বাদাম শেষ মেয়েটি নিরুদ্দেশ। পার্কে অন্তরঙ্গ আলাপচারিতায় মগ্ন যুগল কুট কুট করে বাদামের খোসা ভেঙ্গে বাদাম খাচ্ছিল।বাদাম শেষ হবার পরে দেখা গেলো মেয়েটি আর নেই। এখানে পরিত্যক্ত শুধু বাদামের খোসা নয়, প্রেমিক ছেলেটিও।
জীবনের প্রয়োজনেই সবাই কম বেশী পরিত্যগ করি পুরাতন ব্যবহৃত জিনিস পত্র। সুঁই হতে শুরু করে সংসারের যাবতীয় ব্যবহার্য জিনিস পত্র এক সময় অচল বলে ফেলে দেই বা পরিত্যাগ করি। পরিত্যক্ত হয় শহর, মৃত নগরী নাম দেই আমরা। পরিত্যাগ করি চর জেগে ওঠায় বহমান নদীকে। যত দামীই হোক না কেন এক সময় পরিত্যক্ত হয় স্বর্ণ হীরার খনি। ফুল দিয়ে সাজানো বাসর ঘরের ফুল একদিন বাসি হয়ে যায়। ফেলে দেই আমরা তা আবর্জনার মতই। অথচ ফুলের মাঝেই দুজনের প্রথম রাতের স্বপ্নের বীজ বপন। একটি সময়ে যা আমাদের জন্য অপরিহার্য, ব্যবহারের পরে তা তার গুরুত্ব হারায়।
পরিত্যাক্ত হয় শৈশব কৈশোরের সেই সব সোনাঝরানো দিনগুলো। অবহেলায় পরে থাকে গ্রামে থাকা বাড়িঘর, ভূমি, শানবাঁধানো ঘাটলা। জৌলুস পূর্ন জমিদার বাড়ি্র দেয়ালে জন্ম নেয় গাছ, নাচ মহল, বাইজী মহল পরিত্যক্ত হয়ে বাস স্থান হয় মোরগ মুরগী বা কুকুরের।
পরিত্যক্ত হয় ইতিহাস, ব্যাক্তি ও সমাজ। নবাব হয়েও মীরজাফর পরিত্যক্ত থাকে মানুষের মাঝে, বিশ্বাস ঘাতকতার উদাহরন হয়ে। প্রতাপশালী সাকা চৌ, মোশতাক,গোলাম আজম বাঙালীর হৃদয় থেকে পরিত্যক্ত। এসব হচ্ছে বস্তুগত এবং মানুষকে পরিত্যাগ করার উদাহরন।
ভালোবাসাও তো পরিত্যাগ করি আমরা। চেনা জানা ভালোবাসা গুলো হঠাৎই পাল্টে যায়।বয় ফ্রেন্ড/গার্ল ফ্রেন্ড পালটানো আজকাল কোন ব্যাপারনা। পুরান প্রেমিক/প্রেমিকার সাথে মতের অমিলে একদা অপরিহার্য ভালোবাসা পরিত্যাগ করার উদাহরণ আমরা সবাই দিতে পারবো। ব্রেক আপ যেন হাল ফ্যাশন। ঠোঁটের একদম লাগোয়া পিছনেই অপেক্ষায় থাকে ব্রেক আপ। যেন ছটফট করে কখন বের হবে শব্দটি। চলতি ভালোবাসায়ও পরিত্যাগ করার ঘটনা বিরল নয়। ভালোবাসার মাঝে থেকেই বিশ্বাস, আস্থাকে পদদলিত করে অজানা বা জানা কোন কারনে ভিন্ন ভালোবাসার মাঠে বিচরণও এক ধরনের পরিত্যাগ। ভালোবাসার জনকে উপেক্ষা,প্রতারণা, ধূম্রজাল সৃষ্টি ইত্যাদিও মুলত পরিত্যাগ করারই নামান্তর।
পরিত্যক্ত সব কিছুকেই আমরা প্রায় সবাই ভুলে যাই। এটিই প্রগতি বা জীবনকে সামনে এগিয়ে নেয়ার নিয়ম। নতুবা জীবন তো থেমে যেতো। জীবনকে বহমান রাখতে আমাদের অনেক প্রিয় বিষয়কে পরিত্যাগ করতেই হয়।
কেন জানি আমার পরিত্যক্ত জিনিসের প্রতি দুর্বার আকর্ষণ। অপটু হাতে যত ছবি তুলি আমি তার মাঝে প্রিয় একটি বিষয় হচ্ছে পরিত্যক্ত জিনিসের ছবি তোলা। প্রতিটি পরিত্যক্ত জিনিসের ছিল একটি ইতিহাস। আদর-যত্ন ও ভালোবাসায় পরিপূর্ণ ছিল একটি সময় এসবকে ঘিরে। অথচ আজ তারা মূল্যহীন, অপ্রয়োজনীয়, পরিত্যক্ত।
এক সময় কত আদরের ছিল এই বেবি সাইকেলটি।ধুয়ে মুছে তেল চেইনে তেল দিয়ে ঝকঝকে তকতকে রাখা হতো। কত অজস্র বার এর চাকা ঘুরেছে জীবন চাকার মত।আজ সে পরিত্যক্ত।
কি ভেবেছিল এখানে বসে সিগারেট হাতে নিয়ে বসে থাকা মানুষেরা? নিরিবিলি একাকী বসে তাঁরা কোন চিন্তায় মশগুল ছিলো। এক বাঙালিও হাসিমুখে রেখে দিল তার সিগারেটের ফিল্টার। অন্যদের মত সে ফিল্টারকে দুমড়ে মুচড়ে ফেলেনি। তার কোন অতিরিক্ত টেনশন ছিলো না, ভবিষ্যৎ আনন্দ আর সুখের নেশায় পরিপুষ্ট ছিল তার হৃদয়। জলের দিকে তাকিয়ে সে মুগ্ধতার কথাই তো ভেবেছে এতক্ষণ।
দুজনে দুজনার মাঝে গভীর ভাবে মগ্ন। কতক্ষন পূর্বে এসেছেন এনারা। হয়ত সমস্ত দিনই কাটাবেন এখানে।
পাশাপাশি বসে হয়ত স্মৃতি রোমন্থন করছেন ফেলে আসা পরিত্যক্ত যৌবনের রঙিন দিনগুলোর কথা।
কিছুদিন পরে নিজেরাই হয়ে যাবেন পরিত্যক্ত।
কতা হাজার অযুত লক্ষ জনকে পারাপারের মাধ্যম এই ফেরী আজ পরিত্যক্ত। ভাসবে না সে আর জলে।
এখানেই একটি সময় মরিচা হয়ে মিশে যাবে।
Thumbnails managed by ThumbPress
৩৪টি মন্তব্য
অনিকেত নন্দিনী
চেনা জানা ভালোবাসা গুলো হঠাৎই পাল্টে যায়। ব্রেক আপ যেন হাল ফ্যাশন। ভালোবাসার মাঝে থেকেই বিশ্বাস, আস্থাকে পদদলিত করে অজানা বা জানা কোন কারনে ভিন্ন ভালোবাসার মাঠে বিচরণও এক ধরনের পরিত্যাগ। ভালোবাসার জনকে উপেক্ষা, প্রতারণা, ধূম্রজাল সৃষ্টি ইত্যাদিও মুলত পরিত্যাগ করারই নামান্তর।
পরিত্যাগ ও পরিত্যক্ত সম্পর্ক ও জিনিস নিয়ে চমৎকার বিশ্লেষণ। (y)
জিসান শা ইকরাম
কেন যে আপনাদের মত লেখক হতে পারলাম না
পারলে কত সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করতে পারতাম এসব কথা।
শুভ কামনা।
অনিকেত নন্দিনী
“কেন যে আপনাদের মত লেখক হতে পারলাম না” এইটা বলে আলাদা করে দিলেন নাকি? 🙁
আপনি নিজেও তো খুব সুন্দর করেই বুঝিয়ে দিয়েছেন এই লেখায়। পরিত্যাগ আর পরিত্যক্ত নিয়ে আপনার যতো ভাবনা তা তুলে ধরেছেন। আপনি যেভাবে দেখেছেন আমরা অনেকেই এভাবে দেখিনা, দেখার চেষ্টাও করিনা।
জিসান শা ইকরাম
আলাদা করবো কেন? লেখা শিখছি আপনাদের লেখা পড়ে
আমি আমার সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে সম্পুর্ন সচেতন।
ইলিয়াস মাসুদ
কি দারুণ সংগ্রহ! মানুষ তো শুধু বিদেশ গিয়া গাড়ি বাড়ি স্থাপনার ছবি করে……… আপনি দারুণ সব বিষয় ধরে রেখেছেন …
জিসান শা ইকরাম
বিদেশ গিয়া গাড়ি বাড়ির ছবি আসলে আমাকে টানে না,
স্থাপনার ছবি তুলি তবে তা ভাঙা, পুরাতন স্থাপনার।
শুভ কামনা।
শুন্য শুন্যালয়
পরিত্যাক্ত সবকিছু কিন্তু অপ্রয়োজনীয় কিংবা পরিত্যাক্ত নয়, এই যেমন আজ আপনার পোস্ট। দুমড়ানো সাইকেলের ছবিটা দেখে এটাই ভাবছি, মনের মধ্যে চাপা থাকা পরিত্যাক্ত যন্ত্রণা থাকলেই কেউ এমন ছবি তুলতে চাইবে। যন্ত্রণা, তা আবার পরিত্যাক্ত হয় কি করে? না হয়না, যন্ত্রণা আমরা আজীবন আদর যত্ন করে লালিত করি মনের মধ্যে, থেকে থেকেই সেটাকে আলোকিত করি। এই যেমন আপনি করেছেন। উপরের বর্ননা টুকু পড়ে এটাই বলবো, এভাবে ভাবলে সবকিছুকেই পরিত্যক্ত মনে হবে, এক একটা দিন, এক একটা সময়, ইচ্ছে কতকিছু পরিত্যক্ত হচ্ছে। প্রতিহিংসায় পরিত্যক্ত হয় এক কালের দেয়া কথাগুলো, নিজেকেই তখন পরিত্যক্ত করি আমরা, নিজের ব্যক্তিত্ব, নিজের সম্ভ্রম।
একজন বাঙ্গালীর হাসিমুখে রাখা সিগারেটের ফিল্টার, ছবিটা কিন্তু দূর্দান্ত হয়েছে 🙂 কখনো আবার যদি অই নদীর পাড়ে যান, পরিত্যক্ত এই স্মৃতি গুলো নাড়া দেবে।
দুজন যখন শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত দুজনের পাশে থাকবে, তখন কেউ পরিত্যক্ত হবেনা–তবে এমনটা হয়না, ছেড়েই যায় একজন আরেকজনকে আগে বা পরে।
পরিত্যক্ত ফেরি। লাল-কালোর মরিচা জ্বলজ্বল করছে।
অসাধারন লেখা আর আপনার ভাবনার বৈচিত্রতা দেখে মুগ্ধ হয়েছি, পরিত্যক্ত কিছুর প্রতি ভালবাসা জাগলো আপনার পোস্টটি করে।
জিসান শা ইকরাম
‘ দুমড়ানো সাইকেলের ছবিটা দেখে এটাই ভাবছি, মনের মধ্যে চাপা থাকা পরিত্যাক্ত যন্ত্রণা থাকলেই কেউ এমন ছবি তুলতে চাইবে।’ – না ম্যাডাম মনের মাঝে কোন চাপা থাকা পরিত্যক্ত যন্ত্রনার কারনে এমন ছবি তোলা হয়নি। শুধু পরিত্যক্ত হিসেবেই তোলা হয়েছে। পরিত্যক্ত টায়ার,টিনের কৌটো,ক্রিকেট ব্যাট, ফুটবল,কার,রিক্সা,ট্রাক,গাড়ির ইঞ্জিন,মোটর সাইকেল,দা, কুড়াল,কোদাল, দালান কোঠা, ঘটলা,পুকুর,চেয়ার, টেবিল,বাদামের খোসা ……… আরো অনেক অনেক কিছুর ফটো আমার সংগ্রহে আছে। ফটো তোলার একটি সাবজেক্ট বলতে পারেন আমার এটি। আরো কয়েকটি প্রিয় সাবজেক্ট হচ্ছে – জল, ঘুমন্ত মানুষ, শিশু, হাঁস, বিভিন্ন পেশার মানুষ,ট্রেন স্টেশন, লাইন।
মেলবোর্ন কখনো আবার যাওয়া হলে অবশ্যই অই নদীর পাড়ে যাবো,
স্মৃতি আছে যে সেখানে।
ধন্যবাদ আপনাকে
শুভ কামনা।
শুন্য শুন্যালয়
সংগ্রহের কথা শুনেতো মজা পেলাম ভাইয়া, আরো কিছু ছবি কিন্তু চাইলেই দিতে পারতেন। জানি বলবেন, দেখি দেব আবার আরেকদিন, আর সেই আরেকদিন যে কোনদিন হবে, তা বুঝতে আমাদের আরো অনেকদিন লেগে যাবে। ছবি তোলার প্রতি আপনার আগ্রহ প্রচুর, ফ্রেমিং ও বেশ সুন্দর হয়। আরেকটু সময় দিলেই পারেন। যদিও পুঁথিগত জ্ঞানের আগে মনের এই চোখটাই জরুরী।
যাওয়া হয়নি কখনো অই নদীর পাড়ে, আপনার ছবিদুটো দেখে মনে হচ্ছে যেতে হবে, ওখানে আমার না যাওয়ার স্মৃতি আছে।
জিসান শা ইকরাম
ছবি আরো দেবো ভেবেছিলাম, কিন্তু লেখাটা বড় হয়ে যাওয়ায় আর দেই নি।
কত পোষ্ট যে দেব দেব করে আর দেয়া হয়নি, ব্যস্ততাই এর জন্য দায়ী, আমি না।
ফটোগ্রাফির বইও আছে, সময়ের অভাবে পড়া হয়না আরকি 🙂
আপনি মেলবোর্ন গেলে অবশ্যই এই নদীর পাড়ে যাবেন, ইত্তেহাদ স্টেডিয়ামের পাশেই
চওড়া কাঠের পাটাতন নদীর দুই তীরেই, বসার বেঞ্চ আছে
খুবই নিরিবিলি,শান্ত পরিবেশ।
শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
পরিত্যাক্ততা প্রকৃতির নিয়ম, আমরা মারা যাচ্ছি ক্রমাগত, নূতন শিশু আসছে, আসবেও।
তার পরে ও কিছু স্মৃতি আমাদের নস্টালজিক করবে,
প্রকৃতির বিরুদ্ধাচরণ প্রকৃতি মেনে নেয় না।
আবার পরিত্যাক্ত বলে কিছু নেই, এটি নূতনের ই অংশ।
ছবিগুলো খুব সুন্দর।
জিসান শা ইকরাম
হুম এটি প্রকৃতির নিয়ম
নতুবা সৃষ্টি থেমে যেতো।
শুভ কামনা।
মোঃ মজিবর রহমান
এত কিছুই যখন পরিত্যাক্ষ থাকল কি ভাইয়া!
জীবন পুথি হেরে গেল?
জিসান শা ইকরাম
সব কিছুই থাকলো
পরিবর্তন সৃষ্টিরই নিয়ম মজিবর ভাই।
শুভ কামনা।
মোঃ মজিবর রহমান
এটায় কি জীবন ভাই।
অপার্থিব
পরিত্যক্ত জিনিসগুলোর সঙ্গে মানুষের কিছু পুরনো অনুভূতি জড়িয়ে থাকে তাই স্মৃতি থেকে সেগুলোকে মুছে ফেলা কঠিন। ছবি হিসেবে পরিত্যক্ত জিনিসের আইডিয়াটাও মন্দ না। ছবি গুলো হয়তো একসময় নস্টালজিয়ায় আক্রান্ত করে তুলবে। ভবিষ্যতে আরো কিছু পরিত্যক্ত ছবি হাজির করবেন এই আশা ব্যক্ত করছি…
জিসান শা ইকরাম
ভালো বলেছেন অপার্থিব ভাই
দেখি সময় অনুকূলে থাকলে আরো কিছু পরিত্যক্ত জিনিসের ছবি দেয়া যায় কিনা।
শুভ কামনা।
অরুনি মায়া
আমি অবশ্য ব্যাপার টাকে একটু অন্যরকম ভাবে ভাবি | আসলে পরিত্যক্ত বলতে কিছু নেই | যেখানে কোন কিছু তার কার্যক্ষমতা হারায় সেখানেই সৃষ্টি হয় নতুন কিছুর |হতে পারে তা বস্তুগত হতে পারে তা অবস্তুগত অথবা কোন নিত্য ব্যবহার্য জিনিস বা কোন সম্পর্ক | ফেলনা বস্তু থেকে তৈরি হয় নতুন সামগ্রী | পুরনো সম্পর্ক বিলীন হলে জন্ম নেয় নতুন সম্পর্ক | কিছুই আসলে পরিত্যক্ত নয় |
লেখাটি বেশ ভাল লেগেছে | ভিন্নধর্মী লেখা |
জিসান শা ইকরাম
আপনার মন্তব্যের যুক্তিও উপেক্ষা করার নয়।
পরিত্যাগ করেই নতুনের দিকে ধাবিত হই আমরা
না হলে সৃষ্টি থমকে যেতো।
তবে পরিত্যক্ত জিনিসের প্রতি আমার একটা আলাদা মমতা আছে, একারনে এসবের ফটো তোলা একটা নেশার মত হয়ে গিয়েছে।
আপনার লেখার বৈচিত্র্যই আমাকে এমন লেখায় উৎসাহী করেছে, ধন্যবাদ আপনার প্রাপ্য।
শুভ কামনা।
অরুনি মায়া
কি সর্বনাশ আপনিও আমার মত বৈচিত্র আনতে চাইছেন! আমিতো সেই ফুল বাগান হতে হাটতে হাটতে গোরস্তান হয়ে মৃত্যুকে দেখে ডাস্টবিন এ এসে পরে এখন সোয়েটার বুনছি | আপনি না জানি আবার কি করে ফেলেন | এভাবেই চলতে থাকলে বিশ্ববাসী দেখবে সোনেলায় দুই পাগলের কাণ্ড :p
মিথুন
প্রত্যেকটি ছবি, ছবির সাথে টুকরো লাইনগুলো আর আপনার পরিত্যক্ত নিয়ে ভাবনা সবকিছুই একটা অসাধারন অনুভূতি এনে দিলো। দেখতে আমরা সবাই পারি, আসলেই কি তাই?
পোস্টটি প্রিয়তে না নিয়ে পারলাম না। পরিত্যাক্ত সিগারেটের ছবিটা এত স্পষ্ট, আমাকে অবাক ভাবে দেখছে আর বকছে। একজনের সিগারেট খাওয়া পরিত্যাগ করে দিয়েছি প্রায়। লিখুন এমন নিজেকে ভেঙে ভেঙে।
জিসান শা ইকরাম
একবার ভেবেছিলাম ২০১৪ সনের তোলা আমার কিছু ফটো দিয়ে একটি পোষ্ট দেবো
২০১৪ তে আমার সেরা তোলা ফটোর মাঝে এই সিগারেটের ফটোটাও ছিল
পোষ্ট প্রিয়তে নিয়ে আমাকে সন্মানিত করার জন্য ধন্যবাদ।
সিগারেট খাওয়া পরিত্যাগ করিয়েছেন?
বাহ! আপনার তো অনেক শক্তি।
শুভ কামনা।
মিথুন
২০১৪ সালের সেরা ছবি দিয়ে পোস্ট চাইইইইইইইইইইইইইইইইই ভাইয়া, প্লিইইইইইইইইইইইজ।
চুরি করে এখনো সিগারেট খাচ্ছে কিনা জানিনা, তবে টের পেলে পিটুনি আছে কপালে। আপনি তো জানেনই আমি কেমন মারধোর করতে পারি।
আমার শক্তি কিনা জানিনা, তার চেষ্টাটাই আমার কাছে বড়। আপনাকেও শুভকামনা ভাইয়া………
জিসান শা ইকরাম
২০১৬ চলছে, এখন ২০১৪ সনের ছবি দিয়ে পোষ্ট!
আচ্ছা বলছেন যখন দেখি চেষ্টা করে, দেবো অবশ্যই।
চুরি করে খাবার সাহস সে পাবে বলে মনে হয়না
যে ভাবে ভ্যাকুউম ক্লিনারে ব্যবহার শিখেছেন, তাতে সোনেলায় পড়েই অবস্থা সঙ্গিন আমাদের।
ব্লগার সজীব
একটি সময়ে আমরা সবাই পরিত্যক্ত হয়ে যাবো। ভাবলেই কেমন লাগে। পরিত্যক্ত কিছুর ফটো তোলার আগ্রহ কারো থাকতে পারে এই প্রথম জানলাম।
জিসান শা ইকরাম
হুম, একটি সময় আমরা সবাই পরিত্যক্ত হয়ে যাবো।
এ বিষয়ে ফটো তুলতে আমার ভালো লাগে।
শুভ কামনা।
আবু খায়ের আনিছ
প্রিয়তে যুক্ত হল।
নতুনের জন্যই পুরুনোকে জায়গা ছেড়ে দিতে হয়, জীবন যে বহমান নদী। কিন্তু সত্য যে মানতে মন চায় না। পরিত্যক্ত হয়ে যেতে হবে আমাদেরকেও 🙁
জিসান শা ইকরাম
আসলে পরিত্যক্ত কিছু বিষয়ের ফটো দেবো ভেবেছিলাম। লিখতে গিয়ে পোষ্ট বড় হয়ে যাওয়ায় ফটো আর দেয়া হয়নি।
ধান বানাতে শিবের গীত হয়ে গেলো।
অব্যবহার্য সব কিছুকে পিছনে ফেলে অতিক্রম করাই জীবন।
প্রিয়তে! 🙂
শুভকামনা।
মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন
আপবনার মতো সুন্দর করে সবকিছু ভাবতে পারলে জীবনেবওনেক কিছু করতে পারতাম। 🙂
জিসান শা ইকরাম
কি যে বলেন, সবার ভাবনাই সুন্দর
কেউ বলি কেউ বলিনা
শুভ কামনা।
পারভীন সুলতানা
লেখাটি অপূর্ব সন্দেহ নেই। উৎসাহিত হলাম একটা কবিতা লেখার । লেখকের একান্ত পরিত্যাগের ভাবনা যেমন বিশাল, তেমন বিস্তৃত । খুব গভিরভাবে দেখার চোখ না থাকলে এততা দেখা যায় না । দেখার গভীরতায় আত্মপলব্ধি এ লেখার সম্পদ, নমশ্য লেখক ; আপনাকে ।
জিসান শা ইকরাম
আপনার মত প্রতিষ্ঠিত একজন লেখকের এমন প্রশংসায় আসলে লজ্জাই পেলাম আপা।
তবে উত্সাহিতও হয়েছি
ধন্যবাদ আপনাকে
শুভ কামনা।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
বাহ! পরিত্যক্ত জিনিস নিয়ে কি সুন্দর উপস্থাপনা! আর পরিত্যাগ? অদ্ভুতভাবে তুলনামূলক বিশ্লেষণ।
জীবন বোধহয় এমমনই।
জিসান শা ইকরাম
পুরাতনকে পরিত্যাগ না করলে সৃষ্টি থেমে যেতো
পরিত্যক্ত জিনিসের প্রতি আমার আকর্ষন হতেই মুলত এই লেখা।
শুভ কামনা।