যেদিন খুব কাছে এলে,
একান্ত সংগোপনে দিলে একটি লাল গোলাপ,
বুঝলাম কষ্টের বীজ রোপিত হল ।
জানলাম আজ হতে কষ্টের মুল ,
শাখা প্রশাখায় বিস্তৃত হবে আমার হৃদয়;
আর তাই খুব সযতনে গুঁজে দিলাম খোঁপায় ।
বিসর্জন করতে চেয়েও করিনি তায়
কেননা কষ্টের বীজ উর্বর মাটিতে করে সফল বিস্তার।
কষ্টের বৃক্ষ বড় উর্বর
ফুলে ফলে শাখা প্রশাখায় ছেয়ে যায় জীবন অনন্তর।
ভাবলাম খোঁপা থেকে খসে পড়ুক
নাহয় ক্ষণিক প্রভায় ধুসর আকাশে হউক নক্ষত্রসুখ ।
পূর্ণিমার অঝোর ধারায়,
প্লাবিত হবে উঠোন , বাড়ি আর প্রেমিক চোখ ।
স্বপ্ন দেখাবে, কবির কবিতায় অলীক বাসর শয্যায়
তবুও তা হউক সুখ, ক্ষণ প্রজ্জলিত তারায় ।
বুকের অন্ধকারে , রক্তে যখন দুর্গন্ধ পচন
তখনও হৃদয় প্রোথিত কবেকার কষ্টের মুল
হাতে ধরে দেয়, রক্ত উপচানো গোলাপ ফুল।
২/০২/১৬
Thumbnails managed by ThumbPress
২১টি মন্তব্য
হতভাগ্য কবি
কবিতায় তীব্র ভালো লাগা, আর অরুনি মায়া আপনার জন্য একগাদা হিংসা —
কেননা কষ্টের বীজ উর্বর মাটিতে করে সফল বিস্তার।
কষ্টের বৃক্ষ বড় উর্বর
ফুলে ফলে শাখা প্রশাখায় ছেয়ে যায় জীবন অনন্তর। 🙂
অরুনি মায়া
হিংসা করা ভাল নয় কিন্তু :p
হতভাগ্য কবি
করি , করতে হয় 😀
পারভীন সুলতানা
আমার যারা ছোট , তারা আমার স্নেহের , যারা বড় তারা শ্রদ্ধার। অনুপ্রেরনায় কিছু ঋণ থাকে, হিংসা না করলেও চলবে।
হতভাগ্য কবি
😀
রুহুল
আপনি বড্ড কঠিন ভাষায় লিখেন। বুঝিনা
পারভীন সুলতানা
এ কিন্তু আমার উপর অবিচার করা হল।
ইমরান হাসান
ভালোবাসার কষ্ট , এ তো সুখ এরও অধিক । ভালোবাসা ভালোবাসা 🙂 (3 (3
পারভীন সুলতানা
খুব সত্যি বলেছেন। ভালবাসায় কষ্ট না পেলে সেকি আর ভালোবাসা থাকে । নিত্য নৈমিত্তিক হয়ে যায় ।
অনিকেত নন্দিনী
খোঁপায় গোঁজা লাল গোলাপ সুরক্ষা পাক
কষ্টের বীজ, কষ্টের মূল অবর্ধিত থাক।
ভালো লাগা +++
পারভীন সুলতানা
দারুন কবি , নমশ্য তুমি
অনিকেত নন্দিনী
ধন্যবাদ আপু -{@
রিমি রুম্মান
কবিতায় ভাল লাগা রইলো।
অরুনি মায়া আপু’কে উদ্দেশ্য করে লেখা__ বেশ লাগলো।
পারভীন সুলতানা
হয়ত একদিন আপনার লেখার প্রেমে পরে যাব, লিখব এমন কোন অনুভুতি। কে জানে?
অরুনি মায়া
আমার লেখার প্রতি উত্তর অত্যন্ত চমৎকার হয়েছে আপু। একজনের ভাবনার সাথে নিজের ভাবনার মিল করা এ কিন্তু খুব সহজ নয়। আপনি নিমিষেই লিখে ফেললেন।
খুব সুন্দর লিখেছেন 🙂
পারভীন সুলতানা
এটুকু বুঝি সে তার দান । না লেখাটা এসে যায় , তাই লিখি । ফরমায়েশি লিখতে পারি না ।
শুন্য শুন্যালয়
সব লেখার জন্যই একটা না একটা প্রেরণা চাই। ঘরে একটা লাইট ফাউনটেইন, তার গোড়ায় কএকটা টুকরা পাথড়। আমার মাথা থেকে টুকরা গুলো সরছেইনা। যে লেখায়, যে লেখে দুজনকেই প্রণাম। অনেক অনেক অনেক সুন্দর লিখেছেন আপু।
পারভীন সুলতানা
অনেকদিন পর আপনার আগমন মনে হচ্ছে । অভাবটা বোধ করছিলাম। ধন্যবাদ।
নীলাঞ্জনা নীলা
এভাবে লিখতে পারে ক’জনে! আর এভাবে লেখাতেই বা পারে ক’জনে!!
(y) -{@
পারভীন সুলতানা
যে লেখে তার চেয়ে যে লেখায় সেই বড়, তা সে মানব হউক কিংবা কোন অব্যায়।কথায় ছিলেন এতদিন ?
নীলাঞ্জনা নীলা
হাসপাতালে। আর এখন বাসায়, তবে হাসপাতাল বেডে।