
তোমাকে আশ্রয় করে জন্মেছিলো যে কাব্যের ছত্রাক,
আমিই তার জননী ‘পরজিবী অকবি ‘।
তোমার সাথে সাথে আমি এবং আমার আত্মজা অকবিতা বিলুপ্ত প্রায় ।
আজ বুঝতে পারছি,
আমিই সেই নিরন্ন শব্দহীন পথিক।
আমার নিজের কোন বর্ণমালাই নেই, শব্দতো অবান্তর,
আর কাব্যিক চরণ “আকাশ কুসুম কল্পনা”।
তাই তো শৈশব, কৈশোর এবং তারুণ্য অরণ্যে রোদন করেছে অহেতুক জিদে; কতিপয় অজ্ঞাতনামা শব্দের খোঁজে,
ফলাফল বরাবরই শূন্যের কোঠা পূর্ণ করেছে।
পৌঢ়ত্বে সূর্য যখন মাথার উপর খাড়া
হিমেল হাওয়ার পরশ নিয়ে কে ঝাপটা দিয়ে বেরিয়ে গেলো
সম্পূর্ণ অপরিচিত হয়ে ও এক লহমায় চিনতে পারলাম তুমিই সে যাকে এতোকাল খুঁজছিলাম।
ব্যস হয়ে গেল __
পড়ি কি মরি করে বোবা প্রাণে শব্দের সঞ্চার হলো, সঞ্চার কি গো!
ওরা জ্বলোচ্ছাস বইয়ে দিলো
খাঁ খাঁ বুকটা পলিতে তখন উর্বর।
নব উদ্দমে এক এক করে শ’য়ে শ’য়ে কাব্যের চাষ হলো।
সুজলা সুফলা কবিতারা উজালায় নিত্য নতুন রুপে।
যখন পৌরাণিক ব্যাখ্যামতে তুমি আপনালয়ে।
একটি প্রশ্ন বোধকে ভূলুণ্ঠিত সব শব্দের শাব্দিক অর্থ!
আমি কাকে ভালোবাসতাম?
কিন্তু তোমার জন্য আমার আনকোরা কষ্টরা খন্ড খণ্ড বিভক্ত হয়,
কখনো জোট বেঁধে আকার নেয়না।
আমি এ পর্যায়ে দ্বিধাবিভক্ত / চরম বিরক্ত!
তবে কী আমি শব্দ কুহকে জড়িয়ে পড়েছি?
কিন্তু তুমি যে হ্যামেলিনের বাঁশিওয়ালা,
আমার বর্ণ, গন্ধ, রক্তিম হৃদপিণ্ডটা ও তোমার পিছু নিয়েছে!
ওদের কী হবে?
শব্দগুলো ও দেখছি ছুটছে বিচ্ছিন্ন ভাবে….
আমি জানি ওদের জলাঞ্জলি হবে তোমার বাঁশরীর হাতে।
আমি ফিরে এসেছি পথে নিরন্ন পথিক বেশে।
১৫টি মন্তব্য
রোকসানা খন্দকার রুকু
আমরা এভাবেই হ্যামিল্নের বাঁশিঅলার পেছনে ছুটি। অনর্থক, অযথাই। কবিতা অনেক ভালো হয়েছে। এটা রাখা যায়। কবির কলম চালু থাকুক!!!! শুভ কামনা অশেষ।।
খাদিজাতুল কুবরা
বন্ধু প্রীত হলাম তোমার ভালো লেগেছে জেনে। বাঁশি শুনে আর কাজ নেই….
ধন্যবাদ সবসময় উৎসাহ দেওয়ার জন্য
খাদিজাতুল কুবরা
ধন্যবাদ লিটন দা।
খাদিজাতুল কুবরা
সরি ভুলে হয়ে গেল
আলমগীর সরকার লিটন
চমৎকার লেখেছেন কবি আপু
খাদিজাতুল কুবরা
ধন্যবাদ লিটন দা।
মোঃ মজিবর রহমান
শব্দ শৈলী চমৎকার। নিরন্ন মানুষের কাব্যিক চর্যা না করাই ভালো। সুন্দর মননে উপস্থাপন।
খাদিজাতুল কুবরা
তাহলে কী লেখা ছেড়ে দেব ভাইয়া। প্রশংসার জন্য অশেষ ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন ভাইয়া
মোঃ মজিবর রহমান
সরি নিরন্ন আমিই বর্তমানে খুব খুব বইবিমুখ। আপনারা লিখা ছেড়ে দিলে আমরা যাব কোথায়? আসি পড়ি কিছু সময় তাই প্রতিনিয়ত লিখুন। অবশ্যই লিখুন।
হালিমা আক্তার
হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা আসুক। জাগিয়ে তুলুক ঘুমন্ত শব্দগুলোকে। বাঁশির সুরে শব্দ গুলো কবিতা হয়ে উঠুক। উর্বরতায় ভরে উঠুক কবিতার খাতা। খুব খুব সুন্দর লিখেছো। শুভ কামনা রইলো।
খাদিজাতুল কুবরা
প্রিয় আপু, শত চেষ্টা করে ও লেখা ছাড়তে পারিনি।
লেখাতেই আমার নিজস্ব পৃথিবী।
আমার আন্তরিক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানবেন আপু
নার্গিস রশিদ
সুন্দর হয়েছে। অনেক ধন্যবাদ।
খাদিজাতুল কুবরা
আপা ধন্যবাদ আপনাকে ও মূল্যবান সময় ব্যয় করে লেখা পড়ার জন্য। ভালো থাকবেন সমসময়।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
কবিতার শুরুটা মনে হয় সবার ক্ষেত্রেই এমন করে কাউকে অবলম্বন করে হয়। তারপর একসময় কবি এবং কবিতা দুটোই বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় সে-ই অবলম্বন থেকে। দারুন অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ। লেখা চালু থাকুক আপন মহিমায়, গতিতে শুভ কামনা নিরন্তর
খাদিজাতুল কুবরা
একদম ঠিক বলেছেন দিদি ভাই। লেখা ছাড়তে চাই কিন্তু সে আমাকে ছাড়েনা। ভালো থাকবেন প্রিয় দিদিভাই। শুভেচ্ছা অফুরন্ত