মালেশিয়ার কুয়ালালুমপুরে বুকিত বিনতাং এ আয়োজন হয়েছিল পিঠা মেলার। আয়োজন ক্ষুদ্র হলেও আনন্দটা ছিল বিশাল। যারাই মেলাতে এসেছে সবাই ছিল হাসি খুশি। আমি যাবনা যাবনা করেও শেষ পর্যন্ত মাঝামাঝি সময়ে গিয়েছি। যেয়ে দেখি এর মধ্যেই পিঠা প্রায় শেষ পর্যায়ে। যাক তবুও খেতে পারলাম।
বুকিত বিন্তাং জাফরান রেস্টুরেন্টে এই মেলার আয়োজন করা হয়। মেলায় মোট ৫টা স্টল বসেছিল। সবই ছিল বাংলাদেশের জনপ্রিয় খাবার। যেমন: ভাপা পিঠা, পাটিসাপ্টা, চিতই, নারিকেল পিঠা, তেলের পিঠা এছাড়াও ছিল চটপটি, ঝালমুড়ি, বোরহানি, দই, মিষ্টি, বেলের শরবত, খেজুরের রসের পায়েশ, পিরনি ইত্যাদি।
আমাদের সামুর ব্লগার জাহিদ এবং শুভ ভাই ঝালমুড়ি, চটপটি ও বোরহানি বিক্রি করেছেন। লাভ কেমন জিজ্ঞেস করতেই জাহিদ ভাই বললেন, পুঁজিও আসেনাই ভাই। শেষ পর্যন্ত অবশ্য সব বেচাকেনার পর কিছুটা লাভের ভাগিদার হয়েছিলেন বেচারিরা। এর মাঝেই ইয়াকুব ভাই, নাবিল ও আরিফ ভাইও এসেছিলেন। নিচে ভিডিওর লিংক দেওয়া হইল। লুলেরা নিজ দায়িত্বে দেখবেন।
ক্রেতারা চলে যাওয়ার পর আমরা বসেছিলাম আড্ডায়। কথা হয়েছিল দেশ নিয়ে, দেশের মানুষকে নিয়ে এবং সামুকে নিয়ে। যখনি দেশের কথা উঠলো মনটা কেন জানি খারাপ হয়ে গেল সবার। কারন দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আমরা সবাই চিন্তিত। যদিও বিদেশ বিভূঁইয়ে থাকি। আলোচনা হলো মালেশিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস নিয়ে। কি বলব খুব নোংরা অবস্থা এখানকার শুধুমাত্র বাংলাদেশ দূতাবাসের। পতাকার উপরে ময়লা জমেছে, স্মৃতিশৌধে ময়লা জমেছে, অফিসের নেই কোন যত্ন। যে শ্রমিকদের পাঠানো রেমিটেন্সের উপর দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার প্রশংসনীয়। সেই শ্রমিকদের অবমাননা, অবজ্ঞা আর অবহেলা সত্যিই কষ্টের। জানিনা এ ব্যাপারে সরকার কতটুকু কি করবেন।
বিজয় দিবসে কোন আয়োজন থাকেনা। জাতীয় দিবসগুলোতে তেমন কোন কার্যক্রমই রাখ হয়না। দুতাবাসের কর্মকর্তারা মনে হয় এখানে দেশ ভ্রমণে এসেছেন। খুবই পূর্তিতে আছেন ওনারা। প্রবাসী কর্মীদের দ্বারা ওনাদের পেট চলে এ কথাটা ওনারা মনে হয় জানেনই না। কর্মীদের সমস্যা নিয়ে গেলে শোনার কেউই থাকেননা।
যাক অনেক বকবকানি হলো, এবারে আসি আমাদের পরবর্তী কার্যক্রম নিয়ে। আমরা সামুর ব্লগাররা ঘুরতে যেতে চাই দূরে কোথাও সমুদ্র সৈকতে। ঠিক হয়ে গেল পোর্ট ডিক্সন। কেম্পিং করা হবে। রাতে সৈকতে করা হবে বিবিকিউ। যারা যারা যেতে আগ্রহী কমেন্টে জানাতে পারেন। আমরা যাচ্ছি ১০ই ফেব্রুয়ারি ফিরবো ১১ তারিখ বিকেল বেলা। আমাদের ইভেন্ট দেখতে পারেন ফেসবুকে এখানে ।
ছবি দেখতে ফেসবুকে যাইতে পারেন। এখানে ক্লিকান।
ভিডিওর লিংক এখানে
লেখাটি কপি পেস্ট সামুতে আমার লেখা থেকে।
৭টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
প্রবাসে এমন অনুষ্ঠান প্রচুর আনন্দ নিয়ে আসে , এটা বুঝি ।
দুতাবাসের কর্মকর্তাদের গদাম দিতে পারলে , পুন্যের কাজ হইত ।
ভালো থেকো প্রবাসে।
অচেনা
শুনতেছি অফিস সরিয়ে পুতরাজায়া নিয়ে যাবে। দেখা যাক ওখানে হয়তো এত অনিয়ম হবেনা।
শুভকামনা। ভালো থাকবেন।
যাযাবর
পিঠা ভালো পাই । যাযাবর মানুষ , কোনদিন আপনার মালয়েশিয়া চলে আসি ঠিক নাই। ঠিকানা দিয়েন ভাই।
অচেনা
ঠিকানা ফেসবুকে দেওয়াই আছে। চলে আসেন একদিন।
শিশির কনা
বিদেশেও পিঠা উৎসব ?? মজাই মজা 🙂
শাদমান সাকিব
পিঠা খেতে মন চায় ।
আপনাদের ভ্রমণ আনন্দময় হোক এ কামনা করছি ।
প্রজন্ম ৭১
বিদেশে পিঠা উৎসব !! দারুন তো ।