সেই কত কাল!
নিঃশব্দচারিতায় মুখিয়ে আছি,
ক্রম-নিঃশব্দতা থেকে চুড়ান্ত স্তব্ধতার কাছাকাছি অব্ধি,
অন্ধকারের প্রবাল-প্রবল-ছোবল থেকে যে টুকু বিষ উঠে আসে
সে নীল-দংশনে ঝাঁপ দিতে দিতে চিৎকারটুকু-ও
আঁচল বিছিয়ে সলজ্জ-চুম্বনে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে না।
ঘূর্ণায়মান নীল-রক্ত-চাদরে ডুবে যেতে যেতে
আকন্ঠ অঙ্গ-তৃষ্ণা বরণ করে নিতে চায় দুস্থ-হৃদপিণ্ড,
চাঁদ-নগ্নতায় সুতীব্র জলজ দাহে নিষঙ্গ-নিঃশব্দ-স্তব্ধতা ছুটে আসে
ঠোঁটের দারুন কারুকাজের অন্তরালে।
স্তব্ধতার এই তীর্থ-তীরে কবির কামনা নিয়ে
অজীর্ণ সময়-পাতায় চোখ-বেঁধে শুনে নেব বন্য-বালিকার-বাগ্মিতা।
২৬টি মন্তব্য
মাসুদ চয়ন
খুব গভীর জীবন বোধ দাদা।কাব্যিক অনুভবের মানুষ কাব্য চাষ করেই বেঁচে থাকার অক্সিজেন আহরণ করে।
ছাইরাছ হেলাল
বেঁচে থাকার জন্য অক্সিজেন আমাদের চাই-ই।
আর এভাবে-ই আমতা বাঁচি/বাঁচতে চাই।
ধন্যবাদ।
শাহরিন
মাঝে মধ্যে আমাদের সাথে কথা বললেই তো আর এসব সমস্যা হতো না। একাকীত্বও ডরাইবো এই লেহা পইড়া।
ছাইরাছ হেলাল
তখন আবার বলবেন, এত এত কথা কেমনে কয়!
পাগল নি কুন!!
ডরাইলে তো ভালই, একাকীত্ব কেটে যাবে।
গান শুনে দেখুন!
শাফিন আহমেদ
কবে যে আমার শব্দভান্ডার আপনার মত হবে । অনেক উচ্চ মানের লেখা । খুব ভালো লেগেছে । আর নি:শব্দচারিতায় ক্লিক করার পরে একটা দারুন গানের লিংক পেলাম গুরুপদ গুপ্তের , গানের কথাগুলো সত্যি অসাধারন ।
ছাইরাছ হেলাল
এগুলাইন কিচ্ছু না। আমাদের আশেপাশে এমন প্রচুর শব্দ চালু আছে,
শুধু খেয়াল করে পকেটে পুরতে পারলেই হলো!
গানটি আমার খুব পছন্দের।
সাবিনা ইয়াসমিন
মহারাজ !! এই গানটা নিয়ে আমি লিখতে চেয়েছিলাম 😒😒
ছাইরাছ হেলাল
দেরি করাচ্ছেন কেন তাই তো বুঝছি না!
সাবিনা ইয়াসমিন
মুক একটাইতো,,,তাই কতা কম কচ্ছি। 😀
ছাইরাছ হেলাল
কতা কম কচ্ছেন তাতে সমস্যা নেই, জোরেশোরে লেখা চালু রাখলেই হবে।
আরজু মুক্তা
একজন বাকরুদ্ধ হলে, বন্য বালিকা তো মুখিয়ে থাকবে তার সুনিপুণ বাক্যকলা দিয়ে চারিদিক মুখরিত করতে।কবিরও অতৃপ্ততা মিটে যাবে।
ছাইরাছ হেলাল
বাহ্, দারুন সমাধান। বন্য বালিকার সাথে দেখছি আপনার খুব দহরম যাচ্ছে!!
শামীম চৌধুরী
বাহ।
ছাইরাছ হেলাল
ধন্যবাদ ভাই।
সাবিনা ইয়াসমিন
এত এত নিঃসঙ্গ নীরবতা ধারণ করেও বন্য-বালিকার বাগ্মিতা শোনার যে আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করলেন, তাতে কিন্তু মনে হয়নি কবি আসলেই একাকীত্বে ভুগছেন। মনে হচ্চে, তিনি সমস্ত প্রকৃতিকে থামিয়ে দিতে চাইছেন। সকল কোলাহল আর নৈসর্গ-কে স্থবির করে এক বিশেষ মুহূর্তকে আস্বাদনের তীব্র আকুতি ফুটে উঠেছে।
ডিকশনারি ছাড়াই অনুবাদ করতে হলো। চাইনিজ, জাপানিজ সব ডিকশনারি ফেল মারবে এমন লেখার অনুবাদ করতে এলে। বাংলা ভাষা এত্ত কঠিন!!
ছাইরাছ হেলাল
প্রচণ্ড একাকীত্বের জন্য সব কিছুর বিনিময়ে-ও কারো বাগ্মিতা শুনতে চাওয়াই স্বাভাবিক।
যদিও কুহকের হাতছানি থেকেই যায়।
বুঝতে পারছি এত এত ডিকশনারির জন্যই আপনার লেখা খুপ কঠিন হয়ে যাচ্ছে দিন-কে-দিন।
আবার ডিকশনারি ছাড়াও ডিকশনারি আছে!! বেশ জটিল তো।
সাবিনা ইয়াসমিন
মহারাজ, পোস্টে ফিচার ছবি দিন। ছবি ছাড়া পোস্ট দেখতে ভালো লাগেনা।
ছাইরাছ হেলাল
জি, কবিতা-জি,
আমিও ভাবতেছিলাম, আমার সমস্যা হচ্ছে এ যাবৎ যা কিছু ছবি এখানে দিয়েছি/দেই, সবই আমার তোলা ছবি, তাই আমার লেখার সাথে মিলিয়ে ছবি খুঁজে নেয়া অনেক সময়ের ব্যাপার। আবার ছবির কথা ভেবে বা ছবি উপলক্ষ করে লিখলে এ সমস্যা থাকে না, কিন্তু লেখার সময় তো অনেক সময়ই ছবির চিন্তা থাকে না। আবার ছবির সাথে মিলিয়ে লেখা দেয়াও কঠিন, ধরুন এই লেখায় যে ছবি দিয়েছি তা এই চিন্তা থেকে যে নিঃশব্দতায় আটকে আছি, কঠিন বাঁধন। এটি আমার ভাবনা। কিন্তু সবার কাছে খাপছাড়া মনে হতে পারে।
এমনিতেই ভাল ল্যাহা ল্যাক্তেই পারলাম না!!
সাবিনা ইয়াসমিন
ছবি নিয়ে এত ভাবা ভাবির কি আছে। একটা দিলেই হয়। আর লেখার সাথে ছবি মিলাতে না পারলে ফট করে একটা আকাশের ছবি তুলে নিবেন। আকাশের অসীমতায় সব লেখাই মিলে যাবে। 😀😀
ছাইরাছ হেলাল
এ জন্য-ই আপনাকে কবিতা-জি বলি ও ভাবি।
ছবি নিয়ে ভাবনা!! আর না আর না!!
ফট করে আপনার মত হয়ত একদিন কবিতা ও লিখতে পারব। দুয়ায় রাইক্কেন।
রেহানা বীথি
নিস্তব্ধতা বিদীর্ণ করে বন্য-বালিকাতে মুখরিত হোক একাকিত্ব।
ভালো লাগলো ভীষণ।
ছাইরাছ হেলাল
এমন হলে তো জ্বালা জুরাতো!
মুখরতা পালিয়েছে। সেই কবে।
ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
মনির হোসেন মমি
মন্তব্যগুলো চমৎকার।
ছাইরাছ হেলাল
হা হা, মনির ভাই!!
এরা হলো জাত কবি, তাই এমুন সুন্দর করে লেখে।
তৌহিদ
প্রথমেই গানটি মনোযোগ দিয়ে শুনলাম। আসলেই জীবনবোধের চমৎকার উপমা।
সকল নিস্তব্ধতা দূরে সরে যাক।বন্য বালিকার বাগ্মিতা আষ্টেপৃষ্ঠে থাকুক কবির মনে।
ছাইরাছ হেলাল
সত্যি-ই তাই, প্রাণ ছুঁয়ে যাওয়ার মতই গানটি।
থাকুক কিছু বলা-না-বলা কথা হৃদয়-তীরে।
ধন্যবাদ।