুভূমি হয়ে যাবে। আল্লাহ রক্ষা করুন। অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো।
খাদিজাতুল কুবরা
বৈশ্বিক উষ্ণতা নিয়ে সঠিক উপস্থাপন করেছেন আপা।
গরমে অতিষ্ঠ জীবন অথচ আমরা মানুষেরাই দায়ী।
ঝুম বৃষ্টি নামুক, মেঘ করেছে আকাশে
হালিমা আক্তার
গরমে অবস্থা শোচনীয় হয়ে যাচ্ছে। জানিনা আল্লাহ কবে এ অবস্থায় থেকে উদ্ধার করবে। আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভকামনা অবিরাম।
মনির হোসেন মমি
ক্রমশতঃ পৃথিবীর ধ্বংসের মুখোমুখির দিকে যাচ্ছে।
নিজের পায়ে নিজেরা যদি কুড়াল মারি কার কি বলার আছে।আমরাই আমাদের সুন্দর পৃথিবীটার ধ্বংসের কারন।
ভাল পোস্ট।
হালিমা আক্তার
সুন্দর পৃথিবী ধ্বংস করে। এখন অতিষ্ঠ জীবন যাত্রা। চমৎকার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা।
সৌবর্ণ বাঁধন
এ এক অদ্ভুত বাস্তবতা। মাতৃহত্যার মতো কিভাবে মানুষ তার নিজস্ব গ্রহকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। এই দুর্যোগ কাটিয়ে যদি সৌরজগতের কোথাও টিকেও যায় মানব সভ্যতার উপনিবেশ, সেই প্রজন্ম ভাববে কি স্বার্থপর ছিল এখনকার মানুষেরা!
হালিমা আক্তার
এ দুর্যোগ আর কাটবে কি। এভাবে চলতে থাকলে পৃথিবী একদিন বসবাসের অনুপযোগী হয়ে যাবে। চমৎকার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো।
রোকসানা খন্দকার রুকু
বাংলাদেশের বনভূমি এখন ৮ ভাগ। কিভাবে আমরা ধংসের দিকে যাচ্ছি। জনগন সচেতন না হলে সরকার আর কি করবে। সারাক্ষণ তো সবটাতে পাহারা বসানো সম্ভব নয়!!
হালিমা আক্তার
সবাইকে সচেতন হতে হবে। মানুষ সচেতন না হলে, প্রশাসন কিছু করতে পারে না। জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য উন্নত বিশ্ব সবচেয়ে বেশি দায়ী। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ছোট রাষ্ট্র গুলো কে। অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো।