বাংলাদেশের মানুষ রসিকতা পছন্দ করে । নির্মম রসিকতা গ্রহন করে । ভুঁড়ি ভুঁড়ি উদাহরণ দেয়া যেতে পারে । তার একটি দিলাম । চোখে দেখা আমার ।

এক লোক রাস্তায় হাঁটছে । গ্রাম্য রাস্তা । রাস্তার দু ধারে গাছ । পাতা মোড়া পথ । গ্রামে খোলা আকাশের নিচে হাগাহাগির চর্চা আছে ( এখন কমে আসছে এই অভ্যাস ) । তো একটা পাতার উপর লোকটির পা দেবে গেলো । সাথে সাথেই লোকটি তাজ্জব বনে গেলো । কে যেন হাগু করে পাতা দিয়ে ঢেকে রেখেছে । কেউ যাতে দেখতে না পারে সে নিরাপত্তা পাতা দিয়ে অটুট রাখা হয়েছে । পথিকের হাসি , রাগ , দুঃখ সবই এক সাথে প্রশমিত হওয়া শুরু করল । না পারে কাঁদতে , না পারে হাসতে । মানব জীবন বড়ই বিস্ময়কর । লোকটি যাচ্ছিল বোনের বাড়ি । সদ্য বিয়ে দেয়া বোনকে দেখতে । তাঁর পদযাত্রায় বাঁধা পরল । একমাত্র কারন গু । ( হরতাল , গাড়ি সমস্যার কারনে পদযাত্রা ব্যাহত হয় , গু নিয়ে সাধারণত হয়না )
ইতিমধ্যেই পথচারীদের নজরে এলেন ভদ্রলোক । এক পথচারী জিজ্ঞেস করল আগবাড়িয়ে .

পথচারী - খাড়াই আছেন ক্যান ? আপনার পায়ে কি ? সুজি নাকি ?
লোকটি - মশকরা করেন ? আপনে হাগেন না ? গু চিনেন না ?
পথচারী - ভাই , গু পায়ে নিয়া কি করেন ? গু থাকবো পায়খানায় , পায়ে ক্যান ?
লোকটি - এক অসভ্য লোক রাস্তায় হাইগা রাখসে , হাটার সময় পায়ে লেগে গেছে ।

প্রশ্নবান শুরু হইল । আরও কিছু মানুষ এসে রঙ্গশালায় যোগ দিল
এদের প্রশ্ন গুলো ছিল এরকম

- কোন বেয়াক্কেলে এই কাম করছে ? হাগবি ভালা কথা , দেইখা শুইনা হাগবি না ? ( উচ্চ সরে জমায়েত হওয়া মানুষরা হাসতে লাগল )
- ভাই , আপনি কি গু নিয়েই বোনের বাড়ি যাবেন ?
- ভাই , আপনার লাইগা বড্ড খারাপ লাগতেছে ( হা হা হা হা)
- ভাই এখন আপনি কি করবেন ? খারান , একটা ছবি তুইলা লই , পোলায় সউদি থেইকা মুবাইল পাঠাইছে , ওগো দেখামু ( গ্রাম এখন মোবাইল আক্রান্ত )
- ও মিয়া ভাই , গুয়ে গন্ধ বেশী , বাসি গু ( জমায়েত - অয় অয় অয় )
- চার পাচ দিনের বাসি গু হইতে পারে , ইয়াক ! থুঃ ( আরও নানান মত )

এতো সব জেনে পথচারী অপমানে ক্ষোভে যতই ফুলেন মানুষ ততই হাসে । লোকটি কীভাবে উদ্ধার পেলো সেটা না বলাই ভালো ।

এবার আসি নির্বাচনে , রাজনীতিতে ।

গ্রাম্য এক চেয়ারম্যান একটা ব্রিজ উদবোদন হবে । সেখানে বক্তৃতা দিচ্ছেন । ( চেয়ারম্যান অবশ্যই ইসলাম পন্থী , আল্লাহ খোদার নাম নেন সবসময় , খালি উপজেলা চেয়ারম্যান , টি , এন , ও পদের মানুষের বাসায় যাওয়ার সময় ট্যাক্সি ভোরে মালামাল , ভদ্র বাসায় বায়তুল মাল নিয়ে যান , একজন চেয়ারম্যান এর বেতন কত ? জানলে অবাক হতে হয় )

তাঁর বক্তৃতা , আমি ক্ষমতায় এসে আপনাদের জন্য এই ব্রিজ করেছি । খোদাকে লাখ লাখ শোকর । ( এক জন সাধারন গ্রাম্য চেয়ারম্যানের হাত কতটুকু লম্বা হতে পারে সাধারনের বিবেচনা )

কিছুক্ষণ পরেই মেম্বার অফ পার্লামেন্ট সদস্য আসলেন , তিনি প্রধান অতিথি । জ্ঞানগর্ভ আলোচনা শুরু করলেন ।
এর ফাকে দেখলাম , উনার আলোচনা শুরুর পর চেয়ারম্যান সাব ঘনঘন হাই তুলছেন ।

সরকারি আমলা যারা আছেন ( অবশ্যই কিছু সৎ মানুষ আছেন , ভালো মন্দ পাশাপাশি চলবে , এটাই পৃথিবীর নিয়ম ) তারা ক্ষমতায় গেলে ৫বছর জনগণকে হাসানোর দায়িত্ব নেন । এইজন্য তাদের অভিনন্দন ।
অতীতের সরকারের ভাঁড়ামি , নিকট বর্তমানের ক্ষমতাভোগীরা পুরন করে দেন ।

গোপাল ভাঁড় অবশ্যই দরকার । কিন্তু চার্লি চ্যাপলিন দরকার এবার । কথা বলে বিরক্ত করবেনা , কিন্তু হাসাবে ।

এই জ্ঞানগর্ভ (!!!!) আলোচনার শেষে একমাত্র দাবি , রাজনিতিক দলগুলোর কাছে , আপনারা শুধু মাত্র আমাদের আনন্দ রাখার দায়িত্ব নেন । সাথে ক্ষমতায় যাওয়ার আগে একগুচ্ছ রুপকথার গল্প ছাপানো বন্ধ করেন । জী , নির্বাচনী ইশতেহারের কথা বলছি ।

এরচে ভালো কোন জোকস এর বই দিন । আহসান হাবিবের উন্মাদ ও দিতে পারেন ।

রুপকথার গল্প আর নয় , নির্বাচনী ইশতেহার হোক এইরকম

- দেশ হাসাও , মানুষ হাসাও
- দিনবদলের এই যুগে ,আমরা হাসাবো ক্ষমতায় গেলে

এইরকম শিরোনামে কি জোকস এর বই দেয়া যায়না ?

( এটা হল , যেমন খুশি , তেমন লেখো টাইপ লেখা , কারো অনুভুতিতে আঘাত দেয়ার জন্য নাহ , মনে রাখবেন , রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন )

0 Shares

১২টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ