
নীলাম্বরী,
তোমায় দেখেছি সেদিন
রেস্তোরাঁয় বসে অপেক্ষমান দুটি চোখ।
কার জন্য এতো গভীর প্রণয়ের অসুখ?
জানালার কাঁচ গলে বৃষ্টি ছুঁয়ে যায়..
খানিকদূরে কৃষ্ণচূড়া গাছ ফুলে ফুলে লাল।
তোমার ভ্রূক্ষেপ নেই সেদিকে,
যেনো দখিনা বাতাসের মতো উদাস তোমার মন।
একাকী দুল খাওয়া দোলনার মতো শূণ্য আয়োজন।
নীলাম্বরী,
এভাবে বসে থাকবে কি! সময়ের কাঁটা ভেঙে।
চলো বাইরে যাই – হুড তোলা রিক্সায়।
টিএসসির চত্তরে কিংবা নীলক্ষেতের ফুটপাতে,
যেখানে বইয়েরা গাছ হয়ে যায়।
গাছেরা মানুষ হয়ে শিকড়ে শিকড়ে ব্যস্ত প্রেম চর্চায়।
নীলাম্বরী,
চলো আজ বৃষ্টি মাখি গায়।
ভিজুক তোমার চুল – একফোঁটা বৃষ্টি জমুক নাকের ডগায়। তোমার হাত ধরে আজ বলতে চাই – তোমার কাছাকাছি এলে আমি হয়ে যাই আদুরে অন্যায়।
নীলাম্বরী,
তুমি হয়ে যাও আকাশের অথৈই নীল।
আমি না হয় তোমার বুকেই উড়ি,উদ্বাস্তু গাঙচিল।
যার নেই কোন বাড়ি ফেরার তাড়া, যার আপন বলতে তুমিই আছো, নীলাম্বরী আসমানের তারা।
৮টি মন্তব্য
মোঃ মজিবর রহমান
একটি প্রেমময় রঙ্গিন কাব্য। ধন্যবাদ কবি।
মনিরুজ্জামান অনিক
ধন্যবাদ।
ভালোবাসা জানবেন।
রোকসানা খন্দকার রুকু
বাহ দারুন! আদুরে অন্যায় মন্দ না কিন্তু? ভালোই লাগে।
এমন কবিতায় নীলাম্বরী হয়ে যায় আমার মতো পাঠকরা।
শুভ কামনা অশেষ!!!
মনিরুজ্জামান অনিক
মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম।
সতত ভালোবাসা জানবেন।
হালিমা আক্তার
চমৎকার কবিতা। মুগ্ধতা ছুঁয়ে গেল।
মনিরুজ্জামান অনিক
সতত ভালোবাসা জানবেন।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
খুব খুব সুন্দর একটি কবিতা। এমন আহ্বান জানালে নীলাম্বরী অবশ্যই আসবে ভাসাতে দু’কুল। ভালোবাসার জয় হোক। শুভ সকাল
মনিরুজ্জামান অনিক
ভালোবাসা জানবেন।
ভালো থাকবেন।
সুস্থ থাকবেন।
শুভ সন্ধ্যা।।