
পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। নাম তার সানজিদা। বয়স আর কতো। হয়তো দশ কিংবা এগারো। বর্তমান সময়ের কিশোর কিশোরীদের মতো নেশায় আসক্ত। এটা কোন মাদকের নেশা নয়। সস্তা জনপ্রিয়তা পাওয়ার নেশা। ফেসবুকের কল্যাণে ভাইরাল হওয়া।
এ নেশায় বুঁদ হয়ে আগামী প্রজন্ম চলছে সর্বনাশা পথে। অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি। উদ্ভট নাচানাচি। হাসির নামে বাঁদরামি।সবই চলে টিকটিক নামক ভিডিওতে। মাঝে মাঝে দেখি মাঝ রাস্তায় দাঁড়িয়ে ভিডিও করছে। কি অদ্ভুত কান্ড কারখানা। দেখার কেউ নাই। বলার ও কেউ নাই। তাদের বাবা মা ও তাদের কিছু বলেন। পরোক্ষ ভাবে বরং উৎসাহ দেন। শুধু কিশোর কিশোরীরা নয়। অনেক শিক্ষিত মানুষ ও ফান করার নামে টিকটিক করছে। এটা সংস্কৃতির কোন অংশ জানা নাই।
সানজিদা নামের মেয়েটি গলায় ফাঁস দিয়ে টিকটিক করতে চেয়েছিলো। দুর্ভাগ্য বশত ফাঁস আটকে মৃত্যু বরণ করে। টিকটিক করতে স্মার্ট ফোন প্রয়োজন। একজন পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীর কাছে স্মার্টফোন কেন থাকবে। সন্তান ভালো মন্দ বুঝতে পারে না। ওর বয়স কম। বাবা মা তো বুঝদার। তাঁরা কেন শিশুদের হাতে মোবাইল তুলে দিচ্ছেন। এর পরিমাণ যে কতটা ভয়াবহ, তা তো বুঝা যাচ্ছে। এধরনের ভিডিও বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
https://fb.watch/e9064vihQC/
৮টি মন্তব্য
নার্গিস রশিদ
বর্তমানের এক সমস্যা নিয়ে সুন্দর ব্লগ। নুতুন নুতুন টেকনোলোজি নুতুন নুতুন সমস্যা। অনেক ধন্যবাদ আর শুভকামনা।
হালিমা আক্তার
নতুন টেকনোলজি আমরা ভুল ভাবে ব্যবহার করি। আজকের সংবাদে দেখলাম চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুর গামী ট্রেনের ছাদে টিকটিক করতে যেয়ে, হাত ফসকে পড়ে গিয়ে ছয় টুকরা হয়ে গেছে। এগুলো সহ্য করা যায়।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য। ঈদ মুবারক।
সৌবর্ণ বাঁধন
প্রতিটি সভ্যতাই নিয়ে আসে কিছু ভয়ংকর রীতি। আধুনিক সভ্যতাও হয়ত এ পথেই হেঁটে তৈরি করেছে ভাইরাল হওয়ার নেশা! মাদকের মতোই সর্বনাশা এই আসক্তি।
হালিমা আক্তার
ভয়ঙ্কর সভ্যতার আজকের বলি আরো একজন। ট্রেনের ছাদে টিকটিক করতে যেয়ে, হাত ফসকে পড়ে গিয়ে ছয় টুকরা হয়ে গেছে। এ সভ্যতার শেষ কোথায়।
ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো। ঈদ মুবারক।
জিসান শা ইকরাম
টিকটিক প্রথম হতেই আমার অপছন্দের বিষয়।
তরুন তরুনীরা এই নেশায় আশক্ত হয়ে নিজকে শেষ করে দিচ্ছে।
ভারতের মত আমাদের দেশেও টিকটিক বন্ধ করে দেয়া উচিৎ।
সচেতনতা মূলক পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
এমনি সামাজিক সমস্যা নিয়ে প্রচুর লিখুন।
শুভ কামনা
হালিমা আক্তার
এ ধরনের ভিডিও অ্যাপস বন্ধ করা উচিত। প্রায় টিকটক করতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটছে। অনুপ্রেরণা দেয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো। ঈদ মুবারক।
রিতু জাহান
ভাবা যায় না আসলে,,,
এসব নিয়ে কাজ করা উচিৎ এখনি আমাদের।
শাসন দরকার খুব আসলে।
হালিমা আক্তার
শাসন ও করা যাচ্ছে না। এখন কার ছেলেমেয়েরা কোন কথা শুনতে চায় না। এখনো সময় আছে। সব শেষ হবার আগেই লাগাম টেনে ধরা। শুভ কামনা রইলো।