নিঝুম দ্বীপ ভ্রমন – ২

কামাল উদ্দিন ২ মে ২০২০, শনিবার, ০৮:৫৯:২৬অপরাহ্ন ভ্রমণ ৩৪ মন্তব্য

নিঝুম দ্বীপ বাংলাদেশের একটি ছোট্ট দ্বীপ। নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার অর্ন্তগত নিঝুম দ্বীপ। একে 'দ্বীপ' বলা হলেও এটি মূলত একটি 'চর'। নিঝুম দ্বীপের পূর্ব নাম ছিলো চর-ওসমান। ওসমান নামের একজন বাথানিয়া তার মহিষের বাথান নিয়ে প্রথম নিঝুম দ্বীপে বসত গড়েন। তখন এই নামেই এর নামকরণ হয়েছিলো। পরে হাতিয়ার সাংসদ আমিরুল ইসলাম কালাম এই নাম বদলে নিঝুম দ্বীপ নামকরণ করেন। মূলত বল্লারচর, চর ওসমান, কামলার চর এবং মৌলভির চর - এই চারটি চর মিলিয়ে নিঝুম দ্বীপ। প্রায় ১৪,০০০ একরের দ্বীপটি ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের দিকে জেগে ওঠে। ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দের আগ পর্যন্ত কোনো লোকবসতি ছিলো না, তাই দ্বীপটি নিঝুমই ছিলো। বাংলাদেশের বনবিভাগ ৭০-এর দশকে বন বিভাগের কার্যক্রম শুরু করে। প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে চার জোড়া হরিণ ছাড়ে। নিঝুম দ্বীপ এখন হরিণের অভয়ারণ্য। ১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দের হরিণশুমারি অনুযায়ী হরিণের সংখ্যা ২২,০০০। নোনা পানিতে বেষ্টিত নিঝুম দ্বীপ কেওড়া গাছের অভয়ারণ্য। ম্যানগ্রোভ বনের মধ্যে সুন্দরবনের পরে নিঝুম দ্বীপকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন বলে অনেকে দাবী করেন। নিঝুম দ্বীপে রয়েছে প্রায় ৩৫ প্রজাতির পাখি। এছাড়াও শীতের মৌসুমে অজস্র প্রজাতির পরিযায়ী পাখির অভয়ারণ্যে পরিণত হয় নিঝুম দ্বীপ। চলুন আমার ক্যামেরায় ঘুরে আসি নিঝুম দ্বীপ থেকে.......


(২) নিঝুম দ্বীপে আমাদের ক্যাম্প করার জন্য যেখানে যায়গা নির্ধারণ করা হয়েছিল তা ছিল একটা সাইক্লোন সেন্টার এবং হাইস্কুল। নিচ তলায় ছিলো আমাদের থাকার তাবুগুলো।


(৩/৪)তাবুতে থাকার যে খুব মজা, আর ঘুম ও ভালো হয় তা তাবুর জানালা দরজার এই ছবি দুটিই বলে দিচ্ছে।


(৫/৬) দ্বীপের এক পাশে বিশাল কেওরা বন, যেখানে হরিণদের আধিপত্য। আর অন্য পাশটা সবুজ সমতল।


(৭/৮) নিঝুম দ্বীপের বাড়ি-ঘরগুলোতে ছনের আধিক্য, আর অধিকাংশই এমন শবজি বাগানের আধিক্য।


(৯) ওদের পোষা প্রাণী রাখার ঘর।


(১০) এপার ভাঙ্গে ওপার গড়ে, নিঝুম দ্বীপের এই অংশটা ভাংছে।


(১১) এই অংশটা গড়ছে।


(১২/১৩) দ্বীপের ভেতর রয়েছে এমন ছোট ছোট খাল, যাতে জোয়ার ভাটায় পানির খেলা চলে নিরন্তর।


(১৪/১৫) জোয়ার ভাটার কারণে খালগুলোতে যথেষ্ট মাছেরও দেখা পাওয়া যায়। স্থানীয় লোকজন মাছ ধরছে নানা রকম জাল দিয়া।


(১৬/১৭) নিঝুম দ্বীপের শিশুরা।


(১৮) নিঝুম দ্বীপের মাঝি।


(১৯) আমাদের ভ্রমণ বাংলাদেশ টিম, সাকো পার হয়ে কেওড়া বনের দিকে যাচ্ছি হরিণদের সাথে দেখা করার জন্য।


(২০) এমন নিঝুম নির্জন দ্বীপের ভালো কিছু ছবি ধরে রাখার জন্য একটা ভালো ক্যামেরাতো অবশ্যই চাই। (কানে কানে বলি, এটা কিন্তু আমার ক্যামেরা না, অন্যের ক্যামেরায় একটা পোজ মাত্র) 😀

নিঝুম দ্বীপ ভ্রমন – ১ পড়তে চাইলে এখনে টোকা দিন

0 Shares

৩৪টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ