
মধ্য অক্টোবর থেকে আমাদের দেশে পরিযায়ী পাখির আগমন শুরু হয় । প্রতি বছর দেশে শীত আসে আর শীতের সঙ্গে আসে অসংখ্য পরিযায়ী পাখি। দূর দেশ থেকে আসে একটু আশ্রয় ও খাদ্যের আশায়।
সেসব দেশ থেকে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি আমাদের দেশে চলে আসে। কোনো কোনো পাখির হাজার হাজার মাইল পথ পাড়ি দিতে হয়। দিনের পর দিন, মাসের পর মাস উড়তে হয়।
কখনও কখনও এমন দূর দেশ থেকে ওরা আসে যে সেখান থেকে উড়ে আসতে আসতে পথে প্রায় তিন মাস সময় লেগে যায়। আবার কিছু দিন আমাদের দেশে থেকে আবার ফিরে যায়। ফিরে যেতেও আবার তিন মাস উড়তে হয়। তার মানে কোনো কোনো পাখির বছরে ছয় মাস শুধু উড়তে উড়তেই কেটে যায়।
পৃথিবীতে প্রায় ১০ হাজার প্রজাতির পাখি আছে। গবেষকরা এদের মধ্যে ১ হাজার ৮৫৫টি প্রজাতির পাখিকে পরিযায়ী পাখি হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তার মানে মোট পাখির মধ্যে প্রায় ১৯ শতাংশ পাখি পরিযায়ী।
প্রতি বছরই দু’বার ওরা আমাদের দেশে আসে। এক তথ্যমতে, বাংলাদেশে মোট ৩১৬ প্রজাতির পরিযায়ী পাখি প্রতি বছর আসে যার মধ্যে ২৯০ প্রজাতির পাখি আসে শীতে। অক্টোবরের শেষ বা নভেম্বর থেকে ওদের আসা শুরু হয় আর চলে যায় মার্চে।
অর্থাৎ শীতে আসে বসন্তে বিদায়। এসব পরিযায়ী পাখির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- হাঁস, রাজহাঁস, কালেম, ডাহুক, ছোট সরালি, খঞ্জনা, চটক, মাঠ চড়াই, কসাই পাখি, গাঙচিল, নীলশির, লালশির, কালো হাঁস, লেঞ্জা হাঁস, ক্ষুদে গাঙচিল, কুন্তিহাঁস, জিরিয়া, চখাচখি পাখি, বালিহাঁস, বড় সরালি, কালিবক, জলময়ূর, ডুবুরি, কোপাডুবুরি, ছোট পানকৌড়ি, বড় পানকৌড়ি, কালো কুট, কাদা খোঁচা বা চ্যাগা, জালের কাদাখোঁচা, ছোট জিরিয়া, বাটান, গঙ্গা কবুতর, রাজ সরালি, পিন্টেল, পাতি সরালি, সাদা বক, দলপিপি, পানমুরগি, কাস্তেচড়া, বেগুনি কালেম, পানকৌড়ি, ঈগল, পিয়াং হাঁস, ভূতিহাঁস, ধুল জিরিয়া ইত্যাদি।
পরিযায়ী পাখিগুলো প্রধানত আসে আমাদের উত্তরের দেশ থেকে। বিশেষ করে হিমালয়, নেপাল, সাইবেরিয়া, মঙ্গোলিয়া, চীনের জিনজিয়ান, ইউরোপ ইত্যাদি অঞ্চল যখন শীতের দাপটে বরফে ঢেকে যায় তখন সেখান থেকে পাখিগুলো উড়াল দেয়।
ওরা জানে যে কখন ওদের কোন দেশে আশ্রয় নিতে হবে। এজন্য আসার আগে ওরা পাখার নিচে বেশি চর্বি জমা করে রাখে।
মাইলের পর মাইল ওরা উড়ে চলে সেই সঞ্চিত চর্বির শক্তিতে। ওদের পরিযায়ন স্বভাবটাও বেশ অদ্ভুত। সাধারণত ওরা দলবেঁধে চলে। যেখানে ওরা একবার আসে, সাধারণত সেসব জায়গাতেই পরের বছরগুলোতেও আসার চেষ্টা করে।
তবে সবসময় একই পাখি হয়তো আসে না। তবে দলকে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য অবশ্যই পূর্ব অভিজ্ঞ পাখি থাকে যারা ওড়ার সময় ঝাঁকের সামনে থাকে ও পথের নির্দেশ দেয়।
ওদের দেহে অসাধারণ এক সংবেদ ও সাড়া প্রদান কৌশল আছে যা দিয়ে ওরা শত শত এমনকি হাজার হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে ঠিকই আগের জায়গায় ফিরে আসতে পারে। যাত্রাপথের আকাশ, নক্ষত্র, পাহাড়, নদনদী, জলভূমি, অরণ্য ইত্যাদি ওরা চিনে রাখে এবং এসবের সাহায্যে ঠিকই গন্তব্যে পৌঁছে যায়। দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয়া পাখিগুলো একটু উষ্ণতা, খাদ্য আর আশ্রয়ের আশায় আমাদের দেশের বিভিন্ন বনজঙ্গল, হাওর, বাঁওড়, খাল, নদী, চর, বিল, জলাশয়ে এসে জড়ো হয়।
ওদের রং-বেরঙের সৌন্দর্যে শীতের দিনে রঙিন হয়ে ওঠে আমাদের জলাশয়গুলো। সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওর, মৌলভীবাজারের হাকালুকি হাওর, বাইক্কার বিল, বরিশালের দুর্গাসাগর, ভোলার চরগুলো, পাবনার চলনবিল, সুন্দরবনের নদনদী ও খাল, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের লেক ইত্যাদি স্থানগুলো যেন পর্যটনে আনে নতুন মাত্রা। এ দেশের পাখিপ্রেমীরা মেতে ওঠে পাখিশুমারি আর নতুন পাখি খোঁজার আনন্দে।
ভাবতে অবাক লাগে, এ সময় পরিযায়ী পাখির ওপর লোভাতুর দৃষ্টি পড়ে কিছু দুষ্টু মানুষের। পাখি শিকারির দল মেতে ওঠে পরিযায়ী পাখি শিকারে। দেশে আইন থাকলেও তারা তা উপেক্ষা করে শিকার চলে।
শিকার করা পাখিগুলো সচরাচর হাটবাজারে দেখা যায়। আমারা অনেকেই সেসব পাখি কিনে মেতে উঠি পাখিভোজে। কী নৃশংসতা, কী অমানবিক! যে পাখিগুলো আমাদের কাছে এলো একটু আশ্রয় ও উষ্ণতার আশায়, তাদের আমরা নিরাশ্রয় আর শীতলতা দিলাম। নিরীহ পাখিগুলোকে হত্যা করলাম! পাখির ছানাগুলোকে এতিম করে দিলাম!
জলবায়ু পরিবর্তনের বিড়ম্বনায় আতঙ্কিত ভুক্তভোগী দেশগুলো। তাপমাত্রা পরিবর্তন হচ্ছে, বদলে যাচ্ছে ঋতুবৈচিত্র্য। ঠিক সময়ে ফুল ফুটছে না। পাখির প্রজননক্রিয়া বিঘ্ন হচ্ছে।
আগে যেসব দেশে যতটা শীত থাকত, এখন সেখানে কিছুটা উষ্ণ হয়ে ওঠায় অনেক পারিযায়ী পাখির পরিযায়নকালীন আবাসস্থল পরিবর্তন করতে হচ্ছে। আমাদের দেশেও জলাশয়ের পরিধি সংকুচিত হচ্ছে।
জলাশয়ে থাকা মাছ-শামুক ইত্যাদি কমে যাচ্ছে। ফলে যে নিশ্চিত খাদ্য ও আশ্রয়ের আশায় পরিযায়ী পাখিগুলো আমাদের দেশে আসত, ওরা এসে আর সেভাবে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে না। জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতের সঙ্গে আমাদের আঘাত পরিযায়ী পাখিগুলোকে বিপদগ্রস্ত করে তুলছে।
পাখিকে বলা হয় প্রকৃতির অলঙ্কার। পাখি পোকামাকড় খেয়ে ফসল রক্ষা করে। পাখির বিষ্ঠা থেকে ফসলি জমির উর্বরতা বৃদ্ধি পায়। মোটকথা পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে পাখির রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
আসুন, আমরা সবাই পাখির বন্ধু হই। পরিযায়ী পাখির আগমনকে স্বাগত জানাই, দেখভাল করি। যেন আগামী শীতে ওরা আবার ফিরে আসতে পারে আমাদের দেশে।
Thumbnails managed by ThumbPress
২৩টি মন্তব্য
সঞ্জয় মালাকার
চমৎকার দাদা, পাখিদের নিয়ে লিখা পড়ে বেশ ভালো লাগলো, অনেক কিছু জানলাম পাখিদের বিষয়,
সত্যি দাদা , আমরা সবাই পাখির বন্ধু হই। পরিযায়ী পাখির আগমনকে স্বাগত জানাই, দেখভাল করি। যেন আগামী শীতে ওরা আবার ফিরে আসতে পারে আমাদের দেশে।
শামীম চৌধুরী
আসলে পরিযায়ী পাখিগুলি সারা বিশ্বে খুবই হুমকির মুখে থাকে। ৩৬৫ দিনে ওরা ১৮০ দিন শুধু উড়ার মধ্যেই থাকে। বাকি থাকে ১৮০দিন। এই দিনগুলির মধ্যে ওরা নিজ নিজ দেশে প্রজনন করে ও বাসা বানায়। সেখানে সময় যায় প্রায়ই ৪৫ দিন। তারপর ডিম পেড়ে ডিমে তা দিয়ে বাচ্চা ফুঁটিয়ে লালন পালনে যায় আরো ১২০দিন। অনেক সময় এই বাচ্চাগুলি নিয়ে ওরা বিভিন্ন দেশে পরিযায়ী হয় শুধু মাত্র খাবারের জন্য। আমরা যদি মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে ওদের জন্য এই তিন চার মাস অভয়ারন্য গড়ে তুলে দিতে না পারি তবে দেখা যাবে একদিন প্রকৃতির অলংকারগুলি খসে পড়ে বিপন্ন হয়ে গেছে। ধন্যবাদ দাদাভাই লেখাটি পড়ার জন্য।
ছাইরাছ হেলাল
আপনার এমন মায়াময় আবেদন হয়ত সবার কাছে পৌছুবে না।
তবুও এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে তাই-ই ভাবি।
আমরা একটু মানবিক ভাবনা ভাবলে এই পরিযায়ীরা বেঁচে থেকে আমাদের-ই উপকার করতে পারে।
শামীম চৌধুরী
সবার কাছে পৌছবে না সত্যিই হেলাল ভাই। তবে যদি কিছু মানুষ জানতে পারে আর উনারা যদি প্রকৃতির এই প্রাণীগুলির প্রতি সদয় হয়ে কানাঘুষা করে তবে দেখা যাবে সবার কাছে একজনের মাধ্যমে অন্যরা জেনে গেছে। মুল কথা হলো আগ্রহ ও ভালোবাসা থাকতে হবে প্রকৃতির প্রানীদের জন্য। ধন্যবাদ আপনাকে সব সময় সাথে থাকর জন্য।
জিসান শা ইকরাম
অনেক কিছু জানলাম শামীম ভাই,
তিনমাস উড়ে এসে পাখি গুলো আমাদের কাছে আশ্রয় চায়,
আর আমরা তাঁদের মেরে ফেলে ভক্ষণ করি।
এমন পোষ্ট ভালো না লেগে উপায় নেই।
শুভ কামনা ভাই।
শামীম চৌধুরী
অসংখ্য ধন্যবাদ জিসান ভাই। আপনি সবসময় আমাদে উৎসাহ দেবার জন্য আমি আরো প্রান পাই প্রকৃতি ও প্রকৃতির বন্যপ্রাণী নিয়ে লেখার জন্য। ভালো থাকবেন।
তৌহিদ
ভাবা যায় একটানা ছয়মাস ধরে উড়ছে!! কত কষ্ট করে এরা আমাদের দেশে আসে আর আমাদের অনেকেই তাদের হত্যা করি। অথচ এরাই সৌন্দর্যের অন্যতম ধারক।
লেখায় আজ অনেক কিছু জানলাম। নিজের জ্ঞান সমৃদ্ধ হলো। ধন্যবাদ আপনার প্রাপ্য ভাইজান।
শামীম চৌধুরী
কৃতার্থ ভাইজান।
নিতাই বাবু
আপনার লেখা পড়ে পাখি বিষয়ে অনেককিছু জানতে পারি। এই পোস্ট থেকে পরিযায়ী পাখি সম্বন্ধে জানা হলো। কিন্তু ভাবতে অবাক লাগে তখন, যখন কিছু অসাধু পাখি শিকারী জেনে-না-জেনে অতিথি পাখিগুলো শিকারে মেতে ওঠে। দেশে আইন থাকলেও ওঁরা তা উপেক্ষা করে শিকার করে চলছেই। দুঃখ শুধু এখানেই। ধন্যবাদ পরিযায়ী পাখি নিয়ে বিস্তারিত জানানোর জন্য।
শামীম চৌধুরী
আপনাকেও ধন্যবাদ দাদা ভাই লেখাটি পরার জন্য।
ইঞ্জা
সময় উপযোগী লেখাটি দেওয়াতে ধন্যবাদ জানাই আপনাকে, দুঃখ লাগে যখন পরিযায়ী পাখি গুলোকে রাস্তার পাশেই পুলিশের সামনে বিক্রি করা হয়, আবার সিলেটের বেশ কিছু নামকরা রেস্টুরেন্টে ঢাকঢোল পিটিয়ে এইসব পাখির মাংস খাওয়ানো হয়।
আমাদের সকলের এই ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজন আছে বলেই মনে করি।
ধন্যবাদ ভাই, এই পোস্ট মানুষকে সজাগ হতে সাহায্য করবে।
আকবর হোসেন রবিন
মাই গড! এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ লিখা। অনেক কিছু জানতে পারলাম। ভালোবাসা রইল আপনার জন্য।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
বরাবর ঠিক সময়ে অতিতি পাখি নিয়ে পোস্টটি দিলেন। চলতি মাস বা আগামী মাস থেকে আমাদের দেশে আসতে শুরু করবে অতিতি পাখি।
খুব কাছ থেকে দেখবো অতিতি পাখি এটা আমার অনেক দিনের শখ। আল্লাহ চাইলে এ বছর এই শখ মিটিয়ে ফেলবো।
শারমিন আক্তার
অনেক সুন্দর এবং শিক্ষনীয় একটি লেখা পড়তে পেরে খুব ভালো লাগছে। আসা করি ভবিষ্যতে আপনার লেখার মাধ্যমে আরো অনেক অজানা কে জানতে পারবো। তবে যদি কিছু মনে না করেন তাহলে আপনাকে ও একটি বিষয় জানাতে চাই, আর সেটা হলো, সোনেলার এডমিন সাবিনা ইয়াসমিনের কিন্তু পাখির সাথে মিতালীতে কোন জুরী নেই, সুধু পাখিই নয়, অনেক প্রকার প্রানির ই আগমন ঘটে উনার বাসায়।
শামীম চৌধুরী
বলেন কি আপু? তবে তো সাবিনা আপুর বাসায় আমায় পড়ে থাকতে হবে। শুধুমাত্র বন্যপ্রাণীর জন্য।
শারমিন আক্তার
জি, অবস্যই আসবেন, আপনার সুন্দর লেখার জন্য আবার ও ধন্যবাদ ভাই। ভালো থাকবেন সবসময়।
মনির হোসেন মমি
বরাবরের মত চমৎকৃত বর্ননা।শীতে অনেক পরিযায়ী পাখি আমাদের দেশে আসে দেশীও প্রকৃতিতে সোন্দর্য্য বৃদ্ধি করে।
পৃথিবীতে প্রায় ১০ হাজার প্রজাতির পাখি আছে। গবেষকরা এদের মধ্যে ১ হাজার ৮৫৫টি প্রজাতির পাখিকে পরিযায়ী পাখি হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তার মানে মোট পাখির মধ্যে প্রায় ১৯ শতাংশ পাখি পরিযায়ী।
চমৎকার তথ্য ধন্য হলাম।
আরজু মুক্তা
পাখি অতিথি হলেও পরিবেশের প্রাণ।
শামীম চৌধুরী
পাখি পরিবেশ বা প্রকৃতির অলংকার।
সাবিনা ইয়াসমিন
ছোটবেলায় হেমন্তের মাঝামাঝি সময়ে সন্ধ্যা হলেই আমরা আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতাম পাখির ঝাঁক দেখার জন্যে। কখনো পড়ার টেবিলে থাকতাম, আবার কখনো বাসার ছোট্ট উঠোনে বসে পড়তাম। কিন্তু পাখির ঝাঁক অনেক দূর থাকা অবস্থাতেই বুঝতে পারতাম। মুগ্ধ দৃষ্টিতে দেখতাম বড় বড় দলে কিচিরমিচির শব্দে পাখির ঝাঁক গুলো একটার পর একটা উড়ে চলেছে। তখন বাবাকে জিজ্ঞেস করতাম, এই গুলো কি পাখি? এরা সন্ধ্যা হলেই কেন আসে? কোথায় যায়? বাবা বলতেন এরা অতিথি পাখি। শীত এলেই আমাদের দেশে বেড়াতে আসে। এরা আমাদের মেহমান! আমি অবাক হয়ে ভাবতাম, পাখিরাও মেহমান হয়!!
এখন জানি এরা কেন আসে। খারাপ লাগে, যখন দেখি সেই আগের মতো দলে দলে এরা এখন আর আসেনা। মানুষের লোভ আর নিষ্টুরতার কারনে কমে যাচ্ছে তাদের অভয়ারণ্য।
প্রথম ছবির পাখিটি অত্যন্ত রঙ্গীন। খুব সুন্দর। আপনার প্রচন্ডতম ব্যস্ততার সময়েও আমাদের জন্যে লিখছেন, জানাচ্ছেন নিজের জানা বিষয়গুলো, এর জন্যে আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ শামীম ভাই। ভালো থাকুন।
শুভ কামনা 🌹🌹
শামীম চৌধুরী
আপু প্রথম পাখিটি পরিযায়ী। প্বার্শবর্তী দেশ ভারত থেকে আমাদের দেশে ফেব্রুয়ারীতে আসে। মার্চ মাস জুড়ে থাকে। হিমালয়ের প্রচন্ড শীতে পাখিগুলো খাবার সংকটে পড়ে। তাই বাংলাদেশে সবুজবন্ চলে আসে। এরা শুধু ফুলের রস বা মধু খেয়ে বেঁচে থাকে।
এই পাখির মৌটুসী প্রজাতির। এর নাম হলো Mrs goulder. গোল্ডারের বউ।
শামীম চৌধুরী
লেখাটি পড়ার জন্য ও সুন্দর সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে উপদেশ ও উৎসাহ দেবার জন্য সবার কাছে কৃতজ্ঞ। সবাই ভালো থাকুন সোনেলার সাথে থাকুন।
সাখিয়ারা আক্তার তন্নী
আসুন, আমরা সবাই পাখির বন্ধু হই।
ভালো লাগলো।