গুগল মামার জন্য পৃথিবীর সব অজানা হাতে এসে ধরা দিচ্ছে। অজানাগুলো জানায় রূপ নিলে বিষ্ময় আরো বাড়ছে। সুন্দর, অদ্ভূত কতো সৃষ্টি আমাদের চারপাশে, শুধু একটু দেখে নিতে জানা। জীব বৈচিত্রের ৯৫% ই দখল করে আছে পোকামাকড়। ভাগ্যিস মানুষের ঘটে কিছু বুদ্ধি ছিল, তাই সর্বেসর্বা হয়ে আছি। নইলে ওরাই আমাদের পোকামাকড় বলতো। সে যাক, ছোটদের পোকামাকড় নিয়ে একটা বই হাতে আসায় ইন্টারেস্ট বাড়লো, কতো যে অদ্ভূত সব পোকামাকড়। কিছু ভিন্ন ধরনের পোকামাকড়ের ছবি শেয়ার করছি প্রথমে। এরপর মূল পয়েন্ট, ভালোবাসাবাসি। হুম, ওটাই আসল পয়েন্ট। কেনো গান শোনেন নি? ভালোবাসা ছাড়া আর আছে কি?
কিছু সুন্দর পোকামাকড়ঃ—-
পোকামাকড় কিভাবে তাদের পছন্দের জনকে বেছে নেয়? তাদের মধ্যে এরেঞ্জড মেরেজের কোন চল নেই। ভাগ্যিস, আমিতো ভাবতেই পারিনা চেনা জানা ছাড়া বিয়ে!! এরেঞ্জড মেরেজ হওয়া কেউ আবার আমার দিকে তেড়ে না আসলেই হয়, জলদি টপিক্স পাল্টাই। তো যা বলছিলাম, তাহলে পোকামাকড় কি করে তাদের পার্টনার বেছে নেয়? তাদের মধ্যেও ঘটক পাখি ভাই, কিংবা ইন্টারনেট ম্যারেজ আবির্ভূত হয়েছে কিনা বলতে পারিনা, সবই সম্ভব। তাদের প্রেমের কিছু কায়দা কানুন দেখি চলুন।
**প্রথম দর্শনেই প্রেম। শুধুমাত্র একবার দেখেই কিছু পুরুষ পোকা আকৃষ্ট হয়ে যায় নারীর প্রতি। তবে নারীকে সে ক্ষেত্রে রুচিবান হতেই হবে। রঙ এবং প্যাটার্ন দেখে তবেই আকৃষ্ট হয়ে এগিয়ে যায় তারা এবং নৃত্য করে। ইভটিজিং এর বুদ্ধি কি ছেলেরা এভাবেই পেয়েছে? আমার তো তাই-ই মনে হয়।
**এই রাত ডাকে ঐ চাঁদ ডাকে আজ তুমি কোথায়??
গান গেয়ে গেয়ে প্রেমিকা কে ডেকে বেড়াচ্ছে প্রেমিক। আর প্রেমিকা ঘর বাড়ি স্বজন ছেড়ে ছুটে আসছে, এমন করে ডাকো যদি আমার ঘরে থাকা দায় 🙂
হুম এমনি করে কিছু পোকামাকড় গান গেয়ে গেয়ে সিগন্যাল পাঠায় তার প্রেমিকা কে। তবে প্রেমিকা পোকার জন্য কিন্তু ব্যাপারটা এতো সহজ নয়। কারন বেশির ভাগ সময় দেখা যায় অনেক প্রেমিক পোকারা একসাথে কোরাস গান গাইতে থাকে। এবং প্রেমিকা ঘুরে ঘুরে তার পছন্দের টিকে বেছে নেয়। রাজার আমলে রাজকুমারির জন্য পাত্র দেখার মতো অনেকটা। নারীর ডিমান্ড সবজায়গায়।
কিছু ঝিঁঝিঁ পোকা আছে উচ্চ স্বরে গান গাইতে শুরু করে, কিন্তু যেইমাত্র কোন মেয়ে পোকা তার ডাকে সারা দিয়ে কাছাকাছি চলে আসে তার কন্ঠস্বর নীচু হয়ে সফট মিউজিকে রূপ নেয়। প্রেমিকা মনে হয় বেজায় দজ্জাল 🙂
তবে যারা গান গাইতে পারেনা, তাদের কি হবে? তারা কি প্রেম করবেনা? কিছু পোকা আছে শক্ত কোনকিছুতে ট্যাপিং সাউন্ড করে ডাক দেয় প্রেমিকাকে। আবার কেউবা আছে তাদের স্ট্রিং গুলো এমনভাবে ভাইব্রেট করে ঠিক গিটার বাজানোর মতো করে।
ভালোবাসাই আসল, তাই গায়ক না হলেও ভয়ের কিছু নাই। তবে গুন তো কিছু থাকতেই হবে। বেগুন প্রেমিক দিয়া ফায়দা কি? 🙂
**প্রেমিকার চুলে শ্যাম্পুর সুগন্ধ কে চুলের গন্ধ বর্ননা করে অনেক কবিতা গান নিশ্চয়ই শুনেছেন। কিংবা পারফিউমের গন্ধটাই প্রেমিকের কাছে যেন নারীর বুকের সুবাস। সে যাই হোক, আমাদের নারী পোকারাও কিন্তু বুদ্ধিসুদ্ধিতে একটুও পিছিয়ে নেই। বাতাসে সুগন্ধ ছড়িয়ে দিয়ে কিছু পোকারা পুরুষ পোকাদের আকর্ষন করে থাকে। তবে এজন্য কিন্তু তাকে অনেক ঝক্কিও পোহাতে হয়। কারন মাঝে মাঝে দেখা একই সময় অনেক পুরুষ পোকা এসে হাজির হয়েছে। পুরুষ পোকাদের এই ভিড়ভাট্টাকে bettle ball বলা হয়। রীতিমত রেসলিং করে সবাইকে পরাজিত করতে হয় বীর প্রেমিক কে। সেই বীরকে বলা হয় তখন হটেস্ট মেল কন্টেসটেন্ট। সিনেমাতে কি এমনি এমনি দেখায় ছেলে একসাথে ১০০ টাকে কুপোকাত করে ফেলছে, আর নারী তা দেখে প্রেমে গদগদ।
**আলো ভেবে যারে আমি জীবনে জড়াতে চাই, সেতো আলো নয় যেন আলেয়া। ব্যাটা তপন চৌধুরী, নারী তো আর জোনাকি পোকা নয় যে তুমি তারে আলো ভেবে নিবা। অন্যের দোষ না দিয়ে নিজের দোষ স্বীকার করো।
জোনাকি পোকা আলো জ্বালে আমরা সবাই জানি। তবে এটাও কিন্তু ভালোবাসাবাসির এক উপায়। আলোর সাথে একটা স্পেসিফিক কোড পাঠিয়ে তারা দৃস্টি আকর্ষন করে অপোজিট সেক্স কে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এখানে নারীই এগ্রেসিভ। নারীরাও পিছিয়ে থাকবেনা, এ তত্ত্ব শুধু আমাদের বেলাতেই নয় দেখা যাচ্ছে।
ছলনাময়ী নারীর মতো ছলনাময়ী নারী পোকাও আছে কিন্তু। (এইটা আবার কি কইলাম, নারী ছলনাময়ী? ইম্পসিবল) কিছু নারী জোনাকি ইচ্ছেকৃত অন্য স্পিসিসের মতো করে আলো জ্বালিয়ে পুরুষ জোনাকিকে আকর্ষন করে এবং কাছে আসামাত্র তাদের খেয়ে ফেলে। আইডিয়াটা পছন্দ হইছে।
**ব্যাকগ্রাউন্ডে পিয়ানো মিউজিক চলছে। হাতে সুদৃশ্য র্যাপিং এ মোড়া উপহার নিয়ে প্রেমিক পৌঁছালো ডিম মোমবাতির আলোয় মাখা ডিনার টেবিলে। প্রেমিকা এলো লম্বা লাল রঙের অপরূপা ড্রেসে। কিছু আদর, সোহাগ, ভালোবাসাবাসি হলো। এরপর র্যাপিং খুলতেই মেজাজ খারাপ প্রেমিকার। এইটা কোন গিফট হইলো? অবশেষে প্রেমিক কে পেটে চালান করেই তার ডিনার সমাপ্ত হলো। অতএব গিফট সিলেকশানে সাবধান হোন। আমাদের মধ্যেও এই নিয়ম চালু থাকলে তো গ্যায়া না কাম সে। ভয়ে তো কোন ছেলে প্রপোজই করতো না।
যাহাই হোক, যে নিয়মেই হোক, ভালোবাসা সুন্দর। সুন্দর এই পৃথিবীর ভারসাম্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। শুধু আমরাই মানতে নারাজ, এখানে সবকিছু সিগনেচারে চলে। জয় হোক পবিত্র ভালোবাসার, বেঁচে থাকার……………
৩৫টি মন্তব্য
ইমন
” যাহাই হোক, যে নিয়মেই হোক, ভালোবাসা সুন্দর। সুন্দর এই পৃথিবীর ভারসাম্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। শুধু আমরাই মানতে নারাজ, এখানে সবকিছু সিগনেচারে চলে। জয় হোক পবিত্র ভালোবাসার, বেঁচে থাকার……………”
বাহ! ভাল বলেছেন। আর আপনার পুড়ো লেখাটা পড়ে ভালো লাগলো। প্রতিটা প্যারার আরম্ভ খুব ভালো হইছে -{@
মিথুন
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ইমন ভাই। -{@
আদিব আদ্নান
ও আপনি মাকড় বিশেষজ্ঞ? ভাল ভাল। ওদের মধ্যেও ভালোবাসা খুঁজে বের করে ফেলেছেন।
গানের লিংক জুড়ে দিলে আরও ভাল হোত। এদিকে রংধনু ভিড়ে ওদিকে কিছু সত্যি সত্য কিছু পেলে মন্দ কী?
পোকাজীবন অমর হোক।
মিথুন
হুম সবকিছুর মধ্যে ভালোবাসা খুঁজে বের করার প্রজেক্ট হাতে নিয়েছি 🙂 আপনার কথাই রইলো। শুনুন এবার গান, এই রাত ডাকে, ঐ চাঁদ ডাকে………
স্বপ্ন নীলা
অসাধারণ, আমি হিংস্র জীবকে ভীষণ ভয় পাই — মনে হয় এই সব হিংস্র জীব না থাকলে বেশি ভাল হতো ——–
মিথুন
হিংস্র যদি কেউ হয়, তাহলে সেটা মানুষ আপু। এরা কোনদিক দিয়েই হিংস্র নয়। ধন্যবাদ আপু………
জিসান শা ইকরাম
আরে এত্ত সুন্দর পোকা মাকর আপনি কই পাইলেন?
কোনটা ফুলের রং,কোনটা পাতা,কোনটায় ড্যান্স করছে,কোনটা মিউজিক কম্পোজারের মত,কোনটা মুখোশ
অদ্ভুত সুন্দর পোকামাকরের কালেকশন।
মানুষ ঝিঝি পোকা না হওয়ায় বেঁচে গিয়েছি
কবে হজম হয়ে যেতাম এতদিনে !!
গুড শেয়ারিং মিথুন।
মিথুন
আরো অনেক অনেক ছবি ছিলো ভাইয়া। সবাই আমারে তাড়াইতো এত ছবি দিলে, তাই কম দিলাম।
আরো ভাবুন, গিফট নিয়ে গেলে মেটিং এর পরে পুরুষ টাকে খেয়ে ফেলে নারী পোকা 😀
জিসান শা ইকরাম
ভয়ানক অবস্থা।
যে সব নারীরা তাদের জামাইকে ভ্যাদা মাছ বানাই ফেলে, আমার মনে হয় সে সব নারীরা এই পোকামাকড়দের জিন বহন করে 🙂
মিথুন
এই পোকামাকড়ের জীন সব নারীদের মধ্যে কেন থাকলো না? 😀
স্বপ্ন
পোকা মাকর নিয়ে এত সুন্দর পোষ্টের আইডিয়া মাথায় এলো কিভাবে আপনার?আর পোকামাকড়ের উপর কিছুটা ভয় কাজ করতো পূর্বে। কিন্তু এত সুন্দর পোকামাকড় এর ফটো দেয়ায় তো ভয় কেটে গেলো। প্রথম পোকার ফটো আর আপনার প্রফাইল এর ফটো তো প্রায় একই।পোকার কোন গুন আছে নাকি আপনার মাঝে? :p
মিথুন
আমার মধ্যে কিসের গুণ আছে তা বুঝতে আপনাকে কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে। 🙂
প্রথম ফটোর পোকা টিকে পৃথিবীর সবচাইতে সুন্দর পোকা ধরা হয়। এইটা হতে পারলেও তো কাজে দিতো।
ভয় যদি কেঁটে গিয়ে থাকে, তাহলে এবার কিছু ডেঞ্জারাজ পোকা নিয়ে লিখবো, তখন দেখবো কোথায় পালান? …. ঈদ মোবারক স্বপ্ন ভাইয়া। আমার উপহার কই ঈদের?
সীমান্ত উন্মাদ
ভালবাসার কথোপকথনের সাথে সাথে পোকামাকড়ের ঘরবসতির চিত্রগুলো বেশ দারুন লেগেছে আমার। চমৎকার একটি পোষ্টে অনেক অনেক ভালোলাগা এবং শুভকামনা নিরন্তর আপনার জন্য।
মিথুন
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া। -{@
ছাইরাছ হেলাল
একজন পোকাওয়ালি পেয়ে পোকা জীবনের অদ্ভুত টানাপোড়ন জানতে পারলাম।
কিছু কিছু ভালোবাসা বেশ ভয়াবহ বলেই মনে হয়। এ ভয়াবহতা হয়ত মানব ভালোবাসায় আঁচড় কেটেছে।
মিথুন
ভালো বলেছেন ভাইয়া। সত্যিই কি ভালোবাসা বলে কিছু আছে নাকি শুধুই প্রকৃতির নিয়ম মেনে চলা? ভয়াবহতা এড়িয়ে যাবার জন্যই মানুষের মস্তিস্কে আইকিউ বলে কিছু ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে, তবে আদতে আমরা অন্যসব সৃষ্টির মতই …
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
ভালবাসা কোথায় নেই তাই দেখালেন।জয় হোক ভালবাসার -{@ -{@ সুন্দর সব ছবি দিয়েে পোষ্ট ভাল লাগল। -{@
মিথুন
দুস্টুমির ছলে বলা এ এক জৈবিক উপায়। ধন্যবাদ ভাই …..
অনিকেত নন্দিনী
যাহাই হোক, যে নিয়মেই হোক, ভালোবাসা সুন্দর। (y)
পোকার ভাব-ভালোবাসা দেখতে দেখতে এলভিস প্রিসলি পোকার প্রেমে পড়ে গেছি। তবে ইনি সামনে এলে ভয়ে লাফালাফি করবো এইটা নিশ্চিত। ;(
মিথুন
প্রেমে পড়ে গেলে তাকে ভয় পেলে চলবে? এ প্রেম তো তাহলে আধুরাই রয়ে যাবে 😀
ব্লগার সজীব
**ব্যাকগ্রাউন্ডে পিয়ানো মিউজিক চলছে। হাতে সুদৃশ্য র্যাপিং এ মোড়া উপহার নিয়ে প্রেমিক পৌঁছালো ডিম মোমবাতির আলোয় মাখা ডিনার টেবিলে। প্রেমিকা এলো লম্বা লাল রঙের অপরূপা ড্রেসে। কিছু আদর, সোহাগ, ভালোবাসাবাসি হলো। এরপর র্যাপিং খুলতেই মেজাজ খারাপ প্রেমিকার। এইটা কোন গিফট হইলো? অবশেষে প্রেমিক কে পেটে চালান করেই তার ডিনার সমাপ্ত হলো।
ভয় পেয়েছি আপু ;(
মিথুন
ভালোবাসতে গেলে ভয় পেলে কি চলে? 😀
শুন্য শুন্যালয়
প্রেমিক কে দিয়েই ডিনার? বেশি ভালোবাসলে যা হয় আর কি 🙂 পোকামাকড় গুলো তো দেখি খুবই সুন্দর। ভালোবাসাবাসির পেছনে তো দেখি অনেক সময় নস্ট করেছেন 🙂
মিথুন
ভালোবাসার পেছনে সব সময় দিতে রাজি আমি 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
ইস জোনাকী হইতে মন চায়। এরপর হাপুস-গাপুস করে 😀
আর এতো সুন্দর লেখা আমি তো (3 দিয়েই ফেললাম এমন মিষ্টি আপুটাকে। সাথে -{@ ভালোবাসার।
মিথুন
ইশ আমিও যদি জোনাকি হতে পারতাম। আপনার হার্ট পেয়ে আমি খুশি হলাম খুব আপু। আমার যাতে দুটা হার্ট না হয়ে যায়, তাই আমার টা আপনাকে দিয়ে দিলাম (3
সিকদার
নামটাই ত মিথুন । তাইত ভালবাসাবাসির ব্যাপারটা চমকপ্রদ ভাবে লেখা যগ্যতাত নামের মাঝেই বোঝা যায় । এক কথায় দারুন !!!!
মিথুন
বেশ বললেন তো ভাইয়া, তাইতো আমার নামটাই যে মিথুন 😀
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ……
মেহেরী তাজ
আপন তো দেখি এবার পোকা বিশারদ হয়ে গেছেন।
এমন পোষ্ট তো আপনার কাছেই থাকে।
ভাল লেগেছে।
এতোদিন ছিলেন কই?
মিথুন
আমিতো তাজ আপুর দুস্টুমি দেখে দেখে শিখছি। আমাকে কেউ কেন দেখেন?
ঈদ মোবারক আপু -{@
স্বপ্ন
আমি কোন গিফট আর দিতে চাইনা তোমাকে।যদি পছন্দ না হয়? 🙁
মিথুন
গিফট না দিলে ভয় নেই বুঝি? তখনও কিন্তু ডিনার সারবো 😀
মিথুন
ভালোবাসতে গেলে নিজের জীবন দিয়েই বাসতে হয় বুঝলেন দুস্টু ভাইয়া?
শিশির কনা
নারীদের মাঝে এমন হালুম গুন থাকলে ভালোই হত।পুরুষদের ডেকে যুদ্ধ দেখতাম,এরপরে বীরপুরুষকে জীবনসঙ্গী, বোরিং হলেই হালুম 🙂
মিথুন
আপনার মধ্যে সন্ত্রাসী ভাব স্পষ্ট 🙂