পচা-বাসি খাবার: তিনটি রেস্টুরেন্টকে জরিমানা ও বন্ধ ঘোষণা

 

আমাদের দেশে ফুটপাথ থেকে অভিজাত হোটেল রেস্তোরাঁ পর্যন্ত প্রায় সবখানেই পচা বাসী নোংরা এবং ভেজাল খাবার বিক্রি হয়।  অবশ্য ব্যতিক্রমও আছে। সব শ্রেণী পেশার মানুষ যেমন খারাপ নন ঠিক তেমনি সব খাদ্য-ব্যবসায়ীদেরকেও এক পাল্লায় ঠেলে দেয়া উচিৎ হবে না।  নোংরা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের পাশাপাশি টয়লেট আর রান্নাঘর একসাথে থাকা, পুরানো তেল, মেয়াদ উত্তীর্ণ উপকরণ, টেস্টিং সল্ট, কাপড়ের রং, পোড়া মুবিল ব্যবহার করা।  আলাদা এবং যথাযথভাবে মাছ মাংশ মশল্লা এবং অন্যান্য উপকরণ সংরক্ষণ না করা।  উন্মুক্ত পরিবেশে বা ব্যস্ত সড়কে অবস্থিত হোটেল রেস্তোরাঁর সামনে উন্মূক্তভাবে দ্রব্য সামগ্রী তৈরি করা সহ নানান ধরণের জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকী সরূপ কাজগুলো প্রকাশ্যে এবং প্রশাসনের নাকের ডগায় ঘটে চলেছে।

ভ্রাম্যমাণ আদালত বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে থাকে।  এবং জেল জরিমানাও করে থাকে।  কিন্তু দ্বিতীয় বার অভিযান কালে দেখা যায় ঐ সব হোটেল রেস্তোরাঁর অবস্থা তথৈবচ।  পূর্বেকার অবস্থার কোন পরিবর্তনই ঘটেনি এবং মন-মানসিকতাও রয়ে গেছে পূর্বের ন্যায়।  তাছাড়া পানির বোতলের দামও একেক জায়গায় একেক রকম এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ পানি যে বিক্রি করা হয়না তাও নয়।

মহান আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামিন ব্যবসাকে হালাল করেছেন এবং সুদকে করেছেন হারাম। পাশাপাশি ওজনে কম না দেয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছেন।  কথায় বলে চোরে না শুনে ধর্মের কাহিনী ! মানুষ বাঁচুক বা নাইবা বাঁচুক যেভাবেই হোক কতিপয় অসাধু নৈতিকতা এবং মানবতা বিবর্জিত মানুষের যেভাবে হোক মুনাফা করতেই হবে।  পচা বাসী ভেজাল খাবারের কারণে মানুষ নানাবিধ জটিল রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। মানব দেহের কিডনি, হার্ট, ফুসফুস, চোখসহ স্পর্শকাতর বিভিন্ন অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।  অনেকে আবার দৃষ্টি শক্তি পর্যন্ত হারিয়ে ফেলছে।  পেটের পীড়া, ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদ-রোগ, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন দীর্ঘমেয়াদী রোগে আক্রান্ত হয়ে জীবন মৃত্যুর কঠিন সংগ্রামে লিপ্ত রয়েছে।  ভোক্তা-অধিকার আইন আছে কিন্তু তার যথযথ প্রয়োগ নেই।  চাইলে ভোক্তা-অধিকার আইন এবং দেশের প্রচলিত আইনে অপরাধী বা দোষী খাদ্য ব্যসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়।  আশা করি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো যৌথভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায়  সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে জন-স্বাস্থ্যের জন্য বিরাট হুমকী নোংরা পচা বাসী ভেজাল এবং উচ্চমূল্য গ্রহণকারী দোষী খাদ্য ব্যসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ, সুষ্ঠু এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।  পাশাপাশি ভ্যাট, টেক্সসহ দেশের রাজস্ব আয় ঠিকভাবে আদায় হচ্ছে কিনা তাও খতিয়ে দেখবেন ।

ছবিঃ  সংগৃহীত ।

0 Shares

১৬টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ