নীরা কথা

অরুণিমা মন্ডল দাস ১৪ জুন ২০২১, সোমবার, ১১:৩৮:১৪অপরাহ্ন একান্ত অনুভূতি ৭ মন্তব্য

নীরা একটি শিক্ষিত মেয়ে। জব নেই টাকা নেই প্রতিভা থাকলেও তাঁর কোন মর্যাদা নেই।  মূল্য নেই।  বরটি শিক্ষিত হলেও পন্ডিতমূর্খ।  বৌ কে অপমান করার ছোট করার কোন কুল ঠিকানা ই ছাড়েন না।  শুধুমাত্র উনার বাড়িতে আছেন তাই যেকোন অত্যাচার সহ্য করতে হয় ।  নীরার গায়ে থুথু ফেলায় । নোংরা করে ।  সব কাজ করিয়ে বলে বৌ য়ের কোন অধিকার নেই।  বৌ কে সাজিয়ে সংসার দেখিয়ে বাংলাদেশে বসে থাকা তাঁর বাবা মা পূর্ণ ভারতীয়” র সুযোগ সুবিধা অর্জন করে থাকেন, পাড়ার লোকেরা আলু কলা টমেটো নারিকেলের লোভে চুপ করে অত্যাচারে মদত দেন।  বাঙাল মহিলাদের কাজ হল ঝগড়াতে উসকানি অপরের সংসারে ঝামেলা পাকানো।  বেশিরভাগ মহিলা ই মজা পান নীরা র দুঃখে। নীরা র বরনীরার সামনে গাছের ফল থেকে প্রায় নিজের ইচ্ছামতো সব কিছুই দেয়া নেয়া করেন, নীরাকে অথচ কোন পুরুষের সংগে কথা বলতে দেখলে জ্বলে, ছেলেটি খুব নিচ ক্যাটাগরির পন্ডিতমূর্খ যোগ্যতাহীন ছেলে। নিজে না খেটে পরেরটায় আয়েশ আর মেয়েদের সংগে মূর্খ হোক আর শিক্ষিত সবার সংগে ঢলাঢলি করে থাকেন।  ছেলেটি পুরুষত্বহীন বলা যেতে পারে কেননা অন্যের মার খেয়ে বৌ কে মেরে নিজের যোগ্যতা দেখায় ।  বাড়ির পাশের বৌদের দিকে তাকিয়ে থাকা কথা বলা খুব বাজে অভ্যাস।  নীরার সব সহ্য করতে হয় বাচ্চার দিকে তাকিয়ে । মেরুদন্ডহীন ভবিষ্যতহীন লোভী মর্কট বলা যেতে পারে ।

বাড়িতে সিংহের মতো দেখায় কিন্তু বাইরে ভিজে বেড়াল সেজে ঘুরে বেড়ায় ।  খুব হিংসুক বৌ র যোগ্যতা কে পিষে বৌ কে পায়ের তলায় জব্দ করে রাখা ই মেরুদন্ডহীন দের ধর্ম।

বাবা মা বাংলাদেশে থেকে ভারতীয় বলে সব কাজ চালান।  দুমাস এসে ছেলে বৌয়ের উপর অকথ্য নির্যাতন করে থাকেন।

খাওয়া নেই নীরার।  শরীরটা ভালো নয় ।  একটি কুকুর তাড়াতেই সারাটা দিন কাটল।  মূর্খ গ্রামে বৌ দের কাজ দেখানোটাই আসল পরিচয় ।  শরীরে জোর নেই দুটো ভাতে ভাত আর ভাজা দুটোর সময় খেল সে।

বর বাইরে থেকে দুদিকে দুটো বৌ য়ের ঢলাঢলিতে ব্যস্ত।  সামনে নতুন বৌ এসেছে লজ্জাহীন ভাবে কিভাবে কথা বলে কে জানে? নিজের বৌ কে ঘটিচুদি” কুত্তার বাচ্চা ছাড়া কথা বলে না পাড়ার বৌদের কত মিষ্টি কথাসন্দেশ দে রসগোল্লা দে নীরা কেন কোন মেয়ে সংসার করতে পারবে?

আসলে অলশ ছেলেটি রকাজ বৌ আর বাচ্চাকে কষ্ট দেওয়া।  শিক্ষক হলেই মুখোশধারী শয়তান।  বাইরে খুব ভালো । নীরার কেউ নেই তাই পেয়ে বসেছে।  বাড়ির যেকোন জিনিস নীরাকে না বলেই ওইসব বৌদের  দিয়ে দে,ঢলাঢলি করে শিক্ষিত লোকের যে একটা এটুচ্যুড তা নেই, লুজার টাইপের নিজেআর নীরা কেও বানিয়ে রেখেছে।

বাড়ির সামনে মহিলাটির ফুচকা দোকান। বাড়ির কিছুটা মধ্যেই ব্যবহার করে জোর করে কিছু বলে না।  বাড়ির তাঁর মেয়ের বিয়েরপ্যান্ডেল করে।  নীরা নামমাত্র সংসারের চাকর মাত্র।  জায়গাটি প্রাচীর দে না পাড়া প্রতিবেশী খুব অত্যাচার করে ।  আর নীরাকে সব কাজ একা করতে চাপ দিতে থাকে।

ফুচকা দোকানে র আড্ডা মেয়েদের সংগে ঢলাঢলি তাও আবার মূর্খ মেয়েদের সংগে ?

বাসন ধুতে গেলে ইচ্ছে করে শরীর দেখায় মুচকি হেসে কথা স্নান দেখানো দশটা বছর সহ্য করে নীরা ক্লান্ত ।  নীরা বাচ্চা নিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করতে চায় । একটা জীবন চায় । বাজে ছেলে পরিবার থেকে মুক্তি চায় সে।

খুব বাজে মিথ্যেবাদী অলশ যোগ্যতাহীন নরকের কীট থেকে মুক্তি চায় সে।

 

অরুনিমা মন্ডল দাস,

১২ জুন ২০২১

কলকাতা।

0 Shares

৭টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ