টাঙ্গুয়ার হাওর বা টাঙ্গুয়া হাওর, বাংলাদেশের বৃহত্তর সিলেটের সুনামগঞ্জ জেলায় অবস্থিত একটি হাওর। প্রায় ১০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এ হাওর বাংলাদেশর দ্বিতীয় বৃহত্তম মিঠা পানির জলাভূমি। স্থানীয় লোকজনের কাছে হাওরটি নয়কুড়ি কান্দার ছয়কুড়ি বিল নামেও পরিচিত। এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় রামসার স্থান, প্রথমটি সুন্দরবন।

শীত মৌসুমে পানি শুকিয়ে কমে গেলে এখানকার প্রায় ২৪টি বিলের পাড় (স্থানীয় ভাষায় কান্দা) জেগে উঠলে শুধু কান্দার ভিতরের অংশেই আদি বিল থাকে, আর শুকিয়ে যাওয়া অংশে স্থানীয় কৃষকেরা রবিশস্য ও বোরো ধানের আবাদ করেন। এসময় এলাকাটি গোচারণভূমি হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। বর্ষায় থৈ থৈ পানিতে নিমগ্ন হাওরের জেগে থাকা উঁচু কান্দাগুলোতে আশ্রয় নেয় পরিযায়ী পাখিরা। রোদ পোহায়, জিরিয়ে নেয়। কান্দাগুলো এখন (২০১২) আর দেখা যায় না বলে স্থানীয় এনজিও ও সরকারি ব্যবস্থাপনায় সেখানে পুঁতে দেয়া হয়েছে বাঁশ বা কাঠের ছোট ছোট বিশ্রাম-দণ্ড।

টাঙ্গুয়ার হাওরের জীববৈচিত্র্যের মধ্যে অন্যতম হলো বিভিন্ন জাতের পাখি। স্থানীয় বাংলাদেশী জাতের পাখি ছাড়াও শীতকালে, সুদূর সাইবেরিয়া থেকে আগত পরিযায়ী পাখিরও আবাস এই হাওর। এ হাওরে প্রায় ৫১ প্রজাতির পাখি বিচরণ করে। পরিযায়ী পাখিদের মধ্যে বিরল প্রজাতির প্যালাসেস ঈগল, বড় আকারের গ্রে কিংস্টর্ক রয়েছে এই হাওড়ে। স্থানীয় জাতের মধ্যে শকুন, পানকৌড়ি, বেগুনি কালেম, ডাহুক, বালিহাঁস, গাঙচিল, বক, সারস, কাক, শঙ্খ চিল, পাতি কুট (এই হাওরের ২৮-২৯%) ইত্যাদি পাখির নিয়মিত বিচরণ এই হাওরে। এছাড়া আছে বিপন্ন প্রজাতির পরিযায়ী পাখি কুড়ুল (বাংলাদেশে এর নমুনাসংখ্যা ১০০টির মতো)। ২০১১'র পাখিশুমারীতে এই হাওরে চটাইন্নার বিল ও তার খাল, রোয়া বিল, লেচুয়ামারা বিল, রুপাবই বিল, হাতির গাতা বিল, বেরবেরিয়া বিল, বাইল্লার ডুবি, তেকুন্না ও আন্না বিলে প্রায় ৪৭ প্রজাতির জলচর পাখি বা ওয়াটারফাউলের মোট ২৮,৮৭৬টি পাখি গণনা করা হয়। এই শুমারিতে অন্যান্য পাখির পাশাপাশি নজরে আসে কুট, মরিচা ভুতিহাঁস, পিয়ংহাস; সাধারণ ভুতিহাঁস, পান্তামুখী বা শোভেলার, লালচে মাথা ভুতিহাঁস, লালশির, নীলশির, পাতিহাঁস, লেনজা, ডুবুরি, পানকৌড়ি ইত্যাদি পাখিও।
তথ্য সূত্রঃ ইউকিপিডিয়া


(২) শ্রীপুর বাজার/ডাম্পের বাজার থেকে ট্রলার যোগে টাঙ্গুয়ার হাওড় যাওয়ার সময় দেখা যাবে নদীর দুইপাশে অনেক মানুষ মাছ ধরছে বা গরু চড়াচ্ছে।


(৩) হাওড়ে ঢোকার আগে নদীর দুই ধারে করচের এমন চমৎকার সাড়ি দেখে মনটা খুশিতে ভরে উঠবে।


(৪/৫) হাওড়ে ঢোকার পরই দেখা যাবে এমন চমৎকার দৃশ্য, অবশ্য পাখিরা ইঞ্জিন নৌকার শব্দে দূরে চলে যেতে থাকে।


(৬) হাওড়ের পানি এতো স্বচ্ছ যে, নিচের শ্যাওলাে ভেতর মাছের ছুটোছুটি দেখা যায় স্পষ্ট।


(৭) যেকানে শ্যাওলা নাই ওখানকার মাটিতে গিয়ে সূর্য্য কিরণ গিয়ে খেলায় মাতে।


(৮/৯) পাশের ঝোপঝাড়ের ভেতর থেকে পাখিরা ঢেকে চলছে অবিরত, যেনএ এক স্বর্গীয় জগৎ।


(১০/১১) কোথাও পাখিরা অলস বসে আছে, আবার কোথাও কিচির মিচির করে উড়াউড়ি করছে, এ যেন পুরোপুরি একটা পাখির জগৎ।


(১২) নলখাগড়ার বনে বসে উঁকিঝুকি মারছে দুটো কালিম পাখি।


(১৩) এখানে পানকৌড়ি ব্যতীত অন্য কারো প্রবেশ নিষেধ।


(১৪) ধুপনি বকদের গোপন মিটিং চলছিল অন্যত্র।


(১৫) ট্রলারে পাখিদের কাছে যাওয়ার সুযোগ ছিলোনা বলে বৈঠা ওয়ালা নৌকা নিয়ে এগোলাম পাখিদের অরণ্যের দিকে। এবং কোন সময় মনে হচ্ছিল নিজেও পাখিদের সাথে উড়াল দেই।


(১৬) মাছের রাজ্যে মাছরাঙা থাকবেনা এটা কিভাবে হয়?


(১৭) একদল কালিম পাখি মাথা উচিয়ে আমাদের দেখে নিচ্ছিল।


(১৮) বিলের মাঝখানে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী, মেজিষ্ট্রেট ওনাদের জন্য অস্থায়ী আবাস।


(১৯) জেলেদের ধরা মাছ, সাজিয়ে নিচ্ছে তারা।


(২০) এই ছবিটা টাঙ্গুয়ার হাওড়ের বর্যাকালীন ছবি। এই হাওড় শীতে কিংবা বর্যায় সমান সুন্দর।

0 Shares

২৪টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ