পরীমনি আর তার বাচ্চারে যে নারীরা গালি দিচ্ছে তারা দিচ্ছে হিংসা আর দ্বেষ থেকে। একে পরী মেয়েটা পরীর মতো রূপবতী, রূপবতী মেয়েরে কিছু মেয়ে হিংসা করে। এরপর সবচে বড় অন্যায় পরী তাদের কাছে যেটা করেছে তা হলো মেয়েটা খুব সাহসী, সমাজ কি বলেবে পাত্তা না দিয়ে নিজের মতো থাকে, নিজের শর্তে বাঁচে এবং সেইটা এই আপারা পারে না বলেই তাদের জ্বলে, জ্বলে বলেই একটা শিশুরে নিয়েও তারা নোংরা কথা বলেন।

আর বেটারা গালি দিতেছে কারণ মেয়েদের গালি দেওয়া উনাদের কাজ, মেয়েদের একটু খা..কি, মা.., বে..শ্যা না বলতে পারলে তাদের ভাল লাগে না। এমনিতেতো পরীর আশেপাশেও তারা যেতে পারতো না, এখন জুকারমামু দিছে এক ফেসবুক, এই সুযোগে ইনারা নিজের জাত চিনায়ে দিচ্ছে। আর এই মেয়েতো আরও অপরাধী তাদের কাছে। মেয়ে একটুও মাথা নোয়ায় না, মিনমিন করে না অন্য অনেক নায়িকার মতো। যা করে সব ‘ঢঙ্কে কি চোট পে’ সামনে আনার ক্ষমতা রাখে। পুরুষতন্ত্রিক সমাজরে একেবারে মিডল ফিংগার দেখায়ে দেয়। এমনিতেই যে মেয়ে নিজের জন্য নিজে চিৎকার করে তারা সবাই এই শ্রেণীর পুরুষের কাছে খা.. কি, পরীর উপরে তাদের রাগ হবে না?

 

সবচে বেশি এই দুই শ্রেণী জ্বলছে যে কারণে তারা ভাবছিলো বেচারী মেয়েটা জেলে গেলো, সারা দেশের লাখ লাখ মানুষ তারে বে.শ্যা বলে গালি দেয় এরপর না জানি কি করুণ হবে তার জীবন। ওমা এরপর তারা দেখলো রাজ নামের রাজকুমার তার জীবনে এলো, সবার সামনে ভালবাসার কথাও বলল, বিয়ে করলো, আপাতত তাদের দেখে খুব সুখী দম্পতিও লাগে, খুব প্রেম। এদিকে রাজও ফালতু কেউ নয়, অভিনেতা হিসেবে নিজের জায়গা ছিনিয়ে নিয়েছেন, বুঝায়ে দিছেন যে উনি থাকতে এসেছেন। আয় হায় এইটা কিভাবে সম্ভব, তাদের মাথায় আসেনা! ইনারা এতো লাইফলেস জীবন কাটায়, জীবনে হয়তো ভালবাসার ভ ও নাই।  আর পরী এতো ভাল আছে, জ্বলবেই তো তাদের। জায়গামতো মরিচগুড়া লেগেছে একেবারে। তাই গালি বের হচ্ছে। শোনেন আপনারা হিংসুটে, ফাত্রা, ফালতু আর লাইফলেস মানুষ।

পরী, পরীর রাজ আর পরীর রাজ্যের জন্য ভালবাসা।

 

 

পুস্পিতা আনন্দিতা,

নিউইয়র্ক, আমেরিকা।

0 Shares

৪টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ