
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে আখাউড়া উপজেলার ত্রিপুরা সীমান্তবর্তী মিনারকোট পদ্মবিল। টিভির খবরটা দেখেই কয়েকজন বন্ধু নিয়ে ছুটে গিয়েছিলাম পদ্মবিল দেখতে। প্রত্যন্ত অঞ্চল হলেও ওখানটায় গাড়ি নিয়ে যাওয়ার মতো ভালোই রাস্তা রয়েছে দেখে চমৎকৃত হয়েছিলাম আমরা। শাপলা ফুলদের মতো অবাধ বিচরণ সারাদেশে পদ্মফুলদের নেই বলে ওদের প্রতি আকর্ষণটা আমাদের অন্যরকম। আগে আমি পদ্মফুলদের দেখার জন্য মাঝে মাঝে ঢাকার বোটানিক্যাল গার্ডেনে চলে যেতাম।
মিনারকোটের পদ্মফুলদের সৌন্দর্য ছুয়ে দেখার জন্য ভাড়ার ডিঙ্গি নৌকায় চড়ে পুরো বিল ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ রয়েছে। ভোরের শিশিরগুলো পদ্মের পাতায় টলোমলো আর পদ্মের ফাঁকে পানকৌড়িদের ডুব সাতার খেলা দেখে একটা দিন ওখানে কাটিয়ে দেওয়া যায় অনায়াসেই। মিনারকোটের স্থানীয় মানুষগুলো ও বেশ হাসিখুশি আর হেল্পফুল। আসুন এবার দেখে নেই মিনারকোট পদ্মবিল দেখার ছবিব্লগ।
(২) পদ্মবিলে যাওয়ার পথে আখাউড়ার প্রত্যন্ত এলাকার আকাশটা ছিলো শরতের আকাশ। যদিও শরৎ আসতে একদিন বাকী ছিলো।
(৩) এক সময় আমরা পৌছে গেলাম আমাদের কাঙ্খিত মিনারকোটের পদ্মবিলে।
(৪) ছোট ডিঙ্গিগুলোর মাঝি আরো ছোট ছোট। আমরা নিজেরা যদি ডিঙ্গি চালিয়ে পদ্মবিল ঘুরে দেখি তাহলে ওদের দিতে হবে ২০০ টাকা, আর এমন ছোট এক জোড়া মাঝি সমেত ২৫০ টাকা। আমরা ২৫০ টাকায়ই ছিলাম।
(৫) ফিঙেটা বিলের উপর উড়াউড়ি করে পোকা মাকড় খেয়ে ক্ষণে ক্ষণেই এসে বসছিল বিলের উপড় দাঁড়িয়ে থাকা কিছু গাছে।
(৬/৭) পদ্মরা কেউ সর্বাঙ্গ খুলে কেউবা কিছুটা ঘোমটার ভেতর থেকেই যেন আমাদের সু-স্বাগতম জানাচ্ছিল।
(৮) সংখ্যায় কম হলেও শালুক ফুলেরাও অভ্যর্থনায় পিছিয়ে ছিলো না।
(৯/১০) স্থানীয়দের অনেক কাজ কর্ম চলে এই পদ্ম বিলের উপর দিয়াই।
(১১) বিলের ভেতরে ডুব সাতারে ক্লান্ত পানকৌড়িটা জিড়িয়ে নিচ্ছে কিছুটা সময়।
(১২/১৩) ফুল শেষে পদ্মের ফলের ভেতরের বিচিটাও কিন্তু বেশ মজাদার খাবার।
(১৪/১৫) বিলের ভেতরে পর্যটকবাহী ডিঙ্গিগুলোর চলাচলও কিন্তু অন্য রকম একটা চমৎকারিত্ব সৃষ্টি করে।
(১৬) ক্যালেন্ডারে পাতায় শরতের একদিন বাকী থাকলেও বিলের পাশের কাশফুলেরা তাদের রূপ দেখাতে কার্পণ্য করেনি।
(১৭) পদ্ম আর কাশফুলদের সাথে পাল্লা দিতেই যেনো লজ্জাবতীর ফুলেরাও হেসে উঠেছিলো সেখানে।
(১৮) বিলের এক প্রান্তে ধর্ম জাল দিয়ে ছোট মাছ ধরছে স্থানীয়রা।
(১৯) নানা রঙের ফড়িংদের ব্যাপক আড্ডাবাজি এই পদ্মবিল এলাকায়।
(২০) দর্শনার্থীরা ওখান থেকে প্রচুর পদ্মফুল তুলে নিয়ে আসছে, এটা পরবর্তি দর্শনার্থীদের জন্য অশনি সংকেত।
২৫টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
অনেক দিন পর ছবি দেখে ভাল লাগলো, আর সেখানে যদি থাকে শরতের কাশবন ,
১২ আমার পছন্দের ছবি।
কামাল উদ্দিন
ধন্যবাদ বড় ভাই, আজকেও আমার পোষ্ট দেওয়া হতোনা, যদিনা আপনি ছবির কথা বলতেন……ভালো থাকবেন সব সময়।
ছাইরাছ হেলাল
ছবি দেখবো-না এটি হতেই পারে না।
গুড বয় বলতেই হচ্ছে।
সুপায়ন বড়ুয়া
পদ্ম বিলে ডিঙি নৌকায় চড়ার মজাটাই আলাদা।
সাথে যদি থাকে নানান রঙের পদ্মফুলের বাহারটা।
ভালই লাগল। শুভ কামনা।
কামাল উদ্দিন
সত্যি বলেছেন দাদা, ডিঙ্গি নিয়ে এমন সুন্দর ফুলদের ভেতরে ঢুকে যাওয়ার সত্যিই অন্য রকম একটা মজা আছে……..ভালো থাকবেন সব সময়।
ফয়জুল মহী
অসাধারণ
ভীষণ ভালো লাগলো।
কামাল উদ্দিন
ধন্যবাদ ভাই, শুভ সকাল
সুপর্ণা ফাল্গুনী
সবগুলো ছবিই অসাধারণ লাগলো। পদ্মের প্রেমে পড়ে গেলাম আপনার দেখানো ছবিতে। নিয়মিত চাই আপনার ছবিব্লগ । অফুরন্ত কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ ভাইয়া। শুভ কামনা রইলো
কামাল উদ্দিন
ধন্যবাদ আপু, নিয়মিত সময় দিতে পারছিনা বলে দুঃখিত আমি। তবে ব্লগে আসার চেষ্টা থাকে সব সময়।
সুরাইয়া পারভীন
সবগুলো ছবিই দুর্দান্ত। আহা! মন চায় একছুটে তাই মিনারকোট পদ্মবিলের, পদ্মফুলে সৌন্দর্য্য স্বচক্ষে অবলোকন করতে। চমৎকার পোস্ট করার জন্য ধন্যবাদ অশেষ ভাইয়া
ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন আর ছবির নিয়ে আসুন বেশি বেশি
কামাল উদ্দিন
ব্লগে যতোদিন আছি ছবি নিয়াই আসবো আপু, লেখার ব্যাপারে যা আমি ঠন ঠন সেটাতো জানেনই…….ভালো থাকবেন সব সময়।
আরজু মুক্তা
এভাবে জীবন্ত ফুলের হৃদয়ে ঘুরাঘুরি। চমৎকার তো
কামাল উদ্দিন
হুমম, ধন্যবাদ আপু।
আলমগীর সরকার লিটন
কামাল দা খুব মজার জিনিস দেখালেন বিলে বিষধর সাপ নেই —————
কামাল উদ্দিন
সাপ থাকাটা অস্বাভাবিক কিছুনা লিটন ভাই, কিন্তু আমার সাথে ওনাদের দেখা হয় নাই।
মোঃ মজিবর রহমান
কোন ছবিটা বাদ দিয়ে কোন্টার কথা বল্ব সব গুলই দারুন চমৎকৃত ও আকর্ষনীয়। কিছু ছবি সংগ্রহে রাখলাম কামাল ভাই।
কামাল উদ্দিন
ধন্যবাদ মজিবর ভাই, আপনার মন্তব্যে উৎসাহিত হলাম।
তৌহিদ
পদ্ম বিল আমার দেখার ইচ্ছে অনেকদিনের। আপনার ছবিতে দেখে মুগ্ধ হলাম।
শুভকামনা রইলো ভাই।
কামাল উদ্দিন
আপনার জন্যও শুভ কামনা সব সময় তৌহিদ ভাই।
শামীম চৌধুরী
আপনার লেখায় জানলাম ব্রাক্ষ্মনবাড়িয়াতেও পদ্মবিল আছে। আগে জানতাম না। তবে আমি প্রতিবছর বরিশালের উজিরপুরের পদ্ম বিলে যাই।
খুব সুন্দর লিখেছেন।
কামাল উদ্দিন
কয়েক বছর যাবৎ বরিশালের সাতলার শাপলা বিল দেখতে যাই যাই করেও যাওয়া হয়ে উঠেনি, উজির পুরের পদ্মবিলটা কেমন ভাইজান?
খাদিজাতুল কুবরা
ইচ্ছে করছে একছুটে দেখে আসি।
পানকৌড়ির ছবিটি,
প্রজাতির ছবিটি,
কোনটা রেখে কোনটা দেখি।
ভীষণ সুন্দর ছবি সবগুলোই।
চোখ জুড়িয়ে গেলো।
কামাল উদ্দিন
প্রকৃতিরা সব সময়ই এমন সুন্দর হয়, আমরাই ওদের ধ্বংস করছি ক্রমান্বয়ে, ভালো থাকবেন আপু।
হালিম নজরুল
আহা রে পদ্মবিল! আমার ছেলেবেলার স্মৃতিময় “তেরোনলা বিল”-কে মনে করিয়ে দিল।
কামাল উদ্দিন
তেরনলা বিলটা কোথায় নজরুল ভাই?