পাকিস্তানে ২১শে ফেব্রুয়ারিঃ

তৌহিদুল ইসলাম ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, শনিবার, ০৬:৪০:৫৩অপরাহ্ন সমসাময়িক ২৩ মন্তব্য

অমর ২১শে ফেব্রুয়ারি, বাঙালি ইতিহাসের এক গৌরবময় দিন। যেদিন ভাষার জন্য বাঙালির এই আত্মদানের দিনটিকে ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো ঘোষণা দিয়েছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে। বাঙালির সঙ্গে গোটা বিশ্ববাসী এ দিনটিকে পালন করবে মাতৃভাষার প্রতি গভীর ভালোবাসা বুকে নিয়ে।

নেট ঘেটে দেখলাম এর ব্যতিক্রম ঘটে না পাকিস্তানেও। প্রতিবছর দেশটিতে কাগজে কলমে ভালোভাবেই ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করা হয়। করাচি, ইসলামাবাদ ও লাহোরের মত শহরেও দিবসটি ঘটা করেই পালন করা হয়।

এদিন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভাষা বিষয়ক সেমিনার হয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও আয়োজন করা হয় বিশেষ আলোচনার। থাকে প্রভাতফেরির আয়োজন। তবে ২১শে ফেব্রুয়ারিকে কেন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করা হয়, সে বিষয়ে সঠিক ইতিহাস জানে না পাকিস্তানের নতুন প্রজন্ম।

তারা জানেওনা আজ থেকে ৬৬ বছর আগে এ দিন ঢাকার রাজপথ হয়ে উঠেছিল উত্তাল। পাকিস্তানি শাসকদের হুমকি-ধমকি, রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ১৪৪ ধারা ভেঙ্গে ভাষার দাবিতে রাজপথে নামে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ছাত্র-শিক্ষক, শিশু-কিশোরসহ নানা বয়সী অসংখ্য মানুষ। বসন্তের আকাশ-বাতাস প্রকম্পিত করে হাজারো কণ্ঠে আওয়াজ ওঠে, ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’। এ সময় আকস্মিক জনতার মিছিলে গর্জে ওঠে পুলিশের গুলি। সালাম, বরকত, রফিক, শফিক, জব্বারসহ বাংলা মায়ের অকুতোভয় সন্তানদের তাজা রক্তে রঞ্জিত হলো মাটি। মানব ইতিহাসে সংযোজিত হলো এক অভূতপূর্ব অধ্যায়। সে অমর একুশের পথ ধরেই উন্মেষ ঘটে বাঙালির স্বাধিকার চেতনার।

কিন্তু সে ব্যাপারে পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের এবং স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের কখনওই স্বচ্ছ ধারণা দেয়া হয়না। কেবল ১৯৫২ সালে উর্দুর মাধ্যমে বাংলা ভাষাকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা এবং একটি ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে কিছু ধারনা রয়েছে তাদের। দেশটির পাঠ্যক্রমেও এ বিষয়ক পূর্ণ ইতিহাসের অনুপস্থিতি রয়েছে।

বহু জাতিগোষ্ঠীর দেশ পাকিস্তানে ৬৫ থেকে ৭২টির মতো বিভিন্ন ভাষার চর্চা রয়েছে। তবে এই সবগুলো ভাষার সঠিক চর্চা এবং সব গোষ্ঠীর মাতৃভাষায় লেখাপড়ার সুযোগ নেই।

(সুত্র: নেট থেকে)

0 Shares

২৩টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ